মেরিডিয়ান এ প্রথম দিন

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সাথে আমার একটা রেস্টুরেন্টের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আসলে এই রেস্টুরেন্টটিতে গিয়েছিলাম বেশ অনেকদিন আগে। তবে সেদিন যাওয়ার কোনো প্রি প্ল্যানিং ছিলো না অর্থাৎ খুব বৃষ্টি পরছিলো। কিন্তু একটা কাজের জন্য আমার বাইরে যেতেই হচ্ছিলো। আর দুপুরে না খেয়ে যেতে হচ্ছিলো। কারণ কাজটা ছিলো খুব আর্জেন্ট, আমার ইউনিভার্সিটি একটা কাগজের কিছু কাজ ছিলো। তো সে কারণেই বের হওয়া, তো যখন কাজটা শেষ হয়েছিলো তখন প্রায় দুপুরের খাবার এর সময় হয়ে গিয়েছিলো এবং প্রচন্ড ক্ষুধার্ত ছিলাম। তাই ভাবছিলাম কোথায় যাওয়া যায়।

এরপরে কাছে ছিল মেরিডিয়ান রেস্টুরেন্ট। যেটাতে আসলাম আমার আগে যাওয়া হয়নি। কারণ এ রেস্টুরেন্টটা মোটামুটি বেশ স্বনামধন্য এবং মানে মনে হয় থ্রি স্টার কিংবা ফোর স্টার একটি রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুরেন্ট গুলোতে আমার যেতে একটু কম ই ভালো লাগে। তার কারণ হলো এগুলোর ইন্টেরিয়র অনেকটা হোটেল টাইপস হয়। এ কারণে এখানে বেশিরভাগ টাইম বড় বড় বিজনেস মিটিং গুলো হয়। তো ছবি তোলার খুব একটা প্লেস থাকে না। সে কারণেই যাওয়া হয় না।

যাইহোক তাও গিয়েছিলাম, যেহেতু কাছেই ছিলো। আর খুব বৃষ্টি ও পরছিলো। তাই দূরে আর কোথাও যাইনি, ঢুকে দেখলাম খুব মানুষ নেই। আর যারা রয়েছে তারাও সেই বিজনেস মিটিংয়ে করছিলো। তাই আমি ইন্টেরিয়রের কিছু ছবি তুলে নিলাম।

ইন্টেরিয়র এর আভিজাত্যটা খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠছে যা আপনারা দেখেই বুঝতে পারছেন, আশা করি।

আর এতো বেশি ফর্মালিটিস মেইনটেইন করে আসলে নিজেরই আনইজি ফিল হয়। কারণ বয়সে এতো বড় মানুষ গুলো যখন এতো তোষামোদ করে তখন সত্যিই একটু অপ্রস্তুত ই লাগে। আর বসার সাথে সাথেই তারা টেবিলটা খুব সুন্দর ভাবে সেট করে দিয়েছিলো ।

এরপরে খাবার অর্ডার করলাম, খাবারে ছিল চিলি চিকেন এবং মিক্স ফ্রাইড রাইস। আর সেই সাথে কোল্ড ড্রিঙ্ক।যথারীতি একজন ওয়েটার এসে জিজ্ঞেস করলো আমাদেরকে সার্ভ করে দিবে কিনা। কিন্তু আমি মানা করে দিলাম। কারণ ব্যাপারগুলো আমার একটু কমই ভালো লাগে।

তাদের এই চিলি চিকেন টা বেশ মজার ছিলো। কিন্তু কেনো জানি আমি খুব একটা খেতে পারিনি। কারণ তাদের টেস্টটা একটু ভিন্ন ধরনের ছিলো। অর্থাৎ আমরা যে চিলি চিকেন খাই একেবারেই তেমন না। অর্থাৎ খুব অথেন্টিক চাইনিজ ফুড বলতে যা বোঝায় আর কি।

আর তাদের ফ্রাইড রাইসটাও বেশ ভিন্ন টেস্টের ছিলো। কারণ তাদের দুই ধরনের ফ্রাইড রাইস ছিলো। একটা হলো দেশি ফ্রাইড রাইস এবং আরেকটা অন্য কোনো একটা দেশীয় স্টাইলের ফ্রাইড রাইস ছিলো। তো আমরা সেটাই অর্ডার করেছিলাম। তবে ফ্রাইড রাইসটা আমার কাছে খুবই মজা লেগেছিলো ।

এরপর তো খাওয়া শুরু করলাম। কিন্তু খুব একটা বেশি খেতে পারিনি। যার কারণে পরবর্তীতে পার্সেল নিয়ে আসতে হয়েছিলো। কারণ যেহেতু সবসময় আমরা দেশীয় স্টাইলের খাবারগুলোতে বেশি অভ্যস্ত। আর সে ধরনের মসলাই আমাদের পছন্দ। সে কারণেই আমি খুব একটা খেতে পারিনি। তবে খাবারটা সত্যি একেবারে ফ্রেশ আর খুব মজার ছিলো।কারণ এই রেস্টুরেন্টে ইন্টারন্যাশনাল সেফ ই রান্না করেন।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।