খালামণির বিয়ের প্রোগ্রামের ফটোগ্রাফী।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটি আপনাদের ভালোই লাগবে।

বেশ কয়েকদিন ধরে বেশ অসুস্থতার মধ্যে ভুগছি। তার কারণ আসলে ওই যে শ্বাসকষ্ট।যাই হোক এসব আর বলতে চাই না বারবার। কারণ আমার নিজেরও বিরক্ত লাগে এসব বারবার বলতে।

প্রথমেই আমি আর খালামণি মিলে যখন ক্লাবের সামনে গাড়ি থেকে নামলাম তখন দেখি সব ফটোগ্রাফাররা খালামণির ছবি তোলার জন্য অপেক্ষা করছিলো। তো নামার সাথে সাথে খালামণির কিছু আউটডোর ফটোশুট হলো।

আসলে খালামণিকে বেশ সুন্দর লাগছিলো। আর ডেকোরেশন ডিজাইনের সাথেও বেশ ভালো মানিয়ে ছিলো।

এরপর ঢুকতেই দেখি আমাদের নুয়াইরা। কি সুন্দর লেহেঙ্গা পরে।সেঁজেগুজে ঘুরছে।

এরপরে আমি আম্মু আর নুয়াইরা কিছু ছবি তুলে নিলাম। যদিও নুয়াইরাকে আর আম্মুকে কখনোই সুন্দরভাবে পাওয়া যায় না। অর্থাৎ তারা কোনো না কোনো দিকেই তাকিয়ে থাকে ছবি তোলার সময়।

এরপরে সবাই মিলে আমাদের কাজিনদের ফটোগ্রাফি করলাম, খালামণি আর আঙ্কেলের সাথে। সে সাথে খালামনির সাথে একটু দুষ্টামিও করছিলাম।

এরপরে আব্বুর সাথে কিছু ফটোগ্রাফি করা হলো।

এরপর আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আমার বেশ কিছু ছবি তুলে।দিলো।সে কিন্তু আবার বেশ সুন্দর ছবি তুলে।

এরপর খাওয়া দাওয়া করে নিলাম।খাবারের টেবিলে দিয়েছিলো আমাদের।পোলাও, মাছ,চিকেন কাবাব,মাটন,চিকেন রেজালা,চাইনিজ ভেজিটেবল সব ইত্যাদি।খাবার দারুণ ছিলো এক কথায়।যেহেতু আমাদের কাজিনদের টেবিল ছিলো তাই আয়োজন ও করেছিলো বেশ।

এরপর আমি আমার আর আমার ফ্রেন্ড কিছু ছবি তুললাম।

এরপরে নুয়াইরাকে একটু ধরে ছবি তুললাম। কারণ ওকে আসলে হাতে পাওয়া খুব কঠিন একটা বিষয়।

এরপরে আমার তিন ভাইয়ের সাথে ছবি তুললাম,অর্থাৎ কাজিন রা মিলে। ছবিটা কিন্তু বেশ সুন্দর হয়েছে তাই না বলুন।

এরপরে আমার নিজের ফটোগ্রাফি করলাম। আসলে বিয়েতেই একটা কাজই তো থাকে তাই না।

এরপর নতুন বর বউয়ের কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।

এরপরে ফ্যামিলির প্রায় অনেকেই মিলে ফটোগ্রাফি করলাম। যদিও ফ্যামিলির এখানে যারা যারা রয়েছে তাদের মাঝে অনেককেই আমি চিনি না।

এরপর আর কি, এরপর বিদায়ের পালা। আসলে বিদায় এর পালাটা মোটেও সুখকর ছিলো না। কারণ খালামনি প্রায় দুইবার সেন্সলেস এবং শেষ পর্যন্ত লিফটে বমি করে দিয়েছিলো।কারণ যেহেতু খালামণি নানুর সাথেই অনেক বেশি সময় কাটিয়েছে। সে কারণেই ওনার টানটা অনেক বেশি ছিলো। আর যেহেতু নানুর সাথে থাকার মত আর কেউ নেই,অর্থাৎ কোনো মেয়ে নেই। সে কারণেই আসলে উনার চিন্তার জায়গাটা আসলে অনেক বেশি।

যাইহোক এভাবেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে গেলো আর খালামণিকে গাড়িতে তুলে দেওয়া হলো। এরপরে আরো কিছু তো থেকেছিলাম। অর্থাৎ অনেক খাবার বেচে গিয়েছিলো।সেসব আবার ভাগ করা হলো। আর যেহেতু চট্টগ্রামের বিয়ে যেহেতু জানেন ঐ প্রায় ২২০০ লোক খাওয়ার পরেও প্রায় ৩০০/৪০০। জনের খাবার বেচে গিয়েছিলো। তো সেই খাবারগুলো আবার ডিস্ট্রিবিউট করা হলো সব আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে। এরপরে প্রায় ভোরের দিকে আমরা ক্লাব থেকে বাসায় ফিরলাম।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।