ভাটিয়ারী যাওয়ার পথে প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য ফোনবন্দী ।

---

🌼হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি।

---

---

আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন যে আমি এখন যে ইউনিভার্সিটিতে পড়ি। সে ইউনিভার্সিটিটি চট্টগ্রামের একেবারে বাইরের দিকে অর্থাৎ আমার প্রতিদিনই চট্টগ্রামের বাইরে আসা যাওয়া করে পড়াশোনা করতে হয়। আসলে বিষয়টি আমার জন্য বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। কারণ এতো দূরে প্রতিটা দিন আসা-যাওয়া করে পড়াশোনা করা কিংবা প্রত্যেকটা দিনই ভার্সিটির যাওয়া আমার জন্য খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু জীবনে এগিয়ে যেতে হলে কষ্ট কিছুটা করতেই হয়। আর এই কষ্টটা এখন না করলে আসলে কিছুই করার থাকেনা। অর্থাৎ এই কষ্টটা না করলে জীবনে সামনে হয়তো আরো বেশি কষ্ট অপেক্ষা করছে আসলে। ভবিষ্যতে কি হবে তা ঠিক জানি না। কিন্তু এখন থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি ভবিষ্যৎ টা যেন সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি। কারন আমরা বর্তমানে যা করি তার বেশিরভাগই ভবিষ্যতের চিন্তা করেই করি।

---

যাই হোক কথা বলতে বলতে কখন যে কথার মাঝে কোন কথা হারিয়ে ফেলি তা নিজেও টের পাইনা। আসলে আমি ভার্সিটির কথাটা বললাম। কারণ আমি যেখানে পড়ি তার আশেপাশে বেশিরভাগ ঘুরার জায়গা অর্থাৎ অনেকগুলো টুরিস্ট প্লেস রয়েছে। যেখানে ঘুরতে যাওয়া যায়, করে পাহাড় পাহাড়ের সৌন্দর্য যতো দেখি ততই মুগ্ধ হই।তাই আমরা সেদিন দুজন বন্ধু মিলে ভাবলাম ঘুরে আসা যাক। কারণ অনেক শুনেছি এই ভাটিয়ারী জায়গাটি অনেক সুন্দর কিন্তু কখনই যাওয়া হয়নি।

---

---

যাওয়ার আগেই আমরা বেশ ভোরে বের হয়ে গেলাম। কারণ আমাদের প্লানিং ছিলো তাড়াতাড়ি গিয়ে তাড়াতাড়ি আবার বাসায় চলে আসবো। কারণ কোথাও যাওয়ার আগে তাড়াতাড়ি যাওয়াটাই ভালো। এতে করে তাড়াতাড়ি ফিরে আসা যায়। তবে যেহেতু আমরা সকাল দুজনের কেউই নাস্তা করিনি। তাই অলংকার মোড় এর কুটুমবাড়ি রেস্তোরাটিতে নাস্তা করে নিলাম।

---

---

এরপর আমরা লোকাল বাসে উঠে চলে গেলাম সোজা ভাটিয়ারীর মেইন গেটের সামনে।আসলে আমার ঠিক মনে নেই কত নম্বর বাসে উঠেছিলাম। কারণ নাম্বার খুব একটা খেয়াল করিনি। তার কারণ বাসের হেলপার চিৎকার করছিল এই বলে যে ভাটিয়ারী, সীতাকুন্ড আরো ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই ভাবলাম যেহেতু ভাটিয়ারী যাচ্ছে বাসটি সেহেতু আমরা উঠে পরি। তাই এতো কিছু আর না দেখে সোজা উঠে চলে এলাম ভাটিয়ারীর মেইন গেটে। সেখান থেকে সিএনজি নিতে হয়। তাই আমরা সিএনজি নিয়ে নিলাম এই ছবিটি আমি সিএনজিতে বসে তুলেছি।

---

---

এর পরে আমরা দুই বান্ধবী মিলে গল্প করতে লাগলাম আর সিএনজি রাস্তার মাঝ দিয়ে চলতে লাগলো।আসলে আমরা একেবারে সকালে যাওয়াতে খুব একটা গাড়িও ছিল না। আর মানুষজন তো একেবারে নেই বললেই হয়তো চলে। কিছু মানুষ ছিলো, তবে আমার মনে হলো তারাও হয়তো আমাদের মত খুব ভোরে ঘুরতে আসার প্লেনিং করেই এসেছে।

---

---

আমরা দুজন কথা বলতে বলতেই হুট করে পাশে চোখ পরলো। এখানকার সিএনজি গুলো শহরের সিএনজির মত খাঁচা দেওয়া না। তাই বসেও বেশ ভালই লাগছিলো । তাকাতেই যেনো অসম্ভব ভালো লাগছিল। কারণ পরিবেশ ছিল একেবারে ঠান্ডা, অনেকটা মেঘলা আকাশ ছিলো।সে সাথে পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে লেক, আর তার পাশে পাহাড়। সবমিলিয়ে দারুন একটি চিত্র।

---

---

এরপরে একটু সামনে যেতেই দেখলাম গলফ ক্লাব। এখানেও আমাদের আসার প্ল্যানিং রয়েছে। তবে এখন নয় আরো কিছুদিন পরে আবার আসা যাবে এই জায়গায়।এই জায়গাটা নাকি অনেক সুন্দর আমি শুনেছি।

---

---

এরপরে আর একটু সামনে যেতেই দেখলাম আবার লেকের সেই অংশ।তবে এবার শুধু লেক হয়, লেকের ধারে দেখলাম অনেকগুলো বোট রয়েছে। যে বোটগুলো দিয়ে এই লেকের মধ্যে রাইডিং করা যাবে। দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেলো। কারণ অনেকদিন বোট রাইডিং করার ইচ্ছে আমার ছিলো।

---

---

এই লেকটি আমার কাছে অনেকটা অদ্ভুত লাগলো। তার কারণ লেকটি যা মনে হচ্ছিলো, অনেক বিশাল তবে সম্পূর্ণটা একসাথে নয় ।

---

---

এরপরে পৌঁছে গেলাম আমাদের নির্ধারিত জায়গায়।তা আমি আপনাদের সাথে আগামীকাল ইনশাল্লাহ শেয়ার করবো।

---

---

সমাপ্তি

---

---

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।

সকলকে ধন্যবাদ

ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

---

---

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||

---

---