জীবনের বাঁক বদল (তৃতীয় পর্ব)
পরদিন কলেজে গেলে তূর্য নামের ছেলেটা ফারিয়ার দিকে এগিয়ে আসে। ফারিয়ার কাছে এসে ছেলেটা বলে চলো দুজন মিলে কোথা থেকে ঘুরে আসি। এই কথা শুনে ফারিয়া নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারে না। তার স্বপ্ন এভাবে পূরণ হবে সেটা সে কখনো চিন্তাই করতে পারেনি। ছেলেটা প্রস্তাব দেয়ার সাথে সাথেই ফারিয়া রাজি হয়ে যায়। তারপর ফারিয়া ছেলেটার মোটর সাইকেলের পেছনে উঠে বসে।
ফারিয়া মোটরসাইকেলে বসতেই ছেলেটা বুলেটের মতো মোটরসাইকেল চালাতে থাকে। ফারিয়ার মনের আবেগের কারণে তার মনে হতে থাকে সে পঙ্খিরাজের ডানায় চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার সবচাইতে প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে। ছেলেটা ফারিয়াকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বেশ কিছুক্ষণ ধরে ঘুরতে থাকে। তারপর গিয়ে এক নদীর পাড়ে বসে। জায়গাটা ছিল চমৎকার ছায়া ঘেরা সামনে খোলা উত্তাল নদী। জায়গাটা ফারিয়ার কাছে খুবই চমৎকার লাগে।
এতো সুন্দর একটা জায়গায় প্রিয় মানুষের সাথে সময় কাটানোর অনুভূতিটা কেমন হয় সেটা তখন ফারিয়া বুঝতে পারে। সেদিন ফারিয়ার সাথে ছেলেটার বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়। তারপর এক পর্যায়ে ছেলেটা ফারিয়াকে আবার কলেজে নামিয়ে দিয়ে যায়। ফারিয়ার বান্ধবীরা ছেলেটার মোটরসাইকেল থেকে তাকে নামতে দেখে অবাক হয়ে যায়। ফারিয়া তাদের কাছে আসতেই তারা ফারিয়াকে জিজ্ঞেস করে ব্যাপার কি? কখন এই হিরোকে বশ করে ফেললি? তখন ফারিয়া তার বান্ধবীদের কাছে সবকিছু খুলে বলে। এরপর থেকে এটা ফারিয়ার নিয়মিত কাজে পরিণত হয়। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।