যেভাবে কাটে সময়গুলো।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে চলে আসলাম আবারও আপনাদের সাথে নতুন আরেকটি লেখা নিয়ে। আসলে এই লেখাটা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করার ইচ্ছে খুব একটা ছিল না। আজকে শেয়ার করার ইচ্ছে ছিলো ফুড রিভিউ, তবে ভাবলাম লেখাটা শেয়ার করাই যাক। তার কারণ হচ্ছে আমি খুবই অসুস্থ বোধ করছি আজকে। অর্থাৎ ব্যাক পেইন, পা ব্যথা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। বুঝতেই পারছেন খুব কষ্ট হচ্ছে। কারণ আমার বেশিরভাগ সময়ই কাঠের চেয়ারে বসে লেপটপে কাজ করা হচ্ছে। আজকে বেশ কয়েকদিন মনে হয় এমন যে একেবারেই টেবিল ছেড়ে যেন উঠতেই পারছি না। যেমন সকালের নাস্তা আম্মু টেবিলে এনে দেয়, এর পরে দুপুর বেলাও এসে আম্মু খাইয়ে দিয়ে যায়। এমন ভাবেই চলছে আমার দিন। সে কারণেই হয়তো ব্যাকপেইন টা আরো বেশি করছে।

যাইহোক কাজ তো তাও করতেই হবে। আপনারা তো অনেকেই জানেন আমি উইটনেসের প্রমোশন নিয়েই মোটামুটি কাজ করি।আর বলতে গেলে সারাটা দিন আমার এই নিয়েই চলে যায়।লেপটপের সামনে বসতে হয়, বিভিন্ন কাজ করতে হয়। এই কারণেই ব্যাক পেইনটা আরো বেশি করেই যেনো বাড়ছে দিন দিন।আসলে কাজ এর সমস্যা হলো পড়া সে সাথে কাজ সব ই তো মোটামুটি নতুন আমার কাছে,তাই যেতুটুকু সময় লাগা দরকার,তার চেয়েও এখন বেশি সময় লাগছে।

আম্মু গতকাল রাতেই বলল একটু ডাক্তার দেখিয়ে আসতেআর চেয়ার চেঞ্জ করতে। এখন আমার সমস্যা হল বেশি আরামের চেয়ারে বসলে আবার কাজ করতে মন চায় না।এজন্যেই আমি কাঠের চেয়ারে বসেই কাজ করি মূলত।

যাইহোক মানুষের জীবন যেহেতু রয়েছে এবং শরীর যেহেতু রয়েছে সেহেতু এই ধরনের বিষয়গুলো তো চলতেই থাকবে। আর অসুস্থতাকে বেশি গুরুত্ব দিলেও অসুস্থতা আরো বেশি মাথার উপরে উঠে নেচে বেড়ায়। সে কারণেই আমি প্রতিনিয়ত বলতে গেলে ওষুধের উপরেই থাকি। অর্থাৎ এমন একটা দিন যায় না যেদিন আমি ওষুধ খাওয়া ছাড়া থাকতে পারি। বলতে গেলে আমি বেশ অনিয়মিত জীবন যাপন ই করি। তা ও একটা কারণ।অর্থাৎ শুধু শরীরের দোষ দিয়ে লাভ নেই আমারও যথেষ্ট দোষ রয়েছে।

যাইহোক আজকে আপনাদের সাথে বেশ মজার একটি বিষয় নিয়েই এসেছি।দুঃখিত এতো গুলো কথা বলার জন্য। যদিও রোগ শোক নিয়ে অনেক কথা বলে ফেলেছি তার জন্য দুঃখিত, কারণ আপনারা তো সকলেই জানেন আমি একটু বেশি কথা বলতেই পছন্দ করি সবার সাথে। বিশেষ করে আপনারা তো আমার বেশ প্রিয় মানুষ। যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা আরো বেশি প্রিয়,হাহাহাহা। আমি একটু মজা করলাম আপনাদের সাথে।

আজকে এই ছবিটা দেখে বুঝতেই পারছেন এটা কার হাত।অর্থাৎ আমাদের প্রিয় নুয়াইরার হাত। সে আবার আমার সাথে বেশ মজা করতে পারে। অর্থাৎ আমার সাথে একটু বেশিই মিশে। যদি বাসায় বসে কাজ করা হয় তবে দিনগুলো কেমন যায় তার ই এক ঝলক দেখাচ্ছি আজ।

সেদিন আমি বসে কাজ করছিলাম। হুট করে নুয়াইরা এসে বলে আমাকে মেহেদি দিয়ে দাও। আসলে তার কথাগুলো তো বেশ কিউট হয়। তাই একেবারেই রিজেক্ট করতে পারিনা আমি। কারণ এতো মায়া মায়া করে কেমন একটা ভাষায় বলে যে একেবারে মন গলে যায়।

তো আমিও বললাম ঠিক আছে মেহেদী তো দিয়ে দিবো। বাট কি ডিজাইন করবো?প্রথমে বলে আপু ফুল এঁকে দাও আমি ফুল আঁকতে নিলাম আর সেই বলে নানা এ বি সি ডি আঁকো।

যেই বলা সেই কাজ,একে ফেললাম এ বি সি ডি অর্থাৎ লিখলাম। তবে তার ভাষায় হলো আমি এ বি সি ডি র ডিজাইন করেছি তার হাতে। সে তো মহাখুশি এতগুলো অক্ষর দেখে।

এরপর এ বি সি ডি সব অক্ষর গুলো লেখার পরে বললাম এরপর কি লিখবো। এরপর বলে নুয়াইরা লিখো।লেখা শেষ এ গেল ঘরের সবাইকে দেখানোর জন্য। যে সে কত সুন্দর মেহেদি ডিজাইন দিয়েছে। আসলে আমার কাছে বেশ মজাই লাগলো। কারণ আমার মনে হয় না এই ধরনের মেহেদী ডিজাইন কেউ হাতের দেয়।

আসলে ঘরে থাকলে সারাদিন এই মেয়েটার সাথেই থাকা হয়।অর্থাৎ আমার জীবন একেবারেই তছনছ করে দিচ্ছে আমাকে জ্বালিয়ে জ্বালিয়ে। কিন্তু কি আর করার একে তো আমার সহ্য করতেই হবে,যেহেতু আমার লাইফের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ এই ঝামেলাটাই।

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।