ঝাল মিক্স ভর্তা।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবার ও চলে আসলাম নতুন আরেকটি পোস্ট নিয়ে।এই পোস্টটি লিখছি হসপিটাল এ বসেই।যারা আমার পোস্ট পড়েন,আপনারা তো জানেন ই আমার নানু হসপিটালে রয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরে।আসলে প্রথম সমস্যা ছিলো শুধুমাত্র অর্থাৎ নানুর প্রথমে করোনা ভাইরাস ধরা পরেছিলো।তবে,হুট করেই একদিন সকালে শ্বাস নিতে পারছিলোনা,সে সাথে আরো বিভিন্ন ধরণের সমস্যা।তো গতকাল রাতে হঠাৎ করে সাড়ে বারোটা নাগাদ নানু আমায় ফোন দিলো।

আমি তো এতো রাতে ফোন পেয়ে ভয় ই পেয়েছিলাম।তো রিসিভ করলাম ঝটপট করে।এরপর দেখি অভিযোগ করতেই ফোন দেওয়া হয়েছে।কিসের অভিযোগ?আমি নাকি দেখতে যাই নি,এটা সেটা এসব!আসলে বুড়ো আর বাচ্চার মধ্যে তফাৎ করাটা বোকামী।

বাচ্চারা সবসময় যেমন কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ করে।আবার সেসব অভিযোগ না মানলে বিশাল রাগ হয়।বুড়োদের ক্ষেত্রেও আসলেই আমার মনে হয় তাই হয়।কারণ বুড়ো মানুষেরা হুট করেই পৃথিবীকে আমাদের চেয়ে অনেকটা ভিন্ন রকম করে দেখতে শুরু করে।উনাদের কাছে পৃথিবী হয়ে যায় শিশুদের চোখে পৃথিবী যেমন তেমন ই।

তো আমি ভার্সিটি থেকেই নানুর এখানে এসেছি।আসার সময় কিছু ডোনাট আর স্ক্যাক্স কিনে এনেছি।যদিও জানতাম যে খাবেনা কারণ উনি কিছুই খাচ্ছিলো না,তাও নিলাম।কিন্তু যখন দেখলো আমি আনতাম,তখন এক পিস ডোনাট বেশ খুশি করেই খেলো।এরপর বললো,আমার নাতি এনেছে বলেই খেলাম।ব্যাপারগুলো আসলেই বেশ মজার তাইনা?

যাই হোক,এখন আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভালোই আছে।আগামীকাল আবার আরেকটা ডাক্তার চেঞ্জ করে দেখানো হবে,এরপর বাসায় নিয়ে যাবে কিনা তা বিবেচনা করে দেখবে।

আজকে আপনাদের সাথে মজার একটা ভর্তার রিভিউ শেয়ার করবো।এই ভর্তাটা খাওয়ার মতো তেমন পূর্বের কোনো পরিকল্পনাই ছিলোনা।সেদিন বিপ্লব উদ্যান এ বসে আড্ডা হঠাৎ পাশে তাকিয়ে দেখি একজন একটা ভ্যানগাড়িতে কি যে মিক্স করছে টুংটাং শব্দে।কারণ ভর্তা বানাচ্ছিলো লোহার একটা হামানদিস্তাতেই।কৌতুহলী গিয়ে কাছে গিয়ে দেখলাম,প্রায় ১৩/১৪ রকমের উপকরণ দিয়ে ভর্তাটা বানানো হচ্ছে।

উপকরণ সবগুলোর কথা আমার বরাবর মনে নেই।তবে যা মনে আছে তা হলো,কাঁচা আম,কাঁচকলা,বেল,তেঁতুল,পুদিনা পাতা সহ আরো অনেক কিছু।তেমন একটা মনেও নেই আমার।

যাই হোক,বানানোর পরে হাতে দিলো।দাম মাত্র ২০ টাকা।কিন্তু মুখে দিয়েই বুঝলাম জাস্ট একেবারে অমৃত।তবে অসম্ভব ঝাল,এতো ঝাল যে সম্পূর্ণটা শেষ করতে পারিনি সেখানে দাঁড়িয়ে।কিছু বাসায় নিয়ে এসে এরপর খেয়েছিলাম।অনেকদিন পর দারুণ কিছু খেলাম।

এরপর অসম্ভব ঝাল লাগছিলো।তাই কি করা যায়,কি করা যায় ভাবছিলাম।আর চোখের সামনেই পরে গেলো আইসক্রিম ওয়ালা।এরপর আর ভাবার দরকার ঝটপট আইসক্রিম কিনে বাসার পথে রওনা দিয়েছিলাম।

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।