পছন্দের কাজ মেহেদি পরিয়ে দেওয়া।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরেকটি লেখা নিয়ে। আশা করছি সকলেই আজকের লিখাটি উপভোগ করবেন এবং আমার আরো একটি ইচ্ছা সম্পর্কেও জানতে পারবেন। অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের ই কোনো না কোনো কিছু করতে খুব বেশি ভালো লাগে। হতে পারে সেই কাজটির পিছনে সময় দিলেও খুব একটা লাভবান হওয়া যায় না। কিন্তু এমন কিছু একটা ব্যাপার তো মানুষের জীবন থেকেই যায়। আর সেকারণেই একটা মানুষের ভিন্ন ভিন্ন শখ থাকতে পারে। ঠিক তেমনি আমার খুব পছন্দের একটি শখ রয়েছে তা নিয়েই আজকে কথা বলবো।

মাঝেমধ্যে আমি ভাবি যে পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ রয়েছে কিনা যার কোন শখ-আহ্লাদ থাকেনা। প্রত্যেকটি মানুষের ই খুব ছোট ছোট কিছু শখ থাকে। সে শখগুলো তার একেবারেই নিজস্ব ব্যক্তিগত হতে পারে। কারো কাছে অন্য কারো শখ একেবারেই তুচ্ছ কিংবা একেবারেই সময় নষ্ট এর কোনো বিষয়বস্তু হতে পারে।কিন্তু যার শখ তার কাছে খুবই দামী। কিছু কিছু মানুষ তো সেই শখ পূরণ করার জন্য নিজের জীবনের শেষ সম্বল টুকু ও ব্যয় করে ফেলে। তাহলে বুঝতেই পারছেন শখ বিষয়টা মানুষের জীবনের জন্য কতটি প্রয়োজনীয়। আসলে বুঝতে পারার ই কথা, কারণ আমরা প্রত্যেকটা মানুষেরই মনের মাঝে কিছু শখ লালন করে থাকি এবং সেগুলো পূরণ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকি।

যাইহোক শখ নিয়ে অনেক কথাই বলে ফেললাম। আমার শখের মাঝে একটা শখ কিন্তু অনেক বেশি কথা বলা। তা তো আপনারা এত দিনে টের পেয়েই গিয়েছেন। তাই না? যাইহোক এটা আবার গোপন শখ। কারণ এই ধরনের শখ থাকতে পারে এটা শুনলে কিন্তু মানুষ আবার আমাকে উত্তম-মধ্যম দিতে আসবে কিংবা পাগল ভাবতে পারে, তাই না? তাই এসব নিয়ে আর কথা না বলাটাই ভালো হবে।হাহাহহা,

তো আমার খুব পছন্দের একটা কাজের মধ্যে একটি কাজ হলো মেহেদি দেওয়া অর্থাৎ কারো হাতে মেহেদি পরানো। আমার নিজের মেহেদী পরতে খুব একটা ভালো লাগে না। তবে কারো হাতে মেহেদি পরিয়ে দিতে আমার যে কি পরিমান ভালো লাগে তা আমি আপনাদেরকে এক কথায় প্রকাশ করতেই পারবো না।

মানুষ মেহেদি পরিয়ে দেওয়ার জন্যে লোক খুঁজে।আর আমি পরানোর জন্যে লোক খুঁজি।এই হলো আমার অবস্থা।এইতো গতকাল রাতেই খালামণিকে অনেক রিকুয়েষ্ট করে বসালাম মেহেদি পরিয়ে দেওয়ার জন্যে।কারণ মেহেদি পরতে আসলে অনেক সময় লাগে।যা বসে থাকাটাই বিরক্তিকর।

আর আমার ছোটবোন নুয়াইরা তো এক ধাপ এগিয়ে এসবের ব্যাপার।তার আবার খুবই মনোযোগ এসব বিষয়ে।ছবি দিচ্ছি দেখুন কতো মনোযোগ সহকারে তাকিয়ে আছে।সে খুবই এনজয় করে এই মেহেদি পরানোটা।যদিও দেওয়ার কিছু সময় পরেই ধুয়ে ফেলার জন্যে তড়িঘড়ি করে,এটাই জ্বালা।

আমি জানি আমার মতো অনেক আপুদের ই এই শখটা বেশ ভালো রকমের ই আছে।কারণ মেয়েরা মেহেদি পছন্দ করেনা এমনটা খুব কম ই শুনেছি আমি।আর কার কার মেহেদি পরিয়ে দেওয়াটা পছন্দ তা জানতে চাই কিন্তু।আজকের জন্যে তবে এখানেই শেষ করছি।

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।