বিয়েবাড়িতে একদিন।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।আসলে বলার জন্যেই বলা ভালো আছি!

বেশ কয়েকদিন আগে একটি বিয়ের দাওয়াত ছিল। তো সেটাতে গিয়েছিলাম। আমি সচরাচর বিয়ের দাওয়াতে খুব কম যাই বললেই চলে।কারণ একটি বিয়ে বাড়িতে যেতে হলে আবার অনেক কিছু কেনাকাটা করতে হয়। তাই যেতে ইচ্ছে করেনা। তবে কিছু কিছু ফ্যামিলি ফাংশন রয়েছে যেগুলোতে না গেলে সবাই বেশ মাইন্ড করে। তো সেগুলোতে বাধ্য হয়ে যেতে হয়। তো সে বিয়ের দাওয়াতটাও সেরকমই ছিল।

আর একটা দাওয়াতে যাওয়ার আগে কি পরিমাণ কেনাকাটা করতে হয় তা তো মেয়েরা খুব ভালো করেই জানে। কারণ অনেক কিছুই থাকে যেগুলো দুইবার পরতে ইচ্ছে করে না কিংবা আরও বিভিন্ন বিষয় থাকে। অর্থাৎ আপুরা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন আমি কি বুঝাতে চাইছি।

তো প্রথমে গিয়ে সবার সাথে কিছুক্ষণ কথা বললাম। কিন্তু আংকেল এসেই বলল আগে খেয়ে নিতে। তো এরপরে আমরা খাওয়ার জায়গাটাতে চলে গেলাম। এই ক্লাবটাতে অর্থাৎ যে ক্লাবে আমি সেদিন গিয়েছিলাম। সে ক্লাবটাতে আমার মেজো খালামণির বিয়েও নাকি হয়েছিলো। তবে এখন মেজো খালামণি মারা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছরই হচ্ছে। তো তা ও একটু আসলে মনে পরে গিয়েছিলো সে সময়টাতে।

যাইহোক আসলে মানুষ তো কখনোই সারা জীবন থাকবে না। কখনো না কখনো তো চলে যেতেই হবে, এটাই প্রকৃতির নিয়ম। পরে আমরা কাজিন, খালামণি আরো কয়েকজন রিলেটিভ সবাই মিলে কিছুক্ষণ ফটোগ্রাফি করলাম।

আসলে বিয়ে বাড়িতে যেটা সবচেয়ে বেশি হয় সেটা হচ্ছে ফ্যামিলি ফটোগ্রাফি। যেটা আমার কাছে তাই ই অন্তত মনে হয়। তো যে কারণেই ফটোগ্রাফি টাই হচ্ছে একটু বেশিই করা হয় আর কি।

এর একটু পরে খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শুরু হলো। অনেক কিছুই দিয়েছিল,যেমন মাটন,বিফ,রুপচাঁদা ফ্রাই,সবজি,চিংড়ি,চিকেন,মিক্স ডাল ইত্যাদি। তবে আমি মোটামুটি বিয়ে বাড়িতে চিকেন, সবজি আর চিংড়ি ছাড়া খুব একটা কিছু নেই না। কারণ আমার ভালো লাগেনা। অর্থাৎ মাটন বিফ এগুলো আমি একেবারেই পছন্দ করি না। সে কারণে আমি যতোটুকু খেতে পারি ততটুকুই নেই। কারণ অতিরিক্ত নিলে আসলে খাবারটা নষ্ট হয়। খাবার পরে যে ফিরনি টা দিয়েছিলো সেটা জাস্ট মুখে লেগে থাকার মত ছিলো।

এর পরে ভাবলাম আশেপাশের কিছু ছবি তুলি। যেহেতু চট্টগ্রামের মানুষের বিয়ে তার মানে বুঝতেই পারছে অসম্ভব মানুষ থাকে। অর্থাৎ ছবি তোলার তেমন কোন পরিবেশ ছিল না। কারণ অনেক মানুষ ছিল তো একটু পরেই নিচে নেমে দেখলাম বর বউকে খাবার টেবিলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এরপরে আমার কাজিন, খালামণি, ফ্রেন্ডস ওনাদের সাথে ভাবলাম কিছু ছবি তোলা যাক। আসলে আমি খুব একটা বেশি সাঁজি না। তাই সাজগোজের বিষয়ে আমার মেধা কিংবা ধৈর্য যা ই বলি না কেনো সবটাই কম। যে কারণে আসলে খুব একটা সাজতে পারি না বললেই চলে। অর্থাৎ আমার অন্যান্য কাজিনরা কিংবা রিলেটিভ বেশ সুন্দরভাবে সাজতে পারে। সে তুলনায় আমি একেবারেই পারিনা।

যাই হোক এরপরে আমরা অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করলাম। কারণ ফটোগ্রাফি টাই সবচেয়ে বেশি পছন্দ বিয়ে বাড়িতে আমার আসলে। আর বিয়ে বাড়িতে সবাই একসাথেও হয় তা না হলে খুব একটা একসাথে হওয়া হয় না।

এরপরে বেশ কিছু নিজের ফটোগ্রাফি করা হলো। আর নুয়াইরাইরা ফটোগ্রাফি করার তো প্রশ্নই আসে না। কারণ সে একটা মিনিটের জন্যও কোথাও এক সেকেন্ড দাঁড়ায় না।

এরপরে তো বাসায় চলে আসলাম। বাসায় আসতে আসতে প্রায় রাতের একটা বেজে ছিলো।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।