অন্যের ক্ষতি করতে গিয়ে বেশিরভাগ সময় নিজেদের ক্ষতি হয়।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজ আমি আবার ও চলে আসলাম নিজের আরো একটি লেখা নিয়ে।প্রতিনিয়ত আপনাদের সামনে নতুন নতুন লেখা নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করি।কারণ আমি মনে করি প্রতিটি লেখা থেকেই আমরা সকলে কোনো নতুন নতুন তথ্য পেয়ে উপকৃত হতে পারি।এটা জাস্ট আমার চিন্তাধারা,আপনাদের চিন্তাধারা অন্যরকম হতেই পারে।

আসলে আমরা তো সবাই আলাদা সত্ত্বা আর তাই ব্যাক্তিভেদে আমাদের সকলের মতামত ভিন্ন হতে পারে।শুধু তাই নয়,আমাদের সকলের মতামত কে আমাদের সকলের শ্রদ্ধা ও করা উচিত।

আমার চিন্তায় কোনো বিষয় খারাপ মানে এমনটা না যে অন্যের চিন্তায় ও তা খারাপ হবে।হ্যা তবে, কিছু বিষয় আছে যা সত্যিকার অর্থেই খারাপ হয়।যা কারো কাছে ভালো লাগুক আর না লাগুক।

যেমন আমি একটা উদাহরণ দিই ,তাহলে আপনারা আরো বেশি ক্লিয়ার হবেন । এই যে আমাদের সিনিয়ররা সবসময় আমাদের পড়াশোনা করতে বল। আমাদেরকে কখনো ভালো লাগ, বলু? আমার তো কখনোই ভালো লাগেনা। কিন্তু তাও কি করা! ওইটা তো আমাদের ভালোর জন্যই বলে। আমাদের খারাপ লাগলেও ভালোর জন্যই বলে। আর এটা তাই কারো খারাপ লাগলেও অন্যায় হতে পারে না।

আচ্ছা যাই হোক তো আপনাদের সাথে আজকে যে বিষয়টি শেয়ার করতে চাচ্ছিলাম, তা হলো অন্যের ক্ষতি করতে গিয়ে আমি যেটা দেখলাম যে বেশিরভাগ সময় নিজের ক্ষতি হয়। সেটা আমি শুধু অন্যদের লেকচার দেওয়ার জন্য লিখছি কিংবা অন্যদের ভুল প্রকাশ করতে লিখছি তা কিন্তু নয়। মাঝেমধ্যে সেটা দেখি নিজের সাথে ঘটে। যেমন আমি যদি একটু উদাহরণ দেই তাহলে হয়তো আপনারও বিষয়টা আরো ক্লিয়ার হবেন।

আমার দুইটা ছোট ভাই রয়েছে, তো তারা স্কুলেই পড়ে। এখন তারা বেশিরভাগ সময় পড়ার সময় মোবাইলে গেমস খেলে। এখন আমি তাই আম্মুকে শিখিয়ে দিয়েছি কিভাবে ওয়াইফাই লাইন ডিসকানেক্ট করে দিতে হয়। এ কারণেই শিখিয়েছি যাতে ওরা গেমস না খেলতে পারে কিংবা মোবাইলে ডিকশনারি ইউজ না করতে পারে। যাতে তারা সত্যিকারের বই ডিকশনারি গুলো থেকে কোনো ওয়ার্ড এর মিনিং খুঁজে বের করে।

কয়েকদিন আগে হলো কি, আম্মু যখন দেখলো আমি ল্যাপটপে বসে গেমস খেলছিলাম। তখন আম্মু গিয়ে আমার গেমস খেলা যেনো বন্ধ হয় সেজন্যই ওয়াইফাই লাইনটা ডিসকানেক্ট করে দিলো! বুঝুন অবস্থা?? আসলে আমি মূলত এই প্লেনিংটা করেছিলাম ছোট ভাইদের শায়েস্তা করার জন্য। কিন্তু আমি নিজেই শায়েস্তা হয়ে গেলাম।আম্মুকে শেখালেন নিজের কাজে আর আম্মু এখন তা আমার উপর ই এপ্লাই করা শুরু করে দিয়েছে।

আসলে আমি তো খুব ছোট বিষয় এর একটি উদাহরণ দিয়ে আপনাদের বুঝালাম। কিন্তু আমাদের চলতি পথে এ ধরনের ছোটখাট অনেক ঘটনাই ঘটে থাকে যেগুলোতে আসলে আমরা চাই অন্যের ক্ষতি হোক। কিন্তু কিভাবে যেনো আমাদের নিজেদেরই ক্ষতি হয়ে যায়। আমার মনে হয় এটা সৃষ্টিকর্তারই একটি ইচ্ছা।

কারণ সৃষ্টি কর্তা কখনোই পৃথিবীর বুকে নাইনসাফী করে কাউকে বেঁচে যেতে দেয় না। সৃষ্টিকর্তা প্রতিটি মানুষের কর্মের ফল কিছু-না-কিছু দুনিয়াতেই দিয়ে দেয়। আখিরাতে তো সব কিছুর হিসেব হবেই। কিন্তু দুনিয়াতেও কেও ছাড়া পায় না। এটাই হলো তার প্রমাণ। তার কারণ হলো সৃষ্টিকর্তা অন্যায় কখনোই পছন্দ করে না। আর যখন সৃষ্টিকর্তা দেখেন যে কেউ অন্যের প্রতি অবিচার করছে। তখন সৃষ্টিকর্তা সে অন্যায়টিকে তার নিজের দিকে ঘুরিয়ে দেয়। সে কারণেই আমাদের কারোরই উচিত নয় অন্যের জন্য কোনো সমস্যা সমস্যা সৃষ্টি করা। এতে করে আমরা সকলে ওই গর্তের মধ্যে নিজেরাই পরবো।

প্রকৃতি কখনোই কাওকে ছেড়ে দেয়না,সবসময় অন্যায়ের শোধ তুলেই।সে কারণেই আমরা অন্যায় থেকে একেবারে দূরে না সরতে পারলেও অন্যের ক্ষতি করা থেকে ধীরে ধীরে সরে যাওয়া উচিত।তা না হলে হিতে বিপরীত হতে সত্যিই বেশি সময় লাগেনা।

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।