My birthday gift

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সাথে আমার বার্থডে গিফট গুলো শেয়ার করি। অর্থাৎ আমি বার্থডেতে কি কি পেয়েছিলাম সেসব। আর সে সাথে বার্থডের দিনটাও একটু শেয়ার করা যাক।

প্রথমেই আমি আর আমার ফ্রেন্ড মিলে গিয়েছিলাম হান্ডিতে। এটা সুপরিচিত একটু রেস্টুরেন্ট এবং হয়তো অনেকেই চিনে থাকেন। কারণ এটিতে ইন্ডিয়া ডিস গুলো খুব ভালো রান্না করা হয়। তো আমরা গিয়ে প্রথমে অর্ডার করেছিলাম বাটার চিকেন আর বাটার নান। কারণ আসলে আমরা দুইজন যখন বের হই তখন রাইস নিলে অনেক বেশি নষ্ট হয়। সে কারণেই আমরা নানটাকেই প্রেফার করি।

এরপর গিয়েছিলাম আমাদের আরও একটি পছন্দের কফি শপে। সেখানে গিয়ে দুজনে আড্ডা মারতে মারতে কফি খেলাম। আসলে ফ্রেন্ডের সাথে দেখা হলে যা হয় আর কি।

এরপর আমরা বাসায় চলে আসলাম। আর সে আমাকে অনেকগুলো গিফট দিয়েছিলো।তো ভাবলাম আপনাদের সাথে একটু ছবিগুলো শেয়ার করি।

আরে বার্থডের কেকটা মূলত আমিই কিনে নিয়ে এসেছিলাম। কারণ বাসার ছোটরা কেক খেতে খুব পছন্দ করে সে কারণেই।কিন্তু আমি এমনেই কেকটা কিনতে চেয়েছিলাম।কিন্তু আমার ফ্রেন্ড ই জোর করে আমার নামটা লেখালো কেকের উপর।কাজ না থাকলে যা হয় আরকি!

এরপর ভাবলাম একটু ফটোগ্রাফি করা যাক, আপনাদের সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্যে।

এরপর আমি আর আমার ফ্রেন্ড একটু ফটোগ্রাফি করছিলাম, কথা বলছিলাম, আড্ডা দিচ্ছিলাম। আর এরপরে তো তার ফাঁকে আম্মু নাস্তায় এনে দিলো। তা আমরা আড্ডা দিতে দিতেই খাচ্ছিলাম। কারণ বুঝতেই পারছেন দুই ফ্রেন্ড একসাথে হলে কি হয়।

এরপরে ভাবলাম যে গিফটগুলোর একটু আলাদা আলাদা ভাবে ফটোগ্রাফি করা যাক। এটা হলো আমার খুব পছন্দের একটি পার্স।আমি মোটামুটি পার্সগুলো সব সময় ophelia থেকেই কিনি। তো আমার ফ্রেন্ড ও সেখান থেকেই আমাকে গিফট করেছে। আসলে সে খুব ভালো করেই জানে আমার চয়েজগুলো।

এরপর আমার আরো একটি পছন্দের বুটিকস থেকে একটি বেশ সুন্দর পাকিস্তানি থ্রি-পিস গিফট করেছে। আসলে এই বুটিকস থেকে আমি কয়েকদিন আগেই একটি ড্রেস কিনেছি। যেটা আমি একেবারে প্রথম ছবিতে পরেছি। অর্থাৎ বার্থডের দিন পরেছিলাম। ওই যে বললাম আমার ফ্রেন্ড আমার চয়েজ সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানে।

এরপরে আমাকে খুব প্রয়োজনীয় একটি গিফট দিয়েছে, তা হলো হেডফোন। আমার হেডফোনটা আসলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর আমি আসলে ডেজেল থেকেই একটি হেডফোন কেনার প্ল্যানে ছিলাম। তো দেখলাম সে ই দিয়ে দিলো।

আর এরপর আমার সবচেয়ে পছন্দের ঘড়ির দোকান থেকে একটি খুব সুন্দর ঘড়ি আমাকে গিফট করেছে।

আর সেই সাথে অনেকগুলো চকলেট। যদিও চকলেট গুলো মোটামুটি নুয়াইরাই দখল করে নিয়েছে। কিন্তু দিয়েছিলো আসলে আমাকেই। অর্থাৎ আমাকে দিলেও সে যে নুয়াইরার জন্য দিয়েছে তা আপনারা ললিপপ গুলো দেখে আশা করি বুঝতে পারছেন, হাহাহা।

এইতো এই ছিলো আমার বার্থডে গিফট। আশা করি আপনাদের ভালোই লেগেছে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।