দেখতে যতটা সহজ,করতে তা নয়!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আমার দৈনন্দিন ঘটনার কিছু কিছু অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক। কারণ তাহলে আপনারাও বুঝতে পারবেন যে আসলে আমার কাজের অবস্থাটা ঠিক কেমন। কারণ এখানে অনেকেই মনে করেন যে আমি একেবারে সর্বগুণ সম্পন্ন কিংবা আমি সব কাজ অনেক বেশি ভালো পারি, হাহাহাহা।কিন্তু তা যে নয়। তা এই পোস্টটি পড়লেই বুঝতে পারবেন।

তবে প্রথমেই যেটা বলতে চাই, সেটা হলো অনলাইনের কাজের ক্ষেত্রে আমি যতোটাই একটিভ। অফলাইনের ঘরের কাজের ক্ষেত্রে আমি ততটাই ইনঅ্যাক্টিভ একজন মানুষ। আর আমি একজন মানুষ হিসেবে যে কতোটা ভুল ধারণা নিয়ে এতোদিন বসেছিলাম। সেটাই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

আপনারা তো গতো পোস্টে দেখতেই পেরেছেন যে আমি আসলে গ্রামে যেতে পারিনি এবং বাসার আম্মু এবং বেশিরভাগ মানুষের গ্রামে চলে গিয়েছে। তো স্বাভাবিকভাবে বাসায় রান্না বান্নায় একটু আমার কাজিনকে হেল্প করতেই হচ্ছে। কারণ একজন বাইরের মানুষ নিজের ঘরের সব কাজ করবে ব্যাপারটা দেখতে ভালো লাগে না।

যাই হোক আমার ভুল ধারণা গুলোর মধ্যে প্রথম ভুল ধারণা যেটা ছিলো। সেটা হলো,শাক কাটা অনেক বেশি সোজা। কিন্তু আমি সেদিন শাক কাটতে গিয়ে দেখি শাক কাটা রীতিমতো যুদ্ধের সমান। কারণ কিছুক্ষণ কাটার পরেই হাত ব্যথা হয়ে যায়।

এরপরে আমার দ্বিতীয় ভুল ধারণাটা যেটা ভাঙলো। সেটা হলো সবজির উপরের অংশ ছাড়ানো অনেক সোজা একটি কাজ,যা নয়! আর তা যদি হয় একেবারে ছোট ছোট আলু, তাহলে তো কথাই নেই।বিশেষ করে দুইদিন আলুর খোসা ছিলে আমি যেটা টের পেয়েছি। তাহলো আমার নখের রং নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যদিও এটা নিয়ে আমার কাজিন অনেক হাসাহাসি করেছে আমাকে নিয়ে।

এটার মাধ্যমেই আমি বুঝতে পারলাম যে, কেনো যারা কিচেনে কাজ করে ওদের নখের রংগুলো হালকা কালচে হয় সাইডের দিকগুলোতে।যদিও আমি পরে নখে বেশি করে লেবু দিয়ে, হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে আবার সঠিক কালার ফিরিয়ে এনেছি। কিন্তু যারা কিচেনে কাজ করে, তারা যে কতো বেশি কষ্ট করে এবং কতোটা কষ্টের বিনিময়ে আমরা এই খাবারগুলো পাই, তাই আমি বুঝতে পারলাম।

কারণ আগেও আমি মাঝেমধ্যে রান্না করতাম। তবে তা একেবারেই ছিলো, আম্মু সবকিছু সাজিয়ে গুছিয়ে দিতো। আমি জাস্ট চুলায় দিতাম, ব্যাপারটা এমন ছিলো।কিন্তু যখন নিজের সবকিছু করতে হচ্ছে। তখন বুঝতে পারছি যে খাবারের কাজ কিংবা খাবার তৈরির কাজ সবচেয়ে বেশি কঠিন সবগুলোর কাজের মধ্যে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।