কিছু ফটোগ্রাফী ও তার গল্প।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

কয়েকদিন আগে এক ফ্রেন্ডের সাথে একটি জায়গায় গিয়েছিলাম। কোথায় গিয়েছিলাম তা পরবর্তী কোনো পোস্টে বিস্তারিত লিখবো। তাই আজকে আর লিখছি না। আজকে কিছু খণ্ড চিত্র ও তার পেছনের কথাগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আশা করি ভালো লাগবে, অনেক দিন ধরেই কোনো ফটোগ্রাফি পোস্ট করা হয়নি।যে পোস্টটা আমার খুবই পছন্দের অর্থাৎ যে পোস্ট করতে আমার খুবই ভালো লাগে।

কারণ একটা ছবি দেখে তার বর্ণনাগুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করাটা আমার কাছে সব সময় খুব পছন্দের। প্রতিটি ছবির পেছনে কোনো না কোনো কথা, কোনো গল্প, কোনো বিশেষ কিছু থাকে। যেটা ছবি দেখলে হয়তো মাঝে মধ্যে টের পাওয়া যায় না। কিন্তু লেখাগুলো পড়লে বিস্তারিত ভাবে বুঝা যায়। সে কারণেই আমার ছবি দেখে কোনো কিছু লিখতে খুব ভালো লাগে এবং আরেকটা ভালোলাগা রয়েছে। তা হলো,আপনাদের সাথে শেয়ার করা।তাহলে চলুন আজকের ছবি গুলো দেখা যাকঃ-

এই ছবিটি একেবারেই সাধারণ। সেদিন সকালবেলা সেই জায়গাটাতে যাচ্ছিলাম। আর বেশ ভোরে বের হয়েছিলাম। কিন্তু তাই নাস্তাও করা হয়নি। সে কারণেই প্রথমে ভাবতে লাগলাম কোথাও নাস্তা করা যাক। যেহেতু খুব ভালো রেস্তোরাঁগুলোতে এতো সকাল বেলা খোলা হয় না। কারণ তারা দশটা এগারোটার পরে করে খুলে।সে কারণেই আমরা ভাবলাম কুটুমবাড়িতে যাই। কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁ তবে একটু হোটেলের মতো।তাই আমরা সেখানে গেলাম। সেখানে গিয়ে সকালের নাস্তা অর্ডার করলাম নান রুটি, ডাল আর ভাজি। ডাল আর সবজি টা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। কারণ এখানকার এই মিক্স ডাল সবজিটা দারুণ আর নানটাও সফট।এই কম্বিনেশনটা সকালের জন্য একেবারে পারফেক্ট।

এরপরে অনলাইন থেকে একটি মোবাইলের কভার অর্ডার করেছিলাম। সেই কভারটি ও আর দেখা হয়নি অর্থাৎ ব্যাগে ছিলো। তাই ব্যাগ থেকে বের করে মোবাইলে কভারটি সেট করলাম। দেখলাম বেশ ভালোই লাগছে।কভারটি হালকা পিংক কালার আমার সবসময় পছন্দের আর মোবাইলে আরও বেশি ভালো লাগছিলো।

এরপরে আমরা সে জায়গায় গেলাম, গিয়ে প্রথমে একটু দাঁড়ালাম আমার ফ্রেন্ড কিছু কাজে গিয়েছিলো। সে কারণে আমি এক সাইডে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম। আর হুট করেই পাশের একটা গাছের দিকে চোখ পরলো। কি সুন্দর ফুল ফুটে ছিল পুরো গাছটাতে। অনেক ফুল ছিলো আর ফুলগুলো খুব ভালো লাগছিলো দেখতে। কারণ একেবারে স্নিগ্ধ কমলা একটি রং আর তখন বৃষ্টি পরছিলো। সে কারণেই গাছগুলোকে আরো বেশি সতেজ লাগছিলো।

এত সুন্দর একটি ফুল হাতের কাছে পেলে সুন্দর একটি কবিতার কয়েকটি লাইন মনের মাঝে উঠবে না তা কি কখনো হতে পারে? সে কারণেই ভাবলাম কয়েক লাইন কবিতা ও আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক ফুল নিয়ে। কারণ খুব পছন্দের কিছু জিনিসের মধ্যে ফুল আমার খুবই পছন্দের।আমার মনে হয় ফুল সবার ই খুব পছন্দের।

আকাশ মেঘলা ছিলো,চারপাশে বৃষ্টি পরছিলো,তার সাথে হাতের কাছে বৃষ্টিভেজা একটি সুন্দর ফুল। ফুলের নাম কি আমি জানিনা। কিন্তু দেখতে খুব সুন্দর লাগছিলো আর মাঝের জায়গাটি আরও বেশি সুন্দর লাগছিলো। কারন ছোট ছোট অংশগুলো একত্রিত হয়ে ফুলটার সৌন্দর্য আরো বেশি বাড়িয়ে তুলেছিলো। সেই সাথে পাপড়িগুলোতে ছিল বৃষ্টির ফোঁটা! মানে বুঝতেই পারছেন ব্যাপারটা কতো বেশি সুন্দর ছিলো।প্রতিটি ছোট জিনিস একটু ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখবেন খুব স্পেশাল!

ফুল গাছটা ফুলের ভর্তি ছিলো। তাও বেশ কিছু কলিও ফুটে ছিলো।অর্থাৎ আর একদিনের মধ্যেই হয়তো এই ফুলগাছটি আরো অনেক ফুলে ফুলে ভরে উঠবে।

এই ফুলটি দেখে আমার একটা বিশেষ কথা মনে পরলো। নিশ্চয়ই ভাবছেন এটা তো এমন স্পেশাল কিছু নয়। তাহলে বিশেষ কি হতে পারে? আসলে ফুলটির দিকে একটু ভালোভাবে খেয়াল করে দেখুন।আমরা সবাই এমন সুন্দর।সৃষ্টিকর্তার প্রতিটি সৃষ্টি খুব সুন্দর। কিন্তু আমরাও এভাবে একদিন ধীরে ধীরে করে নিজেদের অজান্তেই ঝরে পরবো।

এই গাছটির নাম কি তা ঠিক জানতে পারলাম না।এটা কি সাইকাস গাছ?নাকি অন্য কিছু?নাম জানলে অবশ্যই আমায় জানাবেন।দেখতে একেবারেই ছোট তবে পূর্ণবয়স্ক গাছ তা দেখেই বুঝা যাচ্ছে।