অনেকদিন পর বেস্টফ্রেন্ডের সাথে বেস্ট ভেলপুরি খেতে।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আপনাদের সাথে আজ এই পোস্টটি শেয়ার করবো।তাই আমি কয়েকদিন আগে আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। আসলে আমার স্কুল এবং কলেজ আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে একসাথে পড়া হয়েছিলো। তবে দুর্ভাগ্যবশত ভার্সিটি একসাথে পড়া আর কোনভাবেই সম্ভব হয়নি।সে চলে গিয়েছে অন্য সাবজেক্টে আর আমিতো সেই ইঞ্জিনিয়ারিং এ চলে এসেছি। সে কারনেই আসলে চাইলেও আগের মত দেখা হয়না কিংবা আগের মত কথা হয়না। সে কারণেই বেশ কয়েকদিন ধরে আমরা ভাবছিলাম কিভাবে দেখা যায়, কিভাবে দেখা করা যায়।

আসলে দুজন এর ই সময় হচ্ছিলো না, তার কারণ হলো দুজনেই দুজনের জীবনে বেশ ব্যস্ত হয়ে পরেছি। অর্থাৎ নিজেদের কাজ তো থাকেই সে কারনেই আসলে একেবারেই আমরা দেখা করে উঠতে পারছিলাম না। সেজন্যে আমাদের দেখা করার প্ল্যান অনেকদিন ধরেই হচ্ছিলো,কিন্তু কোনরকমে দেখা হচ্ছিলো না।

কিন্তু আমাদের দেখা তো করারই ছিল। সে কারণেই আমরা তাড়াতাড়ি ম্যানেজ করে ফেললাম দেখা করার একটি দিন যে রকমেই হোক।

আমরা দেখা করবো ঠিক করেছিলাম ফিনলে স্কয়ার এর পাশে একটি পার্ক রয়েছে বিপ্লব উদ্যান অর্থাৎ ছোটখাটো খোলামেলা পার্কের মতো। আর সেটা ছিল একেবারেই ফ্রী অর্থাৎ সবাই এখানে ফ্রিতে বসতে পারে, সবাই গল্প করতে পারে, আড্ডা দিতে পারে এই জায়গাটাতে। কমবেশি সব বয়সের মানুষের আড্ডা দেয়া হয় সেটা যেকোনো সময় হোক না কেনো।

তাই প্রথমে গিয়ে দুজনে কিছুক্ষন কথাবার্তা বললাম, বসে এরপর দুজনে ভেলপুরি খেলাম। আসলে দুই প্লেট না আমরা মূলত দুই প্লেট করে খেয়েছিলাম। অর্থাৎ দুজনে চার প্লেট খেয়েছিলাম। কারণ এই ভেলপুরিটা এতোটাই মজা যে কেনো জানি মন ভরেনা, পেট ভরলেও।তাই আমরা দুজনেই দুইটা করে খেলাম আর আমাদের দুইজনের খুবই পছন্দের এই ভেলপুরিটা।

এরপরে প্রচন্ড ঝাল লাগছিলো আমাদের। তার কারণ হচ্ছে আমরা অসম্ভব ঝাল দিয়ে ভেলপুরি খাই।আর ঝাল ছাড়া ভেলপুরি মজা লাগে না। সে কারণেই আমরা পাশে আইসক্রিম খাওয়ার জন্য চলে গেলাম। কারণ আইসক্রিমটা আমাদের খুবই পছন্দের। সে কারণেই আমরা তাড়াতাড়ি করে আইসক্রিম খেতে গেলাম।এই আইসক্রিমটা লাস্ট খেতাম স্কুলের সময়। আর এর পরে এখন আবার কয়েকদিন ধরে খাচ্ছি। কারণ এই কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে আইস্ক্রিমওয়ালা কে,মাঝে যেনো হারিয়েই গিয়েছিলো।

আইসক্রিমটা ভিতরে অনেক বেশি করে কনডেসমিল্ক দেয়।যা আমার আরও একটি পছন্দের খাবার।সে কারণেই এই আইসক্রিমটা একটু বেশি পছন্দের।

এরপর দুজনে একটু বসে পরলাম আড্ডা দেওয়ার জন্যে।অনেক কথা,অনেক গল্প মানে যেনো জাস্ট শেষ ই হচ্ছিলো না।তাই আড্ডা চললো বেশ খানিকক্ষণ।

এরপর ভাবলাম দুজন একটু ছবি তোলা যাক।আসলে দুই বান্ধুবী একসাথে হলে মোবাইল এর স্টোরেজ শেষ হয়ে যায় কিন্তু ছবি তোলা শেষ হয়না।

এরপর আরো দুটো জায়গায় গিয়েছিলাম,তা অন্য পোস্টে শেয়ার করবো,কারণ আজকের এ পোস্টে সেসব ও শেয়ার করলে পোস্টটা বিশাল হয়ে যাবে।

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।