ক্ষমতার দম্ভে ধ্বংস হওয়া (চতুর্থ পর্ব)
যদিও শোভন সেনট্রালের নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে শহরের একটা ভালো কমিটিতে পদ নিয়ে নেয়। এর ভেতর হঠাৎ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাথে একবার তাদের দলের সমস্যা হলে সেখানে একটি মার্ডার হয়। ওখানে নিজের দলের সিনিয়র নেতারা তার নাম সেই মার্ডার কেসে ঢুকিয়ে দেয়। শোভন খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারে যে কারা তার নাম এই কেসে দিয়েছে। শোভন তাদের সাথে কোনো রকম ঝামেলা না করে সু কৌশলে নিজের নামটা সেই মামলা থেকে কাটিয়ে নেয়।
এবারও তাকে সেন্ট্রালের নেতারা এই ব্যাপারে সাহায্য করে। শোভন তার সমস্ত কিছুই সেন্ট্রালের নেতাদের কাছে খুলে বলে। কারণ শোভন জানে সেন্ট্রাল নেতাদের জন্য সে হুমকি নয়। তাই তারা তাকে সহযোগিতা করবে। তবে তার জেলার নেতারা তাকে আর বেশি আগাতে দিতে চাইবে না। কারণ তারা জানে শোভন আরো এগিয়ে গেলে তাদের জন্য সমস্যা হবে। এভাবেই শোভন তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো। এর ভেতরে শোভনের সাথে তারই কলেজের এক মেয়ের প্রণয় হয়।
সেই প্রণয় থেকে তাদের দুজনের বিয়ে হয়। শোভন যে মেয়েকে বিয়ে করে। সেই মেয়ের বাবাও শহরের প্রভাবশালী একজন রাজনৈতিক নেতা। তিনি শোভনকে ভালোভাবেই চেনেন। এজন্য তিনি তার মেয়ের এই সম্পর্কটাকে মেনে নিয়েছেন। তিনি জানেন শোভনের ভবিষ্যৎ বেশ ভালো। এক সময় সে মন্ত্রী না হতে পারলেও ন্যূনতম তাদের এলাকার এমপি হবে। এ বিষয়ে কারো মনে সন্দেহ নেই। কারণ শহর জুড়ে এই কথাটা সবাই বলাবলি করে। এদিকে শোভন সব সময় তার ইতিবাচক রাজনীতি করার ধারাটা ধরে রাখতে চায়। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
শোভন যেহেতু শহরের প্রভাবশালী একজন রাজনৈতিক নেতার মেয়েকে প্রেম করে বিয়ে করতে পেরেছে, এতে করে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গঠন করতে আরও সুবিধা হবে। শোভনের ভবিষ্যৎ আসলেই উজ্জ্বল। যাইহোক এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে যারা রাজনীতি করে তারা সবার মাথার মনি হয়ে থাকে। আর সে হিসাবে শোভন যেহেতু বড় ও সুনামধন্য রাজনীতিবিদের মেয়েকে প্রেম করে বিয়ে করতে পেরেছে,সেই হিসেবে তার ক্যারিয়ার তো অবশ্যই ভালো হবে। আমি মনে করি এটা অন্তত এই যুগে আশা করা যায়। ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য। বাকি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।