আমার কবিতা আবৃত্তির ভিডিও,কিছু কথা ও কবিতার মূলভাব। ||১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য||

---

🌼হ্যালো,আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি।

---

---

আজ আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি কিছুটা ভিন্ন ধর্মী কিছু নিয়ে।না মানে হচ্ছে,রোজ তো ধরুণ এটা ওটা লিখি তবে আজকের লিখার সাথে আপনাদের সামনে উপস্থাপনা করেছি একটি কবিতা আবৃত্তি।আমার নিজের করা একটি কবিতা আবৃত্তির ভিডিও।

---

🌼কবিতার নামঃ নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে

🌼কবির নামঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

🌼আবৃত্তিতেঃ নূসুরা নূর

---

---

আজকের কবিতাটির নামের সাথে কবিতাটির লাইনগুলোর যেনো একটু বেশিই মিল রেখেছেন আমাদের কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

---

নিজের ভাষায় কবিতার মূলভাব

---

কবিতার মূলভাবটি আমি একদম ই নিজের ভাষায় লিখছি।
তাই জন্য আমার সাথে আপনাদের মতের সাথে তফাৎ হতেই পারে।
কবিতার প্রথম লাইনে কবি লিখেছেন নয়ন তোমাকে দেখতে পায় না কিন্তু তুমি আছো নয়নে। অর্থাৎ, কবি তার প্রিয়তমাকে নিজের চোখের সামনে দেখছে না কিন্তু সে আছে কবির চোখেই। এই কথায় কবি কবির আবেগ প্রকাশ করেছেন।
কবি কবিতার প্রথম চরণের দ্বিতীয় প্যারায় লিখেছেন যে কবির হৃদয় প্রিয়তমা কে জানতে পারেনা তবুও কবির প্রিয়তমা আছে কবির হৃদয় এই। অর্থাৎ কবির মন প্রিয়তমা খবর না জানলেও প্রিয়তমা কবির মনেই আছে।
কবি কবিতার দ্বিতীয় চরণে লিখেছেন যে কবির মন পাগলের মতো হয়ে যাচ্ছে।
কবি কবিতার তৃতীয় চরণে লিখেছেন যে সবাই তাকে ছেড়ে দিয়েছে তার কেও নাই কিন্তু যার কাছে কবির প্রিয়তমা আছে তার কাছে কেও অন্তত আছে।
কবি কবিতার চতুর্থ চরণে লিখেছেন যে প্রিয়তমা ছাড়া কবির কেও নাই কিন্তু সামনে পুরো জীবন পরে আছে। কবি আবেগের বসে বলছে যে কবিই জানে কবি কি করে দিন পার করছে।
কবি কবিতার পঞ্চম চরণে প্রিয়তমার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ এ বলেছেন যে প্রিয়তমা আছে বলেই কবি আছে আর প্রিয়তমা বেঁচে আছে বলেই কবিও বেঁচে আছে। কবি এইবার আরেকটু ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করতে বলেছেন যে প্রিয়তমা যতই কবির কাছে আছে কবি প্রিয়তমাকে আরো চায়।
এ যেনো এক অদ্ভুত ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
কবি এইবার কল্পনা করতে শুরু করেছেন। কবি কল্পনায় ভালোবাসায় ভেসে গিয়ে লিখেছেন কবি জানে কবি আর তার প্রিয়তমা এক হবে আর তা হবে যুগ যুগান্তরের জন্য এবং মাঝে কেও ই থাকবে না বাঁধা হয়ে।
কবি কবিতাটি শেষ করেছেন আবার একই কথা বলে।
কথাটি হলো - " নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে। "

---

কবিতাটি নিয়ে নিজস্ব বক্তব্য

---

আমি কবি কবি গুরু কবিতায় শুধু একটি ব্যাপারই পরিষ্কার করতে চেয়েছেন আর তা হলো কবি কবির প্রিয়তমা কে অনেক বেশি ভালোবাসে। আর ভালোবাসার কারণে তিনি প্রিয়তমার অনুপস্থিতিতেও প্রিয়তমাকে চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাচ্ছেন,প্রিয়তমাকে অনুভব করতে পারছেন।
আসলে ভালোবাসা খুব অদ্ভুত হয়।ভালোবাসার জন্য ভালোবাসার ওই মানুষটিকে কাছে রাখতে হয়না, ছুঁয়ে দেখতে হয়না।ভালোবাসা সম্পূর্ণ ই অনুভবের ব্যাপার যা প্রত্যেক চরণে চরণে কবি প্রমাণ করেছেন।

---

সমাপ্তি

---

আমার আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।আশা করি কবিতাটি সবাই শুনেছেন। আসলে আবৃত্তি বিষয়টা নিতান্তই আমার শখের ব্যাপার।এই বিষয়ে আমি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিই নি তাই আমি জানি আমি একদম ই পারফেক্ট আবৃত্তিকারক নই তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী আপনাদের কাছে।তবে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না যে কেমন লাগলো আমার এই আবৃত্তিটি। আপনাদের প্রত্যেকটি কমেন্ট আমার জন্য খুব মূল্যবাদ।
ধন্যবাদ সকলকে।

---

ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

---