বীর চট্টলার এক্সপেরিয়েন্স

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

বেশ অনেকদিন আগে চট্টগ্রামের একটি স্বনামধন্য রেস্টুরেন্ট এ গিয়েছিলাম। কিন্তু সত্যি কথা বলতে experience খুব একটা ভালো ছিলো না। তবে এই রেস্টুরেন্টে যে আমি সেদিন প্রথমবার গিয়েছি তা কিন্তু নয়। আমার বেশ কয়েকবার যাওয়া রেস্টুরেন্টেট এটি। কিন্তু সেদিনের খাবার আমার কাছে তুলনামূলক ভালো লাগেনি। অর্থাৎ খুব একটা ভালো লাগেনি কিংবা একেবারেই খেতে পারেনি তা কিন্তু নয়। অর্থাৎ খুব একটা আহামরি লাগে নি অন্তত টাকার হিসেবের তুলনায় আর কি।

যাইহোক এই রেস্টুরেন্টে যেহেতু আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম। তাই আমি চেষ্টা করি ভিন্ন জায়গাতে বসতে। অর্থাৎ এই রেস্টুরেন্টেটিতে প্রায় চার-পাঁচ রকমের রুম রয়েছে। তো প্রতিটি রুমের ডেকোরেশন আবার আলাদা আলাদা। তবে প্রতিটি রুমের ডেকোরেশনেই রয়েছে সম্পূর্ণ বাঙালিয়ানার ছোঁয়া।

তো আমি সেদিন একটু ভেতরের দিকে রুমটাতে বসেছিলাম। যেটা একেবারেই মনে হচ্ছিলো যেনো আমি কোনো গ্রামে চলে এসেছি। অর্থাৎ রুমটা একেবারে যেনো কোনো কৃষক বাড়ির।

আমি কেনো এ কথা বললাম তা আপনারা ছবিটা দেখলেই বুঝতে পারবেন। কারণ রুমটা করা হয়েছিলো একেবারেই টিন দিয়ে। আর সেইসাথে একেবারে টিনের ঘরে যেমন প্লাস্টিকের একটি আয়না থাকে, এরপরে কৃষকের মাথার একটা যে টুপি থাকে সেটা কিংবা, টিনের বাক্সে চাউল থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি।

যেটা দেখে আমার আরো ভালো লেগেছিলো সেটা হচ্ছে তাদের জানালাটা পর্যন্ত গ্রামীণ দৃশ্যের মতো করেই করা হয়েছে। যেটা আপনারা ছবিতেই দেখতে পাচ্ছেন।।সে সাথে তাদের যে ওয়ালমেটগুলো রয়েছে সেগুলোও খুব সুন্দর।

আমরা ছোটবেলায় এই খেলা গুলো খেলিনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ও কঠিন। অর্থাৎ এই যে যদু, মধু, রাম, সাম কিংবা চোর, ডাকাত, বাবু, পুলিশ এই খেলাগুলোর সাথে আসলে আমাদের ছোটবেলা এবং ছোটবেলার স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। তো সেসবের ওয়ালমেট দেঝে আসলে রুমটাতে বসেই বেশ ভালো লেগেছিলো আমার।

তো আমরা আসার পরেই খাবার অর্ডার দিয়েছিলাম। তো খাবারে যা অর্ডার দিয়েছিলাম তা হলো সাদা ভাত, কাচ্চি রাইস, বেগুন ভর্তা, চিকেন কালা ভুনা,রূপচাঁদা মাছ, সালাদ আর সে সাথে কোল্ড ড্রিংক্স আর পানি ।

আমার বদ্ধ ধারণা ছিল যে তারা বেগুন পুড়িয়ে এরপরে ভর্তা করবে। কারণ বেগুন ভর্তা বলতে সাধারণত আমি এটাই বুঝি যে বেগুনকে পুড়িয়ে এরপরে ভর্তা করবে। কিন্তু তাদের বেগুন ভর্তা তে বেগুনের চেয়ে নারিকেলের স্বাদটাই বেশি পেয়েছি। তাই আমার কাছে খুব ভালো লাগেনি। ঠিক তেমনটাই চিকেন কালা ভুনাটাও অর্থাৎ এতো বেশি ফ্রাই করেছে যে চিকেনের টেস্টই হারিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে আহামরি ছিলো না। তবে যেহেতু খিদে ছিলো তাই খেয়ে ফেলেছিলাম।

তবে একটা ব্যাপার না বললেই নয়, তা হলো তারা বেশ হাইজিন মেইনটেইন করে। কারণ দেখতেই পাচ্ছেন প্রতিটি খাবারই র‍্যাপ করা ছিলো ।এরপরে মোটামুটি অল্প কিছুটা খেয়েই বিল দিয়ে আমরা বের হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমাদের আরও একটি জায়গায় যাওয়ার কথা ছিলো সে কারণেই।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।