---

🌼হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি।

---

আমি কয়েকদিন আগে একটি রেস্তোরায় গিয়েছিলাম।রেস্তোরাটি আমার খুবই পছন্দের একটি রেস্তোরা,তাই আমি প্রায় যাই।তো ওইদিন যাওয়ার পর ভাবলাম রেস্তোরাটির খাবারের ছোট একটি রিভিউ আপনাদের সাথে শেয়ার করি আর রেস্তোরাটির সৌন্দর্য ও।তাহলে চলুন শুরু করি,

---

---

রেস্তোরাটির নামঃ বারকোড ফুড জাংশন
রেস্তোরাটির লোকেশনঃ এন মোহাম্মদ হল , বহদ্দারহাট।

---

" বারকোড ফুড জাংশন " এর খাবারের মান

---

^{https://w3w.co/wand.from.split}

---

" বারকোড ফুড জাংশন " রেস্তোরাটির খাবারের মান অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ। এর বাইরে বেশি কিছু বলার নেই কারণ তারা তাদের কাস্টোমারদের খুব গুরুত্বের সাথে দেখে আর প্রাপ্য সম্মান দেয়। তারা সবসময় তাদের খাবার নিয়ে চিন্তিত থাকে। তাদের রেস্তোরায় প্রতিদিন অনেক বেশি মানুষ যায়। স্বাভাবিকভাবে বলতে গেলে এই রেস্তোরায় মানুষ যেভাবে যায় চট্টগ্রামের আর কোনো রেস্তোরায় ওইভাবে যায়না।

---

^{https://w3w.co/wand.from.split}

---

এই রেস্তোরার প্রথম খবর পাই সোশাল মিডিয়াতে।এই রেস্তোরা বেশি পরিচিতি পেয়েছে একটি বিশেষ কারণে। কারণ হচ্ছে এই রেস্তোরার সম্পূর্ণ ডেকোরেশন করা হয়েছে ওয়েস্টেড জিনিষ পত্র নিয়ে। অর্থাৎ বিভিন্ন ফেলে দেওয়া বা পুরনো জিনিষপত্রকে প্রসেসিং করেই এই রেস্তোরাটি ডেকোরেশন বা সাজসজ্জা করা হয়েছে। ব্যাপারটা বেশ ইউনিক না?

এই রেস্তোরায় প্রতিদিন অনেক বেশি মানুষ আসে আর রেস্তোরার স্পেসটিও বিশাল বড়। আসলে এই রেস্তোরাটির জায়গাটি আগে মূলত ছিলো একটি বিয়ের ক্লাব। বিয়ের ক্লাবটি অনেক বড় তাই ক্লাবের পুরো এক পাশ এই রেস্তোরাকে দিয়ে ফেলেছে।

---

আমি যা অর্ডার করেছিলাম

---

^{https://w3w.co/wand.from.split}

---

২ টি চিকেন টিক্কা - ( প্রতি পিস দাম-১২০টাকা )
৩ টি বাটার নান - ( প্রতি পিস দাম - ৩০ টাকা )
২ টি সফট ড্রিংকস - ( প্রতি গ্লাস দাম - ২০ টাকা )
২ কাপ মালাই চা - ( প্রতি কাপ দাম - ২০ টাকা )
ভ্যাট ছিলো না কোনো।
মোট বিল - ৪১০ টাকা।

আমার দেওয়া রেটিংঃ ৪.৯/৫

আমার কাছে খাবার যেমন লেগেছে

---

^{https://w3w.co/wand.from.split}

---

আমার কাছে তাদের খাবার খুব বেশি পছন্দ । এই নিয়ে চারবার গেলাম রেস্তোরাটিতে। ওরা যখন খাবার সার্ভ করে তখন ওরা খুব বেশি সচেতনতা মেনে চলে।দেখতেই পাচ্ছেন খাবারগুলো পাতলা প্লাস্টিক দিয়ে রেপিং করা।

প্রথমে বলি চিকেন টিক্কাটার কথা। চিকেন টিক্কাটি খুব মজা হয়েছে। ওরা চিকেন টিক্কাটা করে প্রথমে মশলা মাখিয়ে আগুনে ঝলসায় মেশিনের মাধ্যমে। এরপর আবার মশলা মাখিয়ে একটু রান্না করে। আমি মুখে দিয়ে বুঝেছি যে তারা রান্নায় ব্যবহার করেছে কাশ্মীরি গুড়া মরিচ কারণ টিক্কাটার কালার একদম লাল। আরো দিয়েছে গোল মরিচ যা আমার খুবই পছন্দ আর সাথে সরিষার তেল ব্রাশ করে দেওয়াতে একটা ঝাঁঝালো ফ্লেবার আসতেছে যা আমার খুবই মজা লাগছে।সাথে আরো কিছু হয়তো মশলা দিয়েছে যা আমি সব বলতে পারবোনা। তবে খেয়ে জাস্ট ওয়াও হইছে।

আরেকটা খাবার যা ম্যানশন না করলেই না তা হচ্ছে টিক্কার সাথে দেওয়া তেতুলের সসটা। উফফফ এটার স্বাদ যে কি তা না খেলে বুঝাইতে পারবোনা। এতোটা মজা যে কি আর বলবো।এটার বর্ণনা আমি দিতে পারবোনা। এটার স্বাদ জাস্ট অতুলনীয়।

---

^{https://w3w.co/wand.from.split}

---

এখন বলবো তাদের বাটার নান এর কথা। বাটার নানটা ক্রিস্পি আর সেই সাথে সফট ও। এতোটা সফট নান আমি খুব কম জায়গাতেই খেয়েছি।

---

^{https://w3w.co/wand.from.split}

---

এখন বলবো তাদের মালাই চা টার কথা। তাদের মালাই চা টা বৃষ্টির দিনের জন্য জাস্ট জমে যায়। খুব বেশি মজা হয়, একদম পরিমাণ মতো চিনি দেয়, পরিমাণ মতো দুধ দেয়। সব মিলিয়ে জাস্ট স্বর্গীয় একটা স্বাদ।

---

" বারকোড ফুড জাংশন " রেস্তোরাটির সজ্জাশিল্পী

---

^{https://w3w.co/wand.from.split}

---

রেস্তোরাটির দুইটি পার্ট। আমি ভেতরের দিকে বসেছি আজ তবে বেশিরভাগ সময় ই বাইরের দিকেই বসি। তাদের ডেকোরেশনটা আমার খুব বেশি পছন্দ কারণ তারা বিভিন্ন ওয়েস্টেড জিনিষ নিয়ে দিয়ে তাদের পুরা রেস্তোরাটি সাজিয়েছে। এইযে ছবিতে দেখতেই পাচ্ছেন একটি গাড়ির ফটোবুথ।এটাও আসল গাড়ির ওয়েস্টেড পার্টস দিয়ে বানানো।

---

^{https://w3w.co/wand.from.split}

---

আর ভেতরটাও খুব সুন্দর। ছবিতে দেখতেই পাচ্ছেন আশা করি। আমিও তাই ছবি তুলে নিয়েছি । এতো সুন্দর জায়গায় ছবি তুলার সুযোগ কি আর হাত ছাড়া করা যায়! বলুন!
তাদের রেস্তোরাটির লাইটিং ও খুব বেশি ভালো, খুব বেশি ভালো।

---

^{https://w3w.co/wand.from.split}

---

আমি প্রচন্ড ছবি তুলার পাগল একজন মানুষ।তাই জন্যে নিজেও কয়েকটা ছবি তুলে ফেললাম।আশা করি রেস্তোরাটির অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য আসলেই কতটা সুন্দর তা বুঝতে সমস্যা হচ্ছেনা আর।

---

^{https://w3w.co/wand.from.split}

---

এইতো এভাবেই কেটে গেলো আমার সন্ধ্যা। খাবারগুলো সত্যিই খুব মজা হয়েছে। সব মিলিয়ে দিনটাও খুব ভালো ছিলো। নিজের দিন গুলো নিজের মতো করে উপভোগ করলে দিন শেষে যে আলাদা আত্মতৃপ্তিটা পাওয়া যায় তার তুলনা অন্য কিছুর সাথে করা যায়না।
এইতো এখানেই শেষ করছি আজকে লিখা।অবশ্যই অবশ্যই জানাবেন আমার আজকের লেখাটি আপনাদের কেমন লাগল।মন্তব্য জানাতে একদম ভুলবেন না।

---

ভালোবাসা নিবেন❤️

ইতি,
নূসুরা নূর।

---