ফিরে দেখা সে পুরোনো স্মৃতি।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

এবারে চলে আসলাম নতুন আরো একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।

বেশ কয়েকদিন আগে কিছু কাজে স্কুলে যেতে হয়েছিলো আমার। অর্থাৎ বেশ কিছু কাজ ছিলো, কিছু কাগজপত্রের কাজ ছিলো বললেই চলে আরকি। তো মোটামুটি সেই কাজেই বেশ অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম যে স্কুলে যাবো। তো যে ভাবা সে কাজ। একদিন কিছুটা ফ্রী সময় পেয়ে চলে গিয়েছিলাম স্কুলে। তো তখন আবার টিফিন টাইম ছিলো। সে কারণে স্কুলের মাঠে অনেক বেশি স্টুডেন্ট ছিলো।

যাইহোক প্রথমে গিয়ে হেড স্যারের সাথে দেখা করলাম। উনার সাথে কিছু কাজ করে এরপরে স্যার বললো আমাদের অপেক্ষা করতে। সে কারণেই ভাবলাম নিচ তলায় একটু গিয়ে বসা যাক ক্লাসের পেছনের দিকে।

ক্লাসের পিছনে আমি আর আমার ফ্রেন্ড মিলে বেশ কিছুক্ষণ বসে আড্ডা দিলাম। আর মজার ব্যাপার হলো স্কুলের মেয়েগুলো জিজ্ঞেস করছিলো যে আমরা ক্লাস নাইন টেনের কিনা!! ব্যাপারটা শুনে আসলে বেশ মজাই লাগলো।

যখন ফ্রেন্ডের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন হুট করে পাশে চোখ পরতেই দেখলাম আমরা এই বেঞ্চগুলোতেই বসতাম। যদিও এখন ফাঁকা পরে আছে। আসলে দেখার সাথে সাথেই মনটা কেমন যেনো করে উঠলো। কারণ এই বেঞ্চগুলোকেই ড্রাম এর মতো বাজিয়ে গান গাইতাম কতো গলা ছেড়ে, সে সময় গুলোর কথা মনে পরে গেলো।

আসলে সময় খুব দ্রুতই চলে যায়। তার প্রমাণ হলো এই বেঞ্চগুলোই। বেঞ্চগুলোতে একটা সময় আমরা বসতাম, এখন আমাদের নেক্সট জেনারেশন বসছে। কিন্তু সকলের স্মৃতিগুলো হয়তো কম বেশি ঠিক এক রকমই হবে। সেই ফেলে আসা স্মৃতিগুলো সবার তো এক রকমই হয়, তাই না?

যাইহোক এরপর কাগজপত্রের বাকি যে কাজগুলো ছিল সেগুলো সেরে নিলাম। এরপরে ভাবলাম একটু টিচারদের সাথে দেখা করা যাক। তো ততক্ষণে স্কুলের টিফিন পিরিয়ড শেষ।তাই সব স্টুডেন্ট এবং টিচাররা ক্লাসে চলে গিয়েছে। তাও আমি আর আমার ফ্রেন্ড একটু হেঁটে হেঁটে দেখছিলাম। আসলে এই জায়গাটা আমার অসম্ভব পছন্দ অর্থাৎ আমার স্কুল।

এরপরে আমরা আমাদের হল রুমের সামনে এসে সত্যিই থমকে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কারণ একটা সময় এই হল রুমের নাম যখন সৈকত মিলনায়তন দেওয়া হয়েছিলো। তখন আমরা বেশ হাসাহাসি করেছিলাম এই ধরনের নাম দেওয়া নিয়ে। কিন্তু এতো বছর পর এই জায়গাটা দেখার পর মনটা কেমন করে উঠলো।

এরপরে আসলে আর বেশিক্ষণ স্কুলে থাকা হয়নি। কারণ খুব একটা ভালো লাগছিলো না, মন খারাপ করছিলো। সে কারণে কাজ শেষ করতেই আমি আর আমার ফ্রেন্ড বেরিয়ে স্কুলের সামনে সেই পরিচিত ফুচকার দোকানটিতে ফুচকা খেলাম। যদিও আগের সে টেস্ট একেবারেই নেই।

এরপরে ঝালমুড়ি নিলাম, কিন্তু ঝালমুড়িটাতেও আগের সে মজার টেস্টটা পেলাম না। কারণ আগের যে মামা ঝালমুড়ি বিক্রি করতো তাকে পেলাম না।

তাই আমরা চলে গিয়েছিলাম আমাদের প্রিয় শর্মা আর জুস খাওয়ার জন্য।সেই স্কুলে গিয়েছিলাম সকালে আর তখন প্রায় দুপুর হয়ে গিয়েছিলো।তাই প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছিলো। তাই আমি নিয়েছিলাম পেঁপের জুস আর আমার ফ্রেন্ড নিয়েছিলো লাচ্ছি।

এই শর্মাটাকে চট্টগ্রামের বেস্ট শর্মা বলা যায়।

আর তাদের লাচ্ছি আর জুস সবসময় ই আমার জন্যে সেরা।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।