নিষ্ঠুর নিয়তি (প্রথম পর্ব)
ঘুম থেকে উঠে সবুজ দেখে বেলা ৯ টা বেজে গিয়েছে। সে তড়িঘড়ি করে তৈরি হতে থাকে। কারণ তার যেতে দেরি হলে সে গ্যারেজে গিয়ে কোন অটো রিক্সা পাবে না। সবুজ পেশায় অটো রিক্সাচালক। তার নিজের কোনো অটো রিক্সা নেই। সে স্থানীয় একটি গ্যারেজ থেকে অটো রিক্সা ভাড়া নিয়ে সেটা চালায়। একটা সময় ছিলো যখন সবুজের কোন কাজকর্ম ছিলো না। পরিবার পরিজন নিয়ে তাকে অনেকদিন অনাহারে কাটাতে হয়েছে। সবুজের বাবা মারা যাওয়ার পর মূলত তারা সমস্যায় পড়ে। সবুজের বাবা যখন জীবিত ছিলো তখন তাদের তেমন কোনো সমস্যা ছিলো না।
তার বাবা হকারি করে যা আয় করতো সেটা দিয়ে তাদের মোটামুটি ভালোই চলে যেতো। কিন্তু হঠাৎ করে সবুজের বাবা মারা যাওয়ার পর তারা অকূল সমুদ্রে পড়ে। সবুজের বয়স তখন মাত্র ১৬ বছর। সবুজের বাবা মারা যাওয়ার পর তাদের দিন কাটতে থাকে অনাহারে। শেষ পর্যন্ত সবুজ স্থানীয় একটি গ্যারেজে সামান্য বেতনে চাকরিতে ঢোকে। কিন্তু সেই চাকরির টাকায় তার পরিবারের তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা ও হচ্ছিলো না। তখন সবুজের এক প্রতিবেশী তাকে বুদ্ধি দেয় অটো রিক্সা চালানোর।
কারণ অটো রিক্সা চালাতে কোন লাইসেন্স লাগে না। আর এটা চালানো খুব সহজ হওয়ার কারণে যে কেউ চালাতে পারে। অটো রিক্সা চালানোর বুদ্ধিটা সবুজের খুব পছন্দ হয়। তখন সে তাদের এলাকার এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে দুই তিন দিন অটো রিক্সা চালানো শিখে নেয়। তারপর তাদের এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে অটো রিক্সা ভাড়া নিয়ে নিয়ে চালাতে শুরু করে। অটো রিক্সা চালানো শুরু করার পর থেকে তাদের দিনকাল ভালোই চলছিলো।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
পরিবারের বট বৃক্ষ হল বাবা। আর বাবারাই মূলত পরিবারটাকে সচল রাখে। তারা যদি না থাকে তখন পরিবার কোন দিকে যায় সেটা তখনই বোঝা যায়। সবুজের অল্প বয়সেই বাবা মারা গিয়েছে। সেই হিসেবে সব বিপাকে পড়ে গিয়েছে। ছোট ছেলে কতটুকুই বা করতে পারে। যাই হোক যতটুকু করেছে সেটাই অনেক। তবুও সে আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা করছে দেখে ভালো লাগলো। পরবর্তীতে পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।