অকুতোভয় সৈনিক (তৃতীয় পর্ব)
এইজন্য সে রিশাদকে পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা করতেও আগ্রহ যোগায়। রিশাদ খেলাধুলা করলেও পড়ালেখায় ও বেশ মনোযোগী। যার ফলে তার বাবা তাকে পড়ালেখা নিয়ে খুব একটা বেশি কিছু বলে না। শুধু মাঝে মাঝে তার স্বপ্নের কথা তাকে মনে করিয়ে দেয়। রিশাদ একটা সময় বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইতো। তবে তার বাবার স্বপ্নটা তার ভেতরেও সংক্রমিত হয়েছে। বিভিন্ন রকমের গল্পের বই পড়ে আর নাটক সিনেমা দেখে তারও আর্মি হওয়ার আগ্রহ জেগেছে। বাবা এখন মাঝে মাঝে তাকে ভালোমতো পড়ালেখা করার জন্য তাগাদা দেয়।
রিশাদ সাথে অবশ্য এটাও জানে এসএসসি এবং এইচএসসি এই দুটো পরীক্ষার রেজাল্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটো পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারলে পরবর্তীতে জীবনে ভালো কিছু করা অনেক সহজ হয়ে যায়। এভাবেই ধীরে ধীরে রিশাদের জীবন এগিয়ে যাচ্ছিলো। রিশাদের বোন যখন ভার্সিটির ছুটিতে বাড়িতে আসে। তখন সেও রিশাদকে ভালোভাবে পড়তে বলে। দেখতে দেখতে রিশাদ এইচএসসি পাশ করে যায়। তারপর সে আর্মির অফিসার পদে পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আসলেই প্রতিটি মানুষের জীবন গঠনে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাইতো পরিবারের লোকজন এই সময় ভালোভাবে পড়াশোনা করার জন্য চাপ দেয়। যাইহোক রিশাদ এইচএসসি পাশ করেছে, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।