জ্বরের তীব্রতা

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করা যাক। আসলে অন্য কিছুই শেয়ার করতে চেয়েছিলাম। অর্থাৎ কোনো ফটোগ্রাফি কিংবা অন্য কোনো ধরনের পোস্ট শেয়ার করার ইচ্ছে ছিলো আজকে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে গতকাল রাত থেকে আমি এতো বেশি অসুস্থ যা বলে বোঝানো সম্ভব না।

আসলে গতকাল থেকে আমি আমার সবগুলো কাজ কিভাবে যে করেছি তা একমাত্র আমি নিজেই জানি। কারণ খাট থেকে টেবিল পর্যন্ত নিজেকে টেনে আনাও বেশ কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিলো। এমনকি শোয়া থেকে উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘুরাচ্ছে এমন একটা পরিস্থিতির শিকার আর কি। ওই বেশি কিছু না সামান্য জ্বর। আর আসলে আমি জ্বর ব্যাপারটা একেবারেই সহ্য করতে পারি না। অন্য কোনো রোগ সহ্য করতে পারলেও এটা আমার খুব একটা হয়ও না। অর্থাৎ বছরে ছয় মাসে একবার যা হয় আর কি। আর খুব একটা টেম্পারেচারও আসলে আমার হাই হয় না। সামান্য টেম্পারেচার অনেকদিন ধরে থেকে যায়। এই ধরনের জ্বরটা হয় আমার। আর যেটা আমার খুব বেশি খারাপ লাগে সেটা হলো জ্বর হওয়ার সাথে সাথেই শ্বাসকষ্ট টা অতিরিক্ত বেড়ে যায় সে সাথে কাশিও।

আসলে রাতে কাজগুলো শেষ করার পরে বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়েও গিয়েছিলাম। কিন্তু ঘুমটা বেশিক্ষণ ছিলো না। আসলে গতকাল রাতে অর্থাৎ মাঝরাতেই ভেঙ্গে গিয়েছিলো। আর এরপরে সারারাত ঘুমাতে পারিনি। সব মিলিয়ে এতো বেশি অসুস্থ যা জাস্ট কি আর বলবো।

আসলে আমি একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখেছি যে মানুষ যে বিষয়টা থেকে বেশি দূরে দূরে থাকতে চায় সে বিষয়টাই কেনো জানি ঘাড়ের উপর একেবারে চেপে বসে। কারণ বেশ কয়েকদিন ধরেই আমাদের বাসার মেম্বারদের একজন একজন করে জ্বর হচ্ছিলো, অসুস্থ হচ্ছিলো। আমি যতটুকু সম্ভব নিজেকে ঠিক রাখার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু আসলে শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষাটা হলো না।

অন্য কোনো রোগের চেয়ে আমার কেনো জানি না এই জ্বরটাকে সবচেয়ে বেশি অসহ্য লাগে। কারণ খুব বেশি শরীর দুর্বল করে দেয় যে হাঁটার শক্তিটা পর্যন্ত থাকে না, এমনকি কথা বলতেও কষ্ট হয়। আর আর একটা কষ্টকর ব্যাপার হচ্ছে জ্বরের সাথে সাথে আমার ঠান্ডা এবং শ্বাসকষ্ট মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায়।

যাইহোক এখন মোটামুটি বলা চলে বর্ষাকাল এর সিজন নয় জ্বরের সিজন চলছে! কারণ যেদিকেই যাই, যে ঘরের মানুষেরই খোঁজখবর নেই না কেনো, প্রতিটা ঘরেই জ্বরে ভুক্তভোগী রুগী রয়েছে। আসলে জানিনা এটা কেনো হচ্ছে। কারণ ঋতু পরিবর্তনে এতো বেশি খারাপ অবস্থা তো হয় হয়নি এর আগে কখনো আমাদের দেশে। যাইহোক আশা করছি সকলেই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন, ধন্যবাদ।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।