কিছুটা বোধ সকলের থাকা উচিত

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে আমার সাথে রিসেন্টলি ঘটা একটি ঘটনা শেয়ার করি। তো আসলে ব্যাপারটা খুব সামান্য। সামান্য চিন্তা করতে গেলে সামান্য কিংবা খুব বেশি কিছু চিন্তা করতে গেলে খুব বেশি কিছু। তবে আমি যেহেতু সব সময় সবকিছুকেই হালকা ভাবে নিতে পছন্দ করি। সে কারণেই এ ব্যাপারটাকে হালকার দলেই ফেললাম।

আর যেটা, এখন একটু ফ্রি টাইম পেয়েছি। তাই আপনাদের সাথে জেনারেল রাইটিং পোস্টগুলো শেয়ার করতে ভালোই লাগে। আসলে পূজোর বন্ধটা সত্যি খুব উপভোগ্য। কারণ সকাল বেলা ছয়টা বাজে ঘুম থেকে উঠতে হয় না, এটাই সবচেয়ে শান্তির। যাইহোক আর কথা না বাড়িয়ে মূল কথাই চলে আসি।

আপনারা সকলেই জানেন আমি মোটামুটি মেহেদি পরাতে পারি অর্থাৎ ব্রাইডাল মেহেদি। আমি এই পর্যন্ত অনেককেই পরিয়েছি। আর লাস্ট পরিয়েছিলাম আমার খালামণিকে। সেসব ছবি তো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম ই।তো এই ব্যাপারটা আসলে আমার পরিবারের সকলেই জানে, পরিবার বললে ভুল হবে, আমার গুষ্টির সকলেই জানে।অর্থাৎ আমি যে মেহেদী পরাই এই ব্যাপারটা সকলেরই অবগত রয়েছে। তো কম বেশি সবসময় সবাই এসে থাকে আমার কাছে মেহেদি পরার জন্য। আমিও কখনো খুব একটা বিরক্তবোধ প্রকাশ করি না।

কিন্তু গতকাল যেটা হলো সেটা তে আসলে বিরক্ত না হয়ে যেনো পারলাম ই না। যাই হোক, একটু খোলাখুলি ভাবে বললেই হয়তো বুঝতে পারবেন সামনেই আমার একটি ফুপ্পির বিয়ে। অর্থাৎ আমার বাবার আপন চাচাতো বোনের বিয়ে। যথারীতি নিমন্ত্রণ করা হয়েছে এবং অনেক আগে থেকে যেতে হবে এসব বলে রেখেছে।সেসব তো ঠিক আছে। কিন্তু গতকাল ফোন দিয়ে বলে আমি যেনো গায়ে হলুদের আগের দিন তাদের বাসায় যাই, তাকে মেহেদি পরিয়ে দেয়ার জন্য! অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন ব্রাইডাল মেহেদি দিতে প্রায় ছয় থেকে সাত ঘন্টার টানা বসে থাকতে হয়।

তখন ভাবলাম মানুষের কমনসেন্স কোথায় গিয়েছে! কারণ একটা মানুষকে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা টানা বসিয়ে রাখবে। আর সেই সাথে অনেকের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে এসব মেহেদি পরানো কিন্তু বর্তমানে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা দিয়ে পরায় মানুষ। হঠাৎ মেহেদী আর্টিস্ট রা ব্রাইডাল মেহেদী দেওয়ার জন্য প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা চার্জ করে। যা আমি কখনোই করি না। কারণ আমার এই জিনিসটা একেবারেই শখের। কিন্তু শখের বলে একটা মানুষকে এভাবে কি ঘরে ডাকা যায়?

হঠাৎ কারো কোনো প্রয়োজন হলে সে নিজে ঘরে আসতে পারে এবং যদি কেউ আমার ঘরে এসে ৬-৭ ঘন্টা মেহেদী দিয়ে দিতে বলে, আমি কিন্তু তাও পরিয়ে দি! বিরক্ত হই না! কারণ মানুষের ইচ্ছেকে দাম দেওয়াটা ভালোই লাগে। কিন্তু তাই বলে এভাবে ঘরে ডেকে এতক্ষণ ধরে কাজ করানোর কথা বলার মানে আসলে আছে কিনা আমার জানা নেই। তাই আমি সরাসরি মানা করে দিয়েছি। অর্থাৎ একটু ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে মানা করেছি, যাতে মাইন্ড না করে। কিন্তু ব্যাপারটাতে সত্যিই আমি খুব অবাক হয়েছি। অর্থাৎ এভাবে ফোন করে হুট করে কাউকে কাজ করার ডাকাটা আমার মতে অভদ্রতার মধ্যে পরে।আসলে কিছুটা ভদ্রতা বোধ তো সকলেরই থাকা উচিত, তাই না?

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।