বেকার জীবনের কষ্ট গুলো ( একাদশ পর্ব)
সে বলে তোমার এত বড় একটা বিপদ গেলো অথচ আমাকে তুমি কিছু জানাওনি। তোমার ফোন নেই তোমার বাসার যে কারো ফোন থেকে তো আমাকে এক মিনিটে এই কথাটা বলতে পারতে। সাবিহা তখন রাজন কে বলে চলো আমার সাথে। রাজন সাবিহাকে জিজ্ঞেস করে কোথায় যাবো? তখন সাবিহা বলে তোমাকে আমি যেখানে নিয়ে যাবো তুমি সেখানেই যাবে। এই কথা বলে তারা পার্ক থেকে বের হয়ে রিক্সা নিয়ে একটি মার্কেটের দিকে রওনা দেয়।
সেখানে গিয়ে সাবিহা রাজনকে একজোড়া স্যান্ডেল, একটা গেঞ্জি, আর একটা মোবাইল ফোন কিনে দেয়। রাজন অবাক হয়ে শুধু তাকিয়ে থাকে। একপর্যায়ে সে সাবিহাকে জিজ্ঞেস করে তুমি এতো টাকা কোথায় পেলে? তখন সাবিহা মুচকি হেসে বলে বাসার কাউকে আর তোমাকে না জানিয়ে আমি বেশ কিছুদিন ধরে দুটো টিউশনি করছি। প্রতিদিন বাসা থেকে বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছি বলে বের হয়ে টিউশনি দুটো শেষ করে তারপর বাসায় ফিরি। সেই টিউশনের টাকা থেকে বেশ কিছু টাকা জমেছে।
চিন্তা করেছিলাম আমাদের বিয়ের সময় টাকাটা কাজে লাগবে। বিয়ের পরে দুজনে মিলে কোথাও এই টাকা দিয়ে ঘুরতে যাবো। রাজন তখন সাবিহাকে জিজ্ঞেস করে তাহলে এখন খরচ করলে কেন? তখন সাবিহা রাজনকে বলে বিয়ের পরে ঘুরতে যাওয়ার থেকে তোমার সাথে যোগাযোগ রাখাটা আমার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর তোমাকে কিছু দিতে পেরে আমার যে কি ভালো লাগছে সেটা আমি তোমাকে বোঝাতে পারবো না। এই কথা বলতেই রাজন সাবিহার চোখের কোণে পানি দেখতে পায়। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
রাজন সবদিক দিয়ে অভাগা হলেও, সাবিহার মতো প্রেমিকা আছে তার,এদিক দিয়ে রাজন খুবই ভাগ্যবান। সাবিহা এবং রাজন দুজনেই যেহেতু টিউশনি করছে, তাদের উচিত নিজেরাই বিয়ে করে নেওয়া। দেখা যাক পরবর্তীতে তাদের শেষ পরিণতি কি হয়।
"আনন্দিত হোন বন্ধুরা! 😊 এই ভালো চমড়কে পড়তে গিয়ে মনে হয় আমরা সাথে রাখতে চান যে এই অভিনব লেখাকে। প্রশংসা জন্গণের! 👏
আমি হোন দিতে চাই তুমি সাথে রাখো, টিউশনির পরিকল্পনা নিয়ে একটা চমড়ক কর। অন্যদিকে, বিয়ের সময় ঘুরতে গেলে হবে কি প্রশংসা? 😊
ধন্যবাদ এই ভালো চমড়কে পড়তে! 👍
(উঠের ধন্যবাদ রেখি!)