সততার পুরস্কার (পঞ্চম পর্ব)
এই কথা শুনে রাগে তার মালিক অগ্নি মূর্তি ধারণ করলো। সে মেহেদীকে বললো দেখ আমার সাথে বেশি চালাকি করার চেষ্টা করিস না। ভালোমতো বল টাকার ব্যাকটা কোথায়? না হলে কিন্তু আমি এখনই পুলিশ ডেকে তোকে ধরিয়ে দেবো। এই কথা শুনে মেহেদির মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। মেহেদী বলল আমি টাকা দেবো কিভাবে? টাকাটা তো ছিনতাইকারীরা নিয়ে গিয়েছে। আপনি চলেন আমরা দুজন গিয়ে পুলিশের কাছে আগে অভিযোগ দায়ের করি।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
যদি পুলিশ ছিনতাইকারীদের তাড়াতাড়ি ধরতে পারে তাহলে টাকাগুলো ফেরত পাওয়া যাবে। তার মালিক মেহেদীর কথা বিশ্বাস না করে তাকে একই কথা বলতে লাগলো। আর মেহেদি ও অসহায়ের মত বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে লাগলো। এর ভেতরে তার মালিক পুলিশকে ফোন দিয়ে সেখানে আসতে বললো। অল্প সময়ের ভেতরে সেখানে পুলিশ চলে এলো। পুলিশ এলে তার মালিক তখন পুলিশকে বলল ও নিজে আমার টাকা চুরি করে এখন নাটক সাজিয়েছে।
আপনারা ওকে এরেস্ট করে নিয়ে ভালোমতো ধোলাই দেন। তাহলে টাকার ব্যাগটা পাওয়া যাবে। এই কথা বলতেই পুলিশ মেহেদীকে এরেস্ট করে থানায় নিয়ে গেলো। মেহেদির মালিক যথেষ্ট পয়সাওয়ালা এবং প্রভাবশালী মানুষ। তাই পুলিশ মেহেদীকে থানায় নিয়ে ব্যাপক মারধর করলো। কিন্তু টাকাটা যেহেতু মেহেদী নেয়নি তাই সে টাকার ব্যাপারে কোন তথ্যই পুলিশকে দিতে পারলো না। পুলিশও মারধর করে ক্লান্ত হয়ে একপর্যায়ে মেহেদীর মালিক কে বললো টাকাটা মনে হয় এই ছেলেটা নেয়নি। কিন্তু মেহেদীর দোকানের মালিক বারবার মেহেদিকে দোষারোপ করতে লাগলো। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।