বহুদিন পর সকালে উঠার কষ্ট,ফটোগ্রাফী। ||১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য||
হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি।
আজকেও বেশ তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলাম।আসলে আমার ভোর খুব কমই দেখা হয় কারণ আমি সকালে খুব একটা ঘুম থেকে কখনোই উঠি না। আর উঠতে পারিও না।আসলে রাতে খুবই লেইট করে ঘুমানো হয়। যার কারণে ঘুমটাও সেই হিসেবে ভাঙ্গে দেরিতে।তবে আজকাল আর দেরি করে ঘুম থেকে উঠার সেই সুযোগ টা আর একেবারেই পাচ্ছিনা।আমার সকাল সাড়ে ছয়টা থেকেই প্রাইভেট থাকে।আসলে যেই স্যার এর কাছে পড়া শুরু করেছি। সেই স্যার উনার বাসাতেই ব্যাচ পড়ায়, যে কারণে খুব সকাল সকালে উঠেও যায়।আর বাসায় খুব সুন্দর ব্যাচ পড়ানোর ব্যবস্থাও আছে।আমি প্রথম দিন গিয়েই স্যার কে রিকুয়েষ্ট করেছিলাম যে আরেকটু দেরিতে পড়াতে।তবে স্যার সোজা মানা করে দিলো।এরপর আমি বলেছিলাম, তাহলে একেবারে ফজরের আযানের পরেই আসি।স্যার উত্তর দিলো, হ্যা আমার সমস্যা নেই!
আমার আর কি করার!চুপ হয়ে গেলাম তাই।
আজকে আমি আপনাদের সাথে যে ছবি গুলো শেয়ার করবো সেগুলো আমার দুই তিন আগে তোলা ছবি।ছবিগুলো একেবারে সকালের নয়,প্রায় সাড়ে দশটার ছবি।ছবিগুলো আমি প্রাইভেট থেকে আসার সময় ই তুলেছিলাম।সেদিন আমাকে সুমাইয়া ছয়টায় ফোন দিয়েই উঠিয়ে দিলো।আমার তো মনে হচ্ছিলো কিছুতেই চোখ খুলবেনা। মানে এতোটা ঘুম আসছিলো যে কি আর বলবো!ঘুমে জাস্ট চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসছিলো আমার।তাও কি করার ক্লাসে তো যেতেই হবে!
তাই কিছু করার না পেয়ে উঠে গেলাম কোনো রকমে।সকালে যে এতো ঠান্ডা লাগে তাও টের পেলাম ওইদিন।কারণ আমি সবসময় যখন ঘুম থেকে উঠি ততক্ষণে প্রায় দুপুর হয়ে যায়।আর তাই ঠান্ডাটাও সেভাবে পরে না আর।তাই অনেক কষ্টে কোনো রকমে রেডি হয় বের হলাম।বের হয়েই দেখি সুমাইয়া রাগী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আছে।কারণ আমি তখন প্রায় অনেকটাই দেরি করে ফেলেছিলাম।
এরপর আমি সরি টরি বলে হাঁটা দিলাম।কারণ তখন প্রায় অনেকটাই লেইট হয়ে গিয়েছিলো আমার।কারণ আমি মাঝে আবার ঘুমিয়ে পরেছিলাম।বুঝেন অবস্থা!
আসলে ঘুম আমাকে ছাড়তেই চায় না সকাল সকাল।আর এটা তো ভোর বেলা!
এরপর গেলাম প্রাইভেটে।পড়া শেষ করলাম।পড়া শেষ করে রিক্সার জন্যে হাঁটছিলাম তখন ই দেখি একটু ফুল গাছ বিক্রেতা দাঁড়িয়ে আছে।যদিও আমি গাছ বিক্রেতা দেখে ভেবেছিলাম অন্য কোনো ফলের গাছ ও থাকবে।তাই ভেবেছিলাম কোনো ফলের গাছ কিনবো।কিন্তু গাছের গাড়িটির দিকে এগিয়ে গিয়ে দেখি কোনো ফলের গাছ নেই। সব ফুল গাছ ই রয়েছে।
এরপর আমরা একটা একটা করে গাছ দেখতে লাগলাম।আসলে উপরের ছবি গুলোর ক্যাপশন দেখেই আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে আমি জানিনা ফুল গাছ গুলোর নাম কি!
এই জিনিয়া ফুল গাছটির নাম জানার একটি মাত্র কারণ হলো আমি এই গাছটি কিনেছি তাই।
অন্যান্য ফুল গুলো আমার কাছে খুবই কমন লেগেছে। যার কারণে আমি আর কিনি নি।উপরের প্রথম আর দ্বিতীয় ছবিতে যে গাছ গুলো দেখেছেন সেগুলো আমার খুবই ভালো লাগে কিন্তু ফুল গাছ গুলো আজকাল সব জায়গাতেই দেখা যায়।সেই কারণেই গাছগুলো আর কিনি নি আমি।
এরপর আমি কয়েকটা ফুল গাছের দাম জিজ্ঞেস করলাম।প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে বললো ফুল গাছ গুলোর দাম।আমি কয়েকটা কিনেও নিচ্ছিলাম। তবে মাঝে বাঁধ সাদলো সুমাইয়া।সে বললো এই ফুল গাছ গুলোর দাম নাকি ২০ থেকে ২৫ টাকা হবে।সে কোন নার্সারী থেকে নাকি কিনে।তাই এগুলো কিনতে মানা করলো।তবে ফুল গাছ গুলো দেখে আমার এতো ভালো লাগছিলো যে কি আর বলবো।জাস্ট চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছিলো।
এরপর আমি ঠিক করলাম জিনিয়া ফুলটিই কিনি।কারণ ছোট একটি চারা। বাসায় রাখতেও সমস্যা হবেনা।আমি তো বাসার বারান্দায় চারা রাখি।সেই কারণে বেশি বড় চারা হলে রাখতে বেশ বেগ পেতে হয়।সেই কারণেই আমি ছোট জিনিয়া ফুলের চারাটিই কিনলাম ৩০ টাকা দিয়ে।
এরপর একটা নাস্তার বেকারি শপে ঢুকলাম।সেখান থেকে কিছু নাস্তা কিনে নিলাম বাসায় গিয়ে খাওয়ার জন্যে।এরপর রিক্সায় উঠে পরলাম দুজন ই।এই ছবিটি রিক্সায় বসেই তুলেছি।সকালের দিকে লোকজন কম রাস্তা ঘাটে দেখেই কেমন যেনো শান্তি লাগে।
এই ছবিটি তুলেছি বাসায় চলে আসার সময়ে রিক্সায় বসে।সুমাইয়ার হাতে যে ফুল গাছটি দেখতে পাচ্ছেন সেটিই কিনেছি।আসলে গোলাপি জিনিয়া ফুল গাছটি কিনিনি কারণ অনেক দেখা যায় তাই।হলুদ জিনিয়া গাছটি খুব একটা দেখা যায় না তাই সেটাই কিনলাম।
এরপর তো বাসায় চলে আসলাম, আর বাসায় এসে একেবারে দুপুর পর্যন্ত আবার ঘুম!
ডিভাইস | আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স |
---|---|
লোকেশন | |
ছবি | নূসুরা নূর |
আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। আবার অন্যদিন অন্য কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।
ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনার ভোরে প্রাইভেটের গল্প শুনে,আমার নিজের প্রাইভেটের কথা মনে পরে গেলো।শীতকালে কি যে কষ্টের ছিলো,মাঝে মাঝে কুয়াশার জন্য রাস্তা দেখা যেত না।আর আপু ফুল গাছটা সুন্দর।
আসলে আপু অনেক কষ্টের।
আপু আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করছেন,প্রতিটা ফটো দেখতে অনেক সুন্দর।আপনি অনেক ভালো ফটোগ্রাফি করছেন।আপনার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
মেয়েরা এক সাথে ২/৩ জন থাকলে দোকান ওয়ালার লস হয় এটা আবার প্রমানিত হাহহাহহা। আপনি একা থাকলে কিন্তু অন্তত কয়েকটা নিয়ে নিতেন। তবে চারা যে এত কম দামে পাওয়া যায় এটা আমার জানা ছিল না। আমি কোন দিন গাছ কিনি নাই। আর হ্যা এত পরিশ্রম করে এত সকালে ঘুম থেকে উঠা সত্যি অনেক কষ্টকর। আপনি অনেক বেশি পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আপু। দোয়া রইল আপনার জন্য। স্যার কে পারলে কোন ভাবে রাজি করান আবার বলে রাজি হলে আপনার অনেক উপকার হবে।
আমি তো দাম শুনে খুশি হলাম যে বাহ এতো কম দাম!পরে সুমাইয়া নিতেই দিলোনা!
তার মানে আসলেই লস হলো উনার।😂
ভালোবাসা, শ্রদ্ধার জন্যে ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় বোন❤️❤️❤️🥰 খুনসুটি মানুষ তার সাথেই করে যাকে মন থেকে শ্রদ্ধা করে এবং ভালোবাসে।
সকালে একদিনও ঘুম থেকে উঠতে পারি না। কারণ হচ্ছে আমি সকাল পর্যন্ত জেগেই থাকি তার পর ঘুমাই। 😝
আপনার ফটোগ্রাফিগুলো অনেক ভালো লাগলো। আর আপনি যে জিনিয়া ফুলের চারাটি ৩০ টাকা দিয়ে কিনেছেন, সেইটা শাহবাগের কাছে ৫০ টাকা করে সেল হয়। আপনি জিতছেন।😝
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু।
হাহাহা,যাক জিতলাম তাহলে!
আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগল, খুব গুছিয়ে এবং মজা করে সবকিছু উপস্থাপন করেছেন, সকালে ওঠা আসলেই খুব কষ্টের একটি বিষয়। যেদিন আমার ক্লাস থাকে সেদিন সকাল 6 টায় উঠে গোসল করে ভার্সিটিতে যেতে হয়, আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। তাই সকালে ওঠার কষ্টটা বুঝি। বিশেষ করে যারা রাত জাগে, তাদের কাছে তো সকালের ঘুম মধুর চেয়েও মিষ্টি। 😅 😂
বলিয়েন না ভাই আর। সারারাত জেগে আবার সকালে ক্লাস।
এটি এক ধরনের ছোটখাট যন্ত্রনা এছাড়া আর কিছুই না, তবে পড়াশোনা তো করতেই হবে এর কোন বিকল্প নেই।
সকালে ওঠার অভ্যাস করাটা ভালো। ফুলগুলো খুবই রঙিন মনে হয়েছে আশাকরি আপনার সকালে ওঠা এখন থেকে রঙিন হবে। চেষ্টা করবেন ভোরে ওঠার নিরব প্রকৃতি সবকিছুই অন্যরকম। অনুভব করার চেষ্টা করবেন ভাল লাগবে ধন্যবাদ
আপনার সুন্দর মন্তব্য ও ভালো লাগলো আমার।
ঠিক বলেছেন আপু সকালে উঠা সত্যি খুব কষ্ঠের। আমি বুঝি কারণ আমার ও ঘুমাতে অনেক দেরি হয়ে হয়ে যায়।আর সকালে উঠতে গেলে অনেক কষ্ট হয়। তবে আপু আপনার পোস্ট টি পড়ে আমার ও প্রাইভেটের কথা মনে পড়ে গেল।আগে আমি ও সকালে আমি পড়তে গিয়ে স্যার কে বলতাম আর একটি বেলা করে পড়ানো যায় না। শুনে স্যার তো রেগে যেত। তবে ফুল গাছটি অনেক সুন্দর হয়েছে। ফুল গাছ আমার খুব পছন্দের।।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
হাহাহা,আমরা তাহলে দেখি সব এক ঘাটের মাঝি।
আপনার জন্যেও শুভকামনা রইলো বৌদি।
তাতো জানি, আমি সত্যি অবাক হয়েছি আপনি এতো সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন। আপনার ফোটোগ্রাফি গুলো অনেক চমৎকার ছিলো
বইলেন না ভাই, খুব কষ্ট হয়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বাসায় আসার পর থেকে আমি নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারি । সকালে ঘুম থেকে উঠলে দিনটা অনেক বড় মনে হয়। মনে হয় এত কাজ করছি তবু দিন কেন শেষ হয় না। আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার হয়েছে। প্রতিটি ফুল অসাধারণ। ফুলগুলো আমার বেশ ভাল লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।