মনের পশু হোক কোরবানি

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সাথে এমন একটা লেখা শেয়ার করি। যেটা আমার মনের কথা। অর্থাৎ আমি সব সময় যে ব্যাপারগুলো ফিল করি। সেই ব্যাপারগুলোই আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে বেশি পছন্দ করি। এতে করে নিজের চিন্তা ভাবনা গুলোকে আরো ভালোভাবে চিন্তা করা যায় কিংবা তার ভালো দিক কিংবা খারাপ দিকগুলো ভাবা যায়।

আসলে এই যে আমাদের কোরবান গেলো।এটা কিন্তু আমরা পশু কোরবানি করেছি সেটা ঠিক । কিন্তু আমরা আমাদের মনের পশুটাকে কতোটুকুই বা কোরবানি করতে পেরেছি, সেটা সত্যিই আমার জানা নেই এবং আমি যদি আসলে আমাদের সমাজের অবস্থার কথা হিসেবেই বলি। তাহলে আমরা কেউই আমাদের মনের পশুকে কোরবানি করতে পারিনি। কারণ কোরবানি শুধুমাত্র পশু কোরবানি করা নয়। কোরবানি হলো একটা মানুষের আত্মাকে শুদ্ধ করার একটি পন্থা। আমরা আমাদের চরিত্রটাকে কতোটা বদলাতে পারছি, আমরা আমাদের মনটাকে কতোটা খোলামেলা করতে পারছি তার একটি পরীক্ষা কিংবা তার একটি সুযোগ হলো এই কোরবানি।

অর্থাৎ আমাদের কাছে অঢেল থাকা সত্ত্বেও আমরা আমাদের চারপাশের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, গরিব-দুঃখীদের কতোটা সাহায্য করতে পারছি। সেটাই কিন্তু আমরা দেখতে পারি অর্থাৎ কোরবান এ। এটা আমাদের ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের চরিত্রের জন্য একটি আয়নার মতো কাজ করে। যে আয়নাতে আমরা নিজেদের চরিত্রটাকে খুব ভালোভাবে দেখতে পাই। অর্থাৎ আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আমরা রয়েছি। যাদের হাজার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও অন্যকে দিতে পছন্দ করি না। আবার আমাদের মধ্যে আমরা এমন ও অনেক মানুষ রয়েছি। যাদের নিজেদের কাছে যতোটা কম ই থাকুক না কেনো। অন্যকে বেশি দিতে কখনোই কার্পন্যবোধ করে না।

মনের পশুকে কোরবানি দেওয়া অনেক বেশি প্রয়োজন। কারণ এই যে আমরা তো আমাদের ঈদটা উদযাপন করি একটা দিন। কিন্তু এই ঈদ আমাদের যে শিক্ষা দেয়। সেই শিক্ষাটা আমাদের প্রয়োগ করতে হবে আজীবন, যেটা আমরা করি না। অর্থাৎ মনের পশুকে কোরবানি দেওয়া। মনের পশুকে কোরবানি দেওয়ার অর্থ হলো মনকে পরিশুদ্ধ করা। মনকে এতোটাই খোলা মেলা করা। যাতে অন্যকে দিতে কখনো মনে কষ্ট না হয়।

এই যে কোরবানিটা গেলো। এই কোরবানিতে যাওয়ার পর আমার এটাই মনে হলো যে, আমরা আসলে মনের কোরবানি কতোটা করতে পেরেছি! অর্থাৎ মনের পশুর কোরবানি। যে পশুত্ব আমাদেরকে মাঝেমধ্যে এতোটাই নিচে নামায় যে, আমরা আমাদের নিজেদেরকে চিনতেও পারিনা। নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাদের সব সময় উচিত নিজেকে এটা প্রশ্ন করা যে, আমরা আমাদের নিজের মনের প্রশ্নটাকে কতোটা সংযত করতে পেরেছি। কারণ আমরা অন্যের কাছে কোনো ভাবে জবাবদিহি করতে বাধ্য নই। আমরা সব সময় আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে এবং আমাদের নিজেদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। কারণ সৃষ্টিকর্তা যেমন আমাদের সবটা সত্যতা জানে। ঠিক তেমনটাই আমরাও আমাদের সব সত্যতা জানি।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।