শিশুপার্কের কিছু মূহুর্ত,পর্ব - ২

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে আপনাদের সাথে একটি লেখা শেয়ার করতে চলে আসলাম। আশা করছি আজকের লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।

গতকালের পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম যে আমি নুয়াইরাকে এবং আমার একটি কাজিনকে নিয়ে শিশু পার্কে গিয়েছিলাম। তো তার আজকে দ্বিতীয় পর্ব কিংবা শেষ পর্ব বলা যায়। কারণ খুব বেশি ছবি শেয়ার করবো না। কারণ যদিও অনেকগুলো ছবি তুলেছি। কিন্তু এতো বেশি ছবি হয়ে গিয়েছে যে আমি আসলে সেদিন অনেক ছবি ডিলিট করে দিয়েছিলাম।

সে যাই হোক, হাঁসের পিঠ থেকে নামার পরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পরেই তার চোখে পরলো ঘোড়া। তো সেহেতু ঘোড়া দেখার পর অবশ্যই ঘোড়ায় চড়বে। তাই ওই আপু সমেত তাকে তুলে দিলাম সেখানে।

এখানে টিকিট সিস্টেম। কিন্তু টিকিট শুধু বাচ্চার জন্য লাগে। বাচ্চার জন্য বড় যে গার্জিয়ান উঠবে তার টিকিট লাগে না। যেহেতু বাচ্চার সাথে একজন উঠতেই হয় তাই। ঘোড়ার পিঠে সে অনেক মজা করলো। আর আমার সামনে যতবার ঘুরে যাচ্ছিলো, ততবারই আমাকে চিল্লিয়ে হাই দিচ্ছিলো।

এরপর আরও একটি ঘোড়ায় চড়লো। সেটা অবশ্য ট্রেনের মতোন ছিলো অর্থাৎ সামনে দেখতে ঘোড়ার মতোন। এই মুহূর্তে অনেকগুলো রাইডে চড়তে চড়তে আসলে তার মন থেকে ভয়টা একেবারে চলে গিয়েছিলো। যা আপনারা ছবিগুলো দেখে আশা করি বুঝতে পারছেন, যে সে কতটা এনজয় করছিলো।

এরপর আমরা একটু হাঁটাহাঁটি করছিলাম। আর আমি আশেপাশের কিছু ছবি তুলছিলাম। কারণ সন্ধ্যার দিকে ছবিগুলো আসলে দেখতেও ভালো লাগে।

এরপরে নুয়াইরা গেলো ভুতের ট্রেনে চড়ার জন্য। যদিও সে ভূত মারাত্মক ভয় পায়।কিন্তু এখানে ট্রেনে চড়তে কোনো ছাড়াছাড়ি নেই। আর এখানেও সে বেশ এনজয় করেছে। যা ছবি দেখে আশা করি বুঝতে পারছেন। আমি আসলে কোনো রাইডেই উঠিনি। কারণ এই রাইডগুলোতে আমি সেই ছোটবেলা থেকে উঠছি। তাই আসলে আর একেবারে ইচ্ছে করে না।

এরপরে আরো অনেক রাইডে চড়ে ছিলো এবং সবগুলোতে চড়ার পরেও ও আসতে চাচ্ছিলো না। তাই আসলে একটু শপিং কমপ্লেক্সে যাওয়ার কথা বলেই তাকে বের করলাম এবং বের করে আমরা চলে গেলাম আমাদের সেই পছন্দের মার্কেটে। অর্থাৎ পছন্দের মার্কেট বলতে আমরা যে মার্কেটে সব সময় ফুচকা খাই। গিয়ে দুইটা ফুচকা এবং নুয়াইরার জন্য একটি স্যান্ডউইচ অর্ডার করলাম।

এপারে তো নুয়াইরা স্যান্ডউইচ খেলো এবং আমরাও ফুচকা খেয়ে বাসার জন্য আরো কিছু জিনিসপত্র কিনে বাসায় চলে আসলাম। আর সেই দিনের মতো দিনটি শেষ হলো এবং বেশ ভালোই কেটেছিলো।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।