এক্সাম এর পরে বার্গার ওয়ার্ল্ডে।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

এক্সামের পরে একসাথে খেতে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমি একটি পোস্ট লিখেছিলাম। সে পোস্ট লিখেছিলাম যে একটি রেস্তোরাঁয় খাওয়ার পরে অর্থাৎ দা ইটালিয়াতে খাওয়ার পরে আমরা আরও একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলাম। আসলে আমাদের আরো কিছু খাওয়ার ইচ্ছে এবং প্ল্যানিং ছিলো। সে কারণেই যাওয়া। দা ইটালিয়ার ঠিক অপজিটে ছিল বার্গার ওয়ার্ল্ড। এই রেস্তোরাঁ নিয়েও আপনারা হয়তো আমার আইডিতে পোস্ট দেখেছেন।কারণ এই রেস্তোরাঁতেও আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছি। আমার বেশ পছন্দের খাবার এখানকার খাবারগুলো।

তো আমরা প্রথমে গেলাম, যাওয়ার পরে কিছুক্ষণ বসলাম বসে ভাবলাম কিছু গল্প করি আর কিছু ছবিও তুলে নেওয়া যাক সেই ফাঁকে। অর্থাৎ ইন্টেরিয়রের ছবি, আমরা ছবি তুলেছি অনেক তবে আমাদের ছবি গুলো দেখাচ্ছি আপনাদের আরো পরে।

আসলে তারা ইন্টেরিয়ার টি খুবই সুন্দর করে সাঁজিয়েছে। আমি আপনাদের ছবি দিলে আপনারা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন আশা করি। দেখতেই পাচ্ছেন।

এখানে প্রথমে পেমেন্ট করতে হয়।তাই আমরা মেনু দেখে অর্ডার করলাম ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, আর নাচোস। আমরা মূলত নাচোস খাবার জন্য এখানে এসেছিলাম। সেইসাথে অর্ডার করলাম কোল্ডড্রিংস।

তাদের প্লেটিং আমার সব সময় খুব পছন্দের। কারণ তারা খুব সুন্দরভাবে ডেকোরেশন করতে পারে। আর বিশেষ করে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর সাথে যে সসটি দেয় তা আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। তাদের ফ্রেঞ্চ ফ্রাইটি স্পাইসি হওয়ার কারণে আমার খেতে ভালোই লেগেছে। আর একেবারে গরম গরম বানিয়ে দেয়।

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই টা খেতে খেতেই নাচোস আর কোল্ডড্রিংস চলে আসলো, কোল্ডড্রিংস তো না হলে চলেই না।

নাচোস টা সত্যিই খুব মজার ছিল। আর কত বেশি চীজ আর সস দিয়েছে তা তো আপনারা উপরের দেখতেই পাচ্ছেন। আসলে নাচোসের মজাটাই হচ্ছে অনেক বেশি টপিংস দিলে। আমরা আড্ডা দিতে দিতেই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ফেললাম। কারণ এতো মজার খাবার ছিল যে আমরা বেশিক্ষণ ওয়েট করিনি।

এরপরে সবাই মিলে অনেকগুলো ছবি তোলা হলো। আসলে সব ছবি এক পোষ্টে দেওয়া সম্ভব নয়, এতগুলো ছবি তুলেছিলাম।তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে কয়েকটা ছবি শেয়ার করা যাক।

এখানে যে চারজনকে দেখতে পাচ্ছেন আমরা হলাম ভার্সিটিতে মোটামুটি একটু কথাবার্তা বলি এমন। অর্থাৎ ফ্রেন্ড বলা যায় আবার বলা যায়না।তবে ভালো কথা হয় এই আর কি।

এরপরে ফটো বুথ ছিলো ভাবলাম ফটো বুথে কিছু ছবি তোলা যাক। কারণ ফটোবুথটি বেশ সুন্দর লাগছিলো দেখতে।

এরপর আরো কিছুক্ষণ গল্পগুজব করে বাসায় দিকে রওনা দিলাম।

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।