@rme দাদার লেখা কবিতায় আমার কবিতা আবৃত্তির ভিডিও,মূলভাব,নিজস্ব কথা।||১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য||

---

🌼হ্যালো,আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি।

---

---

আজ আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি কিছুটা ভিন্ন ধর্মী কিছু নিয়ে।না মানে হচ্ছে,রোজ তো ধরুণ এটা ওটা লিখি তবে আজকের লিখার সাথে আপনাদের সামনে উপস্থাপনা করেছি একটি কবিতা আবৃত্তি।আমার নিজের করা একটি কবিতা আবৃত্তির ভিডিও।আর কবিতাটির কবি আমাদের সবার প্রিয় দাদা!

---

🌼কবিতার নামঃ সংগ্রামে পরিণয়

🌼কবির নামঃ @rme / phentom দাদা

🌼আবৃত্তিতেঃ নূসুরা নূর

---

---

আজকের কবিতাটির নামের সাথে কবিতাটির লাইনগুলোর যেনো একটু বেশিই মিল রেখেছেন আমাদের দাদা/কবি।

---

নিজের ভাষায় কবিতার মূলভাব

---

★★ বিঃদ্র: আমি কবিতাটি পড়ে যা বুঝেছি তাই লিখছি। অর্থাৎ আমার সাথে অন্য কারো মতের অমিল হতেই পারে বা কবির ও মতের অমিল হতে পারে।তার জন্য আমি অনেক দুঃখিত, আমার ভুল হলে আমাকে শুধরে দেওয়ার অনুরোধ রইলো। ★★

---

সংগ্রামে পরিণয় কবিতাটির প্রথম প্যারায় কবি লিখেছেন, এইমাত্র যে ফুলকে কবি হত্যা করেছেন তার বিচার কি হবে?অর্থাৎ কবি নিজেই নিজের বিচার হবে কিনা জিজ্ঞেস করছেন।
আমার কাছে এই লাইনগুলো অর্থ মনে হয়েছে - কবিতায় কবি ফুলের মাধ্যমে কোনো পবিত্র কিছুর তুলনা করেছেন।হতে পারো তা ভালোবাসা,হতে পারে তা মনুষ্যত্ব, মানবতা, বিবেক বা হতে পারে অন্য কিছু তবে পবিত্রই।
কবি পবিত্র কিছুর হত্যা করাতে কবির বিচার হবে কিনা তার প্রশ্ন তুলেছেন।
কবি এরপরে লিখেছেন তিনি সত্যিকারের মানবতা ভুলে এখন তিনি ওই পবিত্রতায় নিষিদ্ধ হয়ে গেছেন। কারণ তিনি তার ক্ষতি সাধন করেছেন।
আমরা যখন কোনো ক্ষতিসাধন করি তখন আমাদের বিবেক ঠিকই আমাদের প্রশ্ন করে। তবে অনেক বেশি ক্ষমতাশালীর এই বিবেকের তখন এই প্রশ্ন করেনা! কারণ সে জানে তার কাছে কেও জবাবদিহি চাইবেনা।
ক্ষমতাশীল ব্যাক্তি গুলো তখন আরো বেশি খারাপ কাজে মেতে উঠে,একটির পর একটি খারাপ কাজ করতেই থাকে।
তাই কবি নিজেকে দাবি করেছেন অভিশপ্ত যোদ্ধা হিসেবে।
এর পরের লাইনগুলোতে কবি বুঝিয়েছেন, মানুষ যতই খারাপ কাজ করুক না কেনো দিনশেষে সে ও কাওকে না কাওকে বিশ্বাস করে, ভালোবাসে। আর প্রকৃতি তার রিভেঞ্জ নিয়েই ছাড়ে! তাই সেই মানুষটি প্রতারিত হয় ওই ভালোবাসার, বিশ্বাসের মানুষদের দ্বাড়াই। ওই ভালোবাসার মানুষগুলো এমনভাবে ক্ষতি করে যেনো আর ঘুরে দাঁড়ানো না যায়। এক্কেবারের মতো একাকিত্বে ফেলে দেয় তারা মানুষকে।
তখন মানুষের টনক নড়ে, তখন সে আর একবার বাঁচতে চায় কিন্তু সময় তখন ফুরিয়ে যায়।
তাও কবি শেষ লাইনে নিজের আবেগ,তীব্র চাওয়া থেকে বলেছেন যে কবি এসব থেকে নিজেকে আত্মসমর্পণ করে দিবে যদি তার দিকে বাড়ায় দুটি বিশ্বাসী হাত।

---

কবিতাটির ব্যাপার নিজের বক্তব্য

---

আমার কাছে মনে হয়েছে আমাদের @rme দাদা বা কবি আমাদের সমাজের চিত্রকে তুলে ধরেছেন।
আমাদের সমাজে আজকাল প্রায় অনেকেই হয়ে উঠেছে অভিশপ্ত যোদ্ধা।
সবাই ক্ষতিসাধন করতে ব্যস্ত কিন্তু কখন যে নিজের ক্ষতি হয়ে যায় তা আর টের পাওয়া যায়না।
আমরা সবাই তাও একদম শেষে থমকে গিয়েও চাই আমাদের একটা বিশ্বাসী লোক হোক। যে আমাকে এসব থেকে টেনে তুলবে, যাকে আমি অন্ধের মতো বিশ্বাস করতে পারবো।
কিন্তু আসলে তা তো হয় না।

---

{ @rme দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,আপনার লেখা কবিতাটি আমাকে আবৃত্তি করতে দেওয়ার জন্য। জানিনা আমি কতটুকু পারলাম তবে দিন শেষে আত্মতৃপ্তিটার পরিমাণ অনেক বেশি,অনেক। }

---

আজকের জন্য আমার পোস্ট এখানেই শেষ করছি।আশা করি সবার ভালো লেগেছে। আর আমার কোনো ভুলত্রুটি হলে আমাকে ক্ষমা করবেন।আর আমাকে শুধরে দিবেন দয়া করে।
আপনাদের মন্তব্য এর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি আমি তাই অবশ্যই আপনাদের মন্তব্য জানাবেন।

---

❤️আবার ও ধন্যবাদ @rme দাদা। ❤️

ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

---

---