নিজের মতে জীবন উপলব্ধি ও নিজেকে খুশি রাখতে ট্রিট।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকাল সময়ের খুব অভাব বোধ করি।কারণ,প্রতিটি সময় এতো বেশি ব্যস্ততায় কাটে যে দম ফেলানোর ফুরসতটাও যেনো পাইনা।এতো সব কিছুর পরেও নিজের জন্যে কিছু সময় আসলে সবার ই বের করে নিতে হয়।আমাদের চারপাশে আমরা অনেক রকমের ই মানুষজন পাবো।একেকজনের ধরণ একেবারেই একেকরকম।পৃথিবীটা আসলে বিচিত্রতায় ভরপুর।এই বিচিত্রতার মাঝে আমরাও কিন্তু বাদ যাই নি।আমাদের একেকজনের জীবনকে দেখা,জীবনকে উপলব্ধি করা,জীবনকে মূল্য দেওয়া,জীবন চালানো সবটাই কিন্তু সেইম। মূল বিষয় এক মানুষ জীবনকে এক এক ভাবে দেখতেই ভালোবাসে।তো আমি যেভাবে আমার জীবনকে দেখতে ভালোবাসি বা পরিচালনা করতে ভালোবাসি তা ই বলছি।আসলে জীবনকে পরিচালনা করার অধিকার তো আমাদের কারোর ই নেই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া।আমরা জাস্ট উছিলা মাত্র।তো সে উছিলা সম্পর্কেই বলছি আরকি।আর আমার ব্যস্তপূর্ণ কিছু সময়।

আসলে জীবনকে উপলব্ধি করার সময়টাও যেনো পাচ্ছি না।কারণ প্রতিটা সময় এতো বেশি কাজে ডুবে থাকতে হয় যে।মজার ব্যাপার কি শুনাই,একই ঘরে থাকা সত্ত্বেও মাঝেমধ্যে নুয়াইরার সাথে পুরো ২৪ ঘন্টার মধ্যে দেখা হয় রাতে।তাহলে ভাবুন আমার অবস্থা।যদিও ইনপুট শতভাগ দিলেও আউটপুট হয়তো আসে দশভাগ।কারণ,এক্সপার্টরা যে কাজ করতে ৩০ মিনিট নিচ্ছি,সে কাজ করতেই হয়তো আমার এক ঘন্টা লাগছে।তাই আরকি,ইনশাল্লাহ একদিন আমিও এক্সপার্ট হয়ে উঠবো।

যাই হোক,জীবনকে পরিচালনার যে বিষয়টি আপনাদের বলছিলাম।আসলে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ ই শুধুমাত্র অন্যের জন্যে কাজ করে,অন্যের জন্যে গিফট কিনে কিংবা অন্য কিভাবে খুশি হবে সে চিন্তাতেই জীবনের অর্ধেকের ও বেশি সময় কাটিয়ে দেয়।তবে আমি আবার অন্য ভাবেই ভাবি।সেদিন বাসায় আসার সময় মনে পরলো সারারাত জেগে এরপর ইউনিভার্সিটি যেতে হবে।কারণ,অনেক গুলো এসাইনমেন্ট ,ল্যাব রিপোর্ট বাকি ছিলো।তাই টেস্টি ট্রিটে ঢুকে একটা জার কেক কিনে ফেললাম।

কেনো কিনলাম?কারণ সারারাত জেগে থাকাটা আসলে খুবই কষ্টকর ব্যাপার।আর আমার আবার রাতেই খাওয়া দাওয়া করার অভ্যাস।তো নিজেকে একটু ট্রিট দেওয়াই যায়না তাই?

এর আগে টেস্টি ট্রিট এর জার কেক আমার ট্রাই করা হয়নি।তো বাসায় এসে টেস্ট করে বুঝেছিলাম খেতে জাস্ট দারুণ।এতো সফট আর টেস্টি ফ্লেভারটা।

এরপর বাসায় এসেই বসে পরলাম এসাইনমেন্ট করার জন্যে।এতো বিরক্তিকর কাজ না আমি আমার জীবনে খুব কম ই দেখেছি।এতো এতো লিখতে হয়।ভাবতে পারেন সেদিন প্রায় ৫০ পেইজ লিখেছিলাম।কারণ প্রায় তিনটা এসাইনমেন্ট ছিলো।

এক সময় তো জাস্ট পাগল পাগল লাগছিলো নিজের ই নিজের লেখা আর কাগজ দেখে।কারণ কাগজে এক মূহুর্ত পেইজ মার্কিং না করলেই আমি ভুলে যাচ্ছিলাম কোথাকার পেইজ কোনটা।

তো এই রাত জাগতে হবে তাই মূলত জার কেকটার ব্যবস্থা।কারণ আমি নিজেকে একটু পেম্পার করাটা বা নিজে ভালো থাকাটাকেই বেশি প্রেফার করি।এমন নয় যে অন্যদের কথা ভাবি না।কারণ আরেকটা জারকেক ছোট গুলোই শেষ করেছিল।হাহাহা,মানে দুটো কিনেছিলাম এই আরকি।