হাওয়ার টিকিট কেনা ই খাওয়া - দাওয়া।

---

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি।

---

---

কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম হাওয়া মুভির টিকিট কাটার জন্য। আসলে এই মুভিটির সুনাম এতো বেশি শুনেছি যে ভাবলাম মুভিটি গিয়ে দেখেই আসা যাক। কারণ সবাই বেশ প্রশংসা করছিলো। আর চঞ্চল চৌধুরীর প্রতিটি মুভি বোধহয় আমি দেখেছি। এর আগের দেবী মুভিটিও আমি থিয়েটারে গিয়ে দেখেছিলাম।
যেহেতু অনেক হাইপড তাই আমি প্রায়ই মুভি দেখার এক সপ্তাহ আগেই টিকেট কাটতে গিয়েছিলাম। আমাদের চট্টগ্রামে একটি মাত্র মাল্টি কম্পলেক্স রয়েছে। কিন্তু সেটাও খুব ছোট অর্থাৎ একই সাথে বোধহয় ১০০ জনের মতো বসতে পারে। কিন্তু এতো বড় একটি শহরের জন্য একটিমাত্র হল সত্যি খুব ছোট হয়ে যায়। সে কারণেই সবসময় ভীড় লেগেই থাকে। তাই ভাবলাম আগে আগে করে নেওয়াটাই বেটার হবে। তাই গিয়ে তাড়াতাড়ি করে দুইটি টিকেট কেটে নিলাম আমার ও আমার ফ্রেন্ডের জন্য। আসলে সেদিন খুব একটা ভিড় ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে যখন আমার ফ্রেন্ডের জন্য আবার টিকিট নিতে গিয়েছিলাম সেদিন অসম্ভব ভীড় ছিল।

---

---

মুভির পোস্টার টিও আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিলো।

---

---

এরপরে দুইটি টিকেট নিয়ে নিলাম। এই সিলভার স্ক্রীন এর দুই রকমের টিকিট রয়েছে। একটি হলো ৪০০ টাকা এবং অপরটি হলো ৬০০ টাকা করে। ৪০০ টাকার গুলো একটু নিচের দিকে, আর ৬০০ টাকার গুলো হলো একেবারে উপরের সিট গুলো। মুভি দেখতে কিন্তু একেবারে উপরের দিকের সিটে বসেই দেখতে হয়। তা না হলে খুব একটা ভালো লাগে না। একেবারেই খারাপ লাগে নিচের সিট গুলোতে বসে দেখলে তা কিন্তু না। ভাবলাম যেহেতু দেখবোই সেহেতু সবকিছু ভালোভাবে দেখি। সে কারণেই আমি দুইটি উপরের সিট নিয়েছিলাম, ১২০০ টাকা দিয়ে।

---

---

মুভি থিয়েটারটি হলো ফিনলে স্কয়ার নামক শপিং মল এর ৬ষ্ঠ ফ্লোরে। এর নিচেই মানে ৫ম ফ্লোরেই ফুড কোর্ট। যেহেতু আমরা ভার্সিটিতে গিয়েছিলাম
টিকিট কাটার জন্য। আর সে সময় ছিলো একেবারে লাঞ্চ টাইম।

---

---

তাই ভাবলাম লাঞ্চ করে তবে যাওয়া যাক। তাই এসেই ক্যাফে আল বাইক নামক রেস্তোরাঁতে বসলাম এবং মেনুটি দেখতে লাগলাম। মেনুর একেবারে নিচের দিকের খাবারটি অর্ডার করলাম।

---

---

যেহেতু ফুডকোর্ট তাই খুব একটা বড় নয়। আমি আপনাদের একটু দেখাচ্ছি ফুডকোর্টের জায়গাগুলো কেমন আসলে। সব চেয়ারগুলো একসাথে থাকে বাইরের দিকে। আর ভিতরের দিকে তাদের নিজস্ব কয়েকিটা চেয়ারে জাস্ট থাকে।

---

---

এরপর খাবারটি চলে আসলো। খাবারটি দেখে মোটামুটি ভালই লাগছিলো। প্লেটারটিতে ছিলো একটি চিকেন গ্রেভি, একটি গ্রিল চিকেন আর দুই অইস পটেটো ওয়েজেস আর এক পিস লেবু ও ফ্রাইড রাইস। আমার অনেক ফ্রেন্ড রাইস খেতে ইচ্ছে করছিলো। তাই আমি এই প্লেটারটি নিয়েছিলাম। প্লেটারটির আসলে যত বেশি দাম নিয়েছে খাবারের মান একেবারে ততটা ভালো আমি বলতে পারছি না। একেবারে খারাপ তা নয়। তবে এতটা ভালো আমার কাছে লাগেনি টাকা হিসেবে। কারণ এই প্লেটারের দাম ২৭০ আর টাকা,কোল্ড ড্রিংক্স সহ সব মিলিয়ে প্রায় ২৯০ টাকার কাছাকাছি পরছে।

---

---

যাই হোক যেহেতু খুব খিদা ছিলো।তাই আমরা তাড়াতাড়ি খেয়ে নিলাম যতটুকু পারি। যদিও সব টা শেষ করতে পারিনি কারণ খাবার অনেক ছিল।

এরপরে বিল মিটিয়ে দিলাম।

---

---

এরপর কয়েকটা ফুডকোর্টের সামনে দিয়ে হেঁটে আসার সময় আমার আইসক্রিম দেখেই আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করছিল। তাই একটা আইসক্রিম ও খেয়ে নিলাম।এই আইসক্রিমের দাম ১৫০ টাকা। সাব জিরো এর আইসক্রিম অসম্ভব মজা।

মুভি রিভিউ পরবর্তীতে কোনো পোস্টে দিবো।

---

সমাপ্তি

---

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।

ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

---