দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা। পর্ব: ১৮
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
লিংক
আসলে আমাদের জীবনে এমন এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যা আমাদের জীবনকে শিক্ষা দিয়ে যায়। আর সেই বিষয়গুলো আমরা কখনো ভুলতে পারিনা। আমার কাছে মনে হয় যে এই পৃথিবীটা একটা বিশাল বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ আমরা দৈনন্দিন জীবনে চারিপাশের বিভিন্ন বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা পেয়ে থাকি। কেননা শিক্ষার কোন শেষ নেই এবং আমরা যে কোন জায়গা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। আসলে আজ আমি আপনাদের সাথে আমার দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া একটা বিষয় উপস্থাপন করব। আশা করি এই বিষয়টির মাধ্যমে আপনাদের জীবনে একই রকম ঘটে যাওয়া কোন জিনিসের সাথে মিলিয়ে মিলে যেতে পারে। যাই হোক প্রতিদিনকার মত আমি আজকেও অফিসে গিয়েছিলাম।
আসলে সেই একই রকম রুটিন মাফিক আমি অফিসে গিয়ে আবার পুনরায় অফিস শেষ করে বাড়ির দিকে রওনা দিচ্ছিলাম। আসলে যেহেতু সন্ধ্যার সময় অর্থাৎ তখন সবার অফিসের ছুটির সময় হয়। তাই রাস্তায় একটু বেশি জ্যাম থাকে। আমরা একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখেছি যে এখন বিভিন্ন গাড়িতে বিভিন্ন ধরনের ট্যাগ লাগিয়ে মানুষ ঘুরে বেড়ায়। অর্থাৎ যারা যে সব বড় বড় চাকরি করে তারা সেই চাকরির স্টিকার লাগিয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। আসলে আমার যতদূর জ্ঞান রয়েছে এসব গাড়িতে স্টিকার লাগানো সম্পূর্ণ নিষেধ। যাইহোক আজ আমি যখন বাড়ির দিকে ফিরছিলাম তখন রাস্তায় একটু বেশি জ্যাম ছিল এবং রাস্তার সিগন্যাল দেখে আমি দাঁড়িয়ে রইলাম। আসলে আমাদের এখানে কিন্তু রাস্তার ট্রাফিক সিগনালকে সবাই মান্য করে।
আর এরপর যখন ট্রাফিক সিগন্যাল উঠে গিয়ে সবুজ আলো চলল তখন আমরা পুনরায় যখন গাড়ি স্টার্ট দিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম ঠিক তখনই একটা পাশ থেকে পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে দ্রুত আমাদের সামনে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। ঠিক এমন সময়ে একটা স্কুটিতে একজন ভদ্রলোক এবং ভদ্র মহিলাকে সেই গাড়িটি প্রায় চেপে দিয়ে চলে যাচ্ছিল। তখন ওই স্কুটির চালকটি জোরে চিৎকার করে বলল আপনি কিভাবে গাড়ি চালান। তখন হঠাৎ করে সামনের গাড়িটি একটু সামনে গিয়ে ওই স্কুটির চালককে থামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে লাগলো। অর্থাৎ গাড়ির ভিতরে কিন্তু শুধুমাত্র গাড়ির ড্রাইভার ছিল। আর ওই ড্রাইভার নিজে ভুলে গিয়েছিল যে সে একজন ড্রাইভার। যাই হোক সে কোন পাওয়ার এ চলে তা আমার জানা নেই।
তখন সে ওই ভদ্রলোক এবং ভদ্র মহিলাকে গালাগালি করতে লাগলো। তখন কয়েকজন লোক এসে গাড়ির ড্রাইভারকে একটা পাশের জায়গা নিয়ে তার উপর চিৎকার করতে শুরু করল। কারণ এখানে সম্পূর্ণ দোষটা ওই গাড়ির চালকের। যাইহোক আস্তে আস্তে ভিড় বাড়তে শুরু করল এবং রাস্তায় জ্যাম বাড়তে শুরু করল। এরপর দেখলাম যে ট্রাফিক পুলিশগুলো আমাদের কাছে এসে ওই গাড়ির ড্রাইভারটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে একটা নিরাপদ জায়গায় রাখল। কেননা রাস্তার পথচারীরা ওই ড্রাইভার এর উপরে খুব রেগে গেল। এরপর ওই ভদ্র মহিলা পুলিশকে সব ঘটনা খুলে বলল। এছাড়াও যারা পথ চলতি মানুষ ছিল তারাও ওই খারাপ ব্যক্তিটির কথা পুলিশের কাছে তুলে ধরল। তখন পুলিশটি গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে ওই লোকটিকে নিয়ে থানা চলে গেল। এরপর আমি পুনরায় আবার বাড়িতে চলে এলাম। এই ছিল আমার আজকের দিনের ঘটনা।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
সেই গাড়ির ড্রাইভারের উচিত শিক্ষা হয়েছে। কারণ ভুল তো সে করেছিল এবং ভুল করার পর আবার স্কুটি চালককে কথা শোনালো। পুলিশ একেবারে উচিত কাজ করেছে সেই লোকটাকে থানায় নিয়ে গিয়ে। এই ড্রাইভারকে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া উচিত। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।