এলাকার উন্নয়ন করতে গিয়ে জীবন অবসান (ষষ্ঠ পর্ব)

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


শফিক বুঝতে পারে পুলিশের সাথে তাদের ভালো সখ্যতা রয়েছে। না হলে তারা জেল থেকে বের হয়ে এমন বেপরোয়া আচরণ করতে পারতো না। তখন শফিক বুঝতে পারে পুলিশের কাছে গিয়ে লাভ নেই। সে এলাকার কিছু মুরুব্বী কে সাথে নিয়ে একদিন তাদের জেলার র‍্যাব ক্যাম্পে যায়। সেখানে গিয়ে র‍্যাবের ক্যাপ্টেন কে সবকিছু খুলে বলে। তিনি শফিককে সহায়তা করার আশ্বাস দেন। এর কয়েকদিন পরেই এক রাতে এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‍্যাব বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে যায়।


Black and Gold Fancy New Year Card_20240511_234151_0000.png

ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

এদের ভেতরে দুজনের নামে মার্ডার কেস ছিলো।র‍্যাব তাদেরকে ক্রসফায়ার দেয়। বাকিদেরকে জেলে পাঠিয়ে দেয়। র‍্যাব এলাকার কিছু মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলেও আরো বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ী গা ঢাকা দেয়। তাদের ভেতরে যেই মাদক ব্যবসায়ীদের কে ক্রসফায়ার দেয়া হয়েছিলো তাদের একজনের ভাই ও ছিলো। মাদক ব্যবসায়ীরা পরিকল্পনা করতে থাকে যেভাবেই হোক শফিককে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে হবে। কারণ শফিক বেঁচে থাকলে তারা এলাকায় মাদক ব্যবসা করতে পারবে না। এই জন্য তারা শফিকের যে বিরোধী ক্যান্ডিডেট ছিলো ইলেকশনে তার সাথে হাত মিলিয়ে শফিককে খুন করার ছক আঁকতে থাকে।


শফিকের বিরুদ্ধে যে লোক ইলেকশন করেছিলো তিনি শফিকের ক্রম বর্ধমান জনপ্রিয়তায় হিংসায় জ্বলে পুড়ে যেতে থাকেন। তিনিও বুঝতে পারেন শফিক যদি জীবিত থাকে তাহলে তাকে তিনি ইলেকশনে পরাজিত করতে পারবেনা। যার ফলে তিনিও মাদক ব্যবসায়ীদের কে শফিককে খুন করার ব্যাপারে উৎসাহ দিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত মাদক ব্যবসায়ীরা পরিকল্পনা করে ১৬ই ডিসেম্বর রাতে শফিককে খুন করা হবে। কারণ সেই দিন বিভিন্ন জায়গায় প্রোগ্রাম থাকে। সেই প্রোগ্রামে এটেন্ড করে শফিকের ফিরতে বেশ রাত হবে। পথের মধ্যে কোনো একটি নির্জন জায়গায় শফিকের মোটরসাইকেল থামিয়ে তাকে খুন করার পরিকল্পনা করা হবে । এই খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য শহর থেকে কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে ভাড়া করে আনা হয়।(চলবে)


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57440.82
ETH 3108.89
USDT 1.00
SBD 2.42