নিজস্ব অভিব্যাক্তিঃ ভালোবাসা না হোক অপাত্রে দান।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে এসেছি নতুন আরেকটি লেখা নিয়ে। প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে কিছু না কিছু লিখা নিয়ে চলে আসাই হয় আসলে। কারণ এটা একটা কাজের মধ্যেও পরে কিংবা কাজ না ভাবলেও দৈনন্দিন সবকিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়।

সে কারণেই আমি ভাবলাম আজ থেকে একটি সিরিজ শুরু করবো। যে সিরিজটায় শুধু আমার নিজের অভিব্যক্তিগুলো আমি আপনাদের সকলের সামনে প্রকাশ করবো। আমি আরেকটু ক্লিয়ার করে যদি বলি আপনাদের।তবে তা হলো, ধরুন আমরা প্রতিনিয়তই কতকিছু ভাবি। হতে পারে তা পজেটিভ কিংবা হতে পারে তার নেগেটিভ। কিন্তু ভাবি! তবে আমি ভাবছি সে ভাবনা গুলোর মধ্যে যে ভাবনা টা সঠিক,যে ভাবনাটা অন্যরা জানলে অন্যদের কিছু হলেও উপকার হবে কিংবা পড়তে ভালো লাগবে। তাহলে সেই ভাবনাগুলো আমি আপনাদের সাথে অর্থাৎ অন্যদের সাথে শেয়ার করবো।

আসলে যেহেতু আমরা সৃষ্টির সেরা জীব। সেহেতু আমাদের চিন্তা ভাবনা গুলো যথেষ্ট উচ্চস্তরের হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় আমরা যদি একজনের চিন্তাভাবনা গুলি অন্যজনে একটু মন দিয়ে শুনি। তবে অনেক কিছুই শেখার আছে।

যাইহোক আসলে আজকে একটু ভালোই লাগছে। কারণ নানু আগের চেয়ে একটু সুস্থ হয়েছে,তবে বেশি নয়।মুখে খাওয়া আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন। আসলে আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারণ এই ভালোবাসা গুলো ছাড়া এই জায়গাটাতে থাকাটা আমার জন্য অন্তত একেবারেই অসম্ভব। কারণ আমি যাদেরকে ভালোবাসি,তাদেরকে মন থেকেই ভালোবাসি। আসলে সে কারণেই আমার কাছের মানুষদের কথা তো আমার রাখতেই হবে।

আজ ভাবলাম আজকে আমার নিজের কিছু চিন্তা ধারা নিয়ে লেখি। আসলে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মানুষকে ভালোবাসি। ভালোলাগা, ভালোবাসা কখনোই শুধু একজন ছেলে-মেয়ের ক্ষেত্রে কিংবা প্রেমের ক্ষেত্রে হবে এমন কিন্তু নয়। আমরা অনেককেই পৃথিবীতে ভালবাসি। যেমন ছোটবেলায় স্কুলে শিক্ষক কে ভালোবেসেছি। আমরা এখনো শিক্ষক কে ভালোবাসি। তবে ছোটবেলায় একটা বিষয় ছিলো, যে কোনো টিচার যদি স্কুল ছেড়ে চলে যেতো। তাহলে ভীষণ কান্না পেতো। কারণ ওই যে ভালোবাসাটা আমাদের অনেক বেশি ছিলো। এই ধরনের আমরা অনেককেই ভালোবেসে থাকি আমাদের চারপাশে। তবে আমার কেনো যেনো মনে হয় এভাবে বাছবিচার না করেই কাউকে ভালোবাসাটা আসলে ঠিক নয়।

কারণ এটা কি গ্যারান্টি যে আমাদের ভালবাসাটা অপাত্রে নয় পাত্রেই দান হচ্ছে! ভালোবাসা বিষয়টা ভীষণ স্পেশাল। কিছু মানুষকে ভালোবাসা যায় কারণ মন থেকে শ্রদ্ধা করা হয়। এই জন্যই কিন্তু ভালবাসাটা আসে মূলত। কিন্তু যেখানে দেখবেন আপনি।যে তাকে শ্রদ্ধা করছেন সে যদি সে শ্রদ্ধাটার মান না রাখে, সে যদি সে ভালোবাসাটার মান না রাখে। তাহলে আমার মনে হয় আপনার উচিত নয় ওই মানুষটাকে ভালোবাসা। তবে হ্যাঁ শ্রদ্ধা অবশ্যই করা উচিত। কারণ আমরা মানুষ জাতি, আমাদের ধর্ম হল অবশ্যই অন্য কাউকে বা অন্য একজনকে শ্রদ্ধা করা।

ক্ষুদ্র জীবনে একটা মানুষের অনেক কিছুই দেখার থাকে। অনেক কিছুই বুঝার থাকে। হয়তো একটু সময় লেগে যায় কোনো কিছু বুঝতে। তবে হ্যাঁ একটা মানুষ ঠিকই বুঝতে পারে। একটা সময়ে গিয়ে যে আসলেই তার ভালবাসার মানুষগুলো কারা আর তাকে অপছন্দ কিংবা ঘৃণা করার মানুষ গুলো কারা তাদের চিনতে পারে। আমি বলবো না যারা আপনাকে ঘৃণা করে তাদের সাথে আপনি খারাপ ব্যবহার করুন। কারণ তাহলে তো আপনারা আর তার মাঝে কোনো তফাৎ থাকবেনা।তাই না? তবে হ্যাঁ ওই মানুষগুলোকে আমাদের ভালোবাসা উচিত। যারা আমাদের সময়ে অসময়ে পাশে থাকে। যারা ভুল ধরিয়ে দিয়ে শুধরে নেওয়ার সুযোগটা দেয় এবং যারা সত্যিকার অর্থেই আপনাকে স্নেহ করবে।

আমার কাছে মনে হয় ভালোবাসা বিষয়টা খুবই স্পেশাল। তাই যাকে তাকে ভালো না বাসাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ আপনি একটা বার যদি কাউকে ভালবাসেন। তবে তার দিক থেকে ফিরে আসাটা খুব যন্ত্রণারই হয়ে যায়। আমার কাছে তো অনেকটা এমনটাই মনে হয়। কারণ আসলে একটা মানুষকে ভালোবাসছেন, একটা মানুষকে আপনি পছন্দ করছেন। কিন্তু এরপর আবার আপনি বুঝতে পারলেন যে সেই মানুষটা আপনার জন্য মোটেও যোগ্য নয়। তাহলে তো খারাপ লাগবেই, তাই না? তার চাইতে বরং এটা ভালো না যে সেই মানুষটাকে ভালোবাসার আগে একবার ভাবুন যে আসলেই সে আপনার ভালবাসার যোগ্য কিনা। এটা শুধুমাত্র আমার নিজের অভিব্যক্তি, নিজের চিন্তাধারা। আপনাদের চিন্তা ধারা ভিন্ন হতেই পারে। আর এমনও হতে পারে যে আমার চিন্তাধারা ভুল। কারণ এক জীবনে তো মানুষ আসলে সব কিছুই ঠিক কাজ করে না। আর আমি তো ভুল কাজ একটু বেশিই করি।

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।