"সাদিয়া'স কিচেন" এর চিকেন চাপ।

^{ক্যানভা দিয়ে তৈরি}

গতকালকের পোস্টে আমি একটি ফুচকাওয়ালা নামে ফুডকোর্টে যাওয়ার কথা লিখেছিলাম। এরপরে একেবারে পোস্টের শেষের দিকে লিখেছিলাম যে আমি ফুচকাওয়ালা থেকে ফুচকা খেয়ে আরো একটি জায়গায় গিয়েছিলাম ।সেই জায়গার কথা আপনাদের পরের পোস্টে অবশ্যই জানাবো বলেছিলাম।তো আজকে এরপরে কোথায় গিয়েছিলাম তা জানাতেই আপনাদের সাথে আপনাদের সামনে উপস্থিত হলাম। আশা করি আজকের পোস্টটি সকলে সম্পূর্ণ পড়বেন। আসলে সম্পূর্ণ পড়ার কথা কেনো বলছি তা আশা করি সকলেই জানেন। কারণ আমাদের বেশির ভাগ মেম্বারদের মনে এই কথাটিই একেবারেই গেঁথে গিয়েছে, যে পোস্ট পড়ার মধ্যে কোন আনন্দ কিংবা পোস্ট পড়ার কোনো মানেই হয় না শুধুমাত্র কমেন্ট করে গেলেই হয়। তবে এই ধারণাটি একদিনে হয়েছে, এমনটা নয় এবং এই ধারণার যাদের হয়েছে সম্পূর্ণ দোষ তাদের আমি তাও বলছিনা। এটা হতে হতে এমন হয়ে গিয়েছে।
আশা করছি আমরা সকলে মিলে এই ব্যাপারটিকে পরিবর্তন পারবো এবং আবার সুন্দর একটি পরিবেশ কমিউনিটিকে উপহার দিতে পারবো।

যাই হোক ফুচকা খাওয়ার পরে আবার ওই ফটোকপি দোকানটাতে গেলাম। কিন্তু যাওয়ার পর তখনও দেখি যে তখন পর্যন্ত সবগুলো পিডিএফ এখনো প্রিন্ট আউট করা হয়নি। তাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে ভালো লাগছিলো না আর। দোকানটার ভিতরে ও বেশ গরম ছিল। তাই আমরা ভাবলাম কেননা ডিনারটা করেই একসাথে বাসায় ফেরা যাক। তাই যে ভাবা সেই কাজ। একটু দূরেই ছিল সাদিয়া'স কিচেন নামে রেস্তোরাঁটি। তাই জন্য আমরা চলে গেলাম সেখানে। গিয়েই প্রথমে মেনুটি দেখতে লাগলাম। অবশ্য এখানকার মেনু বেশ পরিচিত। কারণ আমরা প্রায় এই রেস্তোরায় যাই। কারণ এই রেস্তোরাটির আউটলেট প্রতিটি জায়গায় রয়েছে। তো আমরা ভাবলাম চিকেন চাপ খাওয়া যাক। কারণ এখানে চাপ বেশ মজা হয়। তাই আমরা চিকেন চাপ, বাটার নান আর কোল্ড ড্রিংক্স অর্ডার দিয়ে দিলাম।

রেস্তোরাটি খুব একটা সুন্দর নয় যে পরিবেশের ছবি তুলবো। তাই খুব একটা ছবি তুলিনি। সুন্দর নয় বলতে এখানে বেশিরভাগ মানুষ খেতেই আসে, ছবি তুলতে আসে না। আর বেশিরভাগ মানুষ আসে অফিশিয়াল ব্যক্তিরা যারা খাবার নিয়ে বিভিন্ন কাজের কথা বলে। সেই ধরনের মানুষেরা বেশি আছে কিংবা ফ্যামিলী গেট টুগেদার গুলো বেশি হয়। সে কারণেই এখানে ছবি তোলার ব্যবস্থা খুব একটা নেই বললেই চলে।

একটু পরেই চিকেন চাপ আর বাটার নান চলে এসেছিলো।

চিকেন চাপটির মসলাটা আমার খুব মজা লাগে।কারণ গ্রেভিটাতে সস আর বিভিন্ন ধরণের স্পাইসেস ব্যবহার করা যায়।যার জন্যে চিকেনের স্বাদ আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

চিকেন চাপটি প্রথমে গ্রিলের মতো করে এরপর মসলা দিয়ে রান্না করা হয়।সে সাথে দেওয়া হয় সবজি আর পেঁয়াজ। খেতে তাই দারুণ লাগে।আর মুরগীর পিসটিও দেয় অনেক বড়।

বাটার নান এর কোয়ালিটি আগের চেয়ে একটু কমিয়েছে।তার কারণ আগে বাটার নানটি একেবারে সফট ছিলো।এখন কিছুটা শক্ত।যদিও খেতে খারাপ লাগছিলোনা।তবে পরিবর্তনটা আমি ভালো ভাবেই বুঝতে পারছি।

এই একটা আইটেম ছাড়া রেস্তোরার খাওয়া যেনো একেবারেই অসম্পূর্ণ! সত্যি বললাম কি বলেন তো?

এরপরে বিল এনে দিতে বললাম।

আমার ছবি!!

এরপরে বাসায় চলে আসলাম প্রিন্ট করা কাগজ গুলো নিয়ে।অনেকের দেখলাম চিকেন চাপ তেমন পছন্দ না তার কারণ এটাতে টমেটো সস ব্যবহার করা হয় একটু বেশি পরিমাণে।তবে আমার ভালোই লাগে বেশ খেতে।

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।

ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||