স্কিন কেয়ারে নিউ কিছু প্রোডাক্ট।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে আপনাদের সাথে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করার কথা ভেবেছি। তো তা ই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এলাম। আপনারা যারা নিয়মিত আমার পোস্ট পড়ে থাকেন তাদের মধ্যে অনেকে জানেন যে আমি মোটামুটি স্কিন কেয়ার খুব বেশি ভালোবাসি। অর্থাৎ আমার স্কিন কেয়ার এর সে বিষয়ে আর কি।আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

আমি আসলে মেকআপের চেয়ে স্কিন কেয়ারে বেশি বিশ্বাসী। কারণ নিজের ত্বককে হেলদি করার মতো শান্তির আর কিছুই নেই। কারণ মেকআপ বিষয়টা একেবারেই টেম্পোরারি। আর স্কিন কেয়ারে স্কিনটাকে হেলদি করা হয় তা একেবারেই হলো নেচারাল।

তো সে কারণেই আমি মূলত স্কিন কেয়ার টাকেই এতো বেশি ভালোবাসি। হ্যাঁ তবে এখানে একটা ব্যাপার আছে যে স্কিন কেয়ার করে আল্লাহর দেওয়া প্রদত্ত মুখের রঙ কে একরকম থেকে একেবারে কখনোই অন্যরকম করা যাবে না। কিন্তু স্কিন কেয়ারের মাধ্যমে ত্বকটাকে উজ্জ্বল এবং হেলদি করা যাবে। যা ই মূলত আমাদের প্রয়োজন এই স্কিন কেয়ার করা।তবে স্কিন কেয়ার মানেই রঙ ফর্সাকারী ক্রিম নয়।

যাইহোক আমার স্কিন কেয়ারে আমি আরো কিছু নতুন প্রোডাক্ট এড করেছি। তো তা কি কি তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক, যদি কারো ভালো লাগে।

আমি সব সময় স্কিন কেয়ার এর প্রোডাক্টগুলো একেবারে অথেন্টিক সাইট থেকে কেনার চেষ্টা করি। তো স্বাভাবিকভাবেই একটি পেজ থেকে প্রোডাক্টগুলো অর্ডার করেছিলাম। তো কয়েকদিন আগেই এলো আমার প্রোডাক্টগুলো ।

আসার পর আমি আনবক্সিং করছিলাম। মূলত তিনটা জিনিস অর্ডার করেছিলাম। একটা হলো একটি মাইল্ড ফেসওয়াস, একটি এক্সফোলিয়েটর আর লিপ মাস্ক।

প্রথমেই স্লিপিং মাস্ক বা লিপ মাস্ক নিয়ে যদি বলি। এটা হল রাতে শোয়ার সময় লাগাতে হয়। এতে করে লিপস সফট হয় এবং যে আমাদের ঠোঁটগুলো শুষ্ক হয়ে যায় তা থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে।

এরপর আমি এই ফেসওয়াশটার কথা বলবো। এই ফেসওয়াশ এর নাম হলো রাইস ওয়াটার ব্রাইট। এটা একটা জাপানিজ প্রোডাক্ট। আর যেহেতু আমার বেশ অনেকবার ঘর থেকে বের হওয়া হয় প্রতিদিন। তাই আমি একটি স্ট্রং ফেসওয়াশ এর সাথে একটি মাইল্ড ফেসওয়াস ব্যবহার করি। তো এটা হলো এমন ফেসওয়াশ যা দিনে দুই তিনবার ব্যবহার করা হয় আমার।

আর এরপরে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল এক্সফোলিয়েটর। আসলে এক্সফোলিয়েটর এর কাজই হলো আমাদের স্কিনের যে উজ্জ্বলতা তা ফিরিয়ে আনা এবং স্কিনকে টোন আপ করা,ব্ল্যাক হেডস,হোয়াইট হেডস দূর করা,বাম্পস কমানো। তবে এখানে একটা ব্যাপার রয়েছে সেটা হল এক্সফোলিয়েটর বেসিক স্কিন কেয়ারে দ্রুতই শুরু করা যাবে না। এই স্টেপ টা শুরু করতে হবে বেসিক স্কিন কেয়ারের কয়েক মাস পরে।কারণ এটা খুবই স্ট্রং,তাই এটি ১ম দিকে সপ্তাহে শুধু ২বার ইউজ করতে হয়।

যাইহোক আসলে অথেন্টিক প্রোডাক্ট কিনলে এবং স্কিনে স্যুট করলে এই প্রোডাক্ট গুলো খুবই ভালো। আর আমি মোটামুটি ব্যবহারও করেছি। তো আমি বলতে পারি যে প্রোডাক্ট গুলো খুবই ভালো। কারণ জাপানিজ এবং কোরিয়ান প্রোডাক্টগুলোর খুব ভালো রিভিউ পাচ্ছি আজকাল, স্কিন কেয়ারের প্রোডাক্টগুলোর। যাইহোক আজকের জন্য এতোটুকুই।আশা করি ভাইয়ারা না বুঝলেও, আপুদের ভালোই লাগবে,হাহাহাহা।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।