ছোটখাটো অসুস্থতা যখন বিরক্তির কারণ।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি।

ভালো আছি বললেও খুব একটা ভালো আসলেই নেই। তার কারণ ও হয়তো কিছুটা টাইটেল দেখে আন্দাজ করতে পারছেন।গতকাল থেকেই একটু অসুস্থ।খুব একটা বড় কোনো রোগ বা সমস্যা তা একেবারেই নেই।অনেকটা বলা যায় ওষুধ ছাড়াই সেড়ে যায় এমন ধরণের রোগ।কিন্তু এই ধরনের রোগ হলেও সব সময় যে ছোটখাট রোগগুলো একেবারে গা সওয়া হওয়া হয়, এমন মোটেও নয়। কিছু কিছু এমন সমস্যা থাকে যেগুলো বলতে গেলে কিংবা শুনতে গেলে খুবই সামান্য মনে হয়। কিন্তু যখন নিজের সাথে ঘটে তখন খুবই বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কষ্টের চেয়েও তখন বিরক্তি বেশি লাগে । আসলে বিরক্তি ব্যাপারটা ও কিন্তু সবসময় সহ্য করার মত হয় না।আশা করি টাইটেলে বা, পোষ্টের যে কভার ফটো দিয়েছি তা দেখে হয়তো কিছুটা আন্দাজ করতে পারছেন। আমাদের এদিকে এই সমস্যাটিকে "চোখ উঠা" বলে থাকে। হয়তো জায়গাভেদে বিভিন্ন ধরনের কিছু বলা হয়। আসলে এই সমস্যাটি আমার শেষ হয়েছিল একেবারে খুব ছোটবেলায়।
ছোটবেলায় বলতে যখন আমি স্কুলে পড়তাম তখন৷ তখন আমার মনে আছে যখন আমার এভাবে হতো,তখন সানগ্লাস পরিয়ে স্কুলে পাঠাতো। কারণ যেহেতু আমি প্রথম সন্তান আবার বাবা-মায়ের, সেহেতু আমার উপরে সবকিছু একটু বেশি ভাবেই গিয়েছে। এর পরবর্তী মানে, ভাইদের উপরে আমার বাবা-মা এতো প্রেসার দেয়নি। তবে আমি ছোটবেলা থেকে এখন পর্যমত বেশ প্রেসার এর উপরে মানুষ হয়েছি,হচ্ছি বলাই চলে। তার কারণ আমি বড় তাই আমার উপর এক্সপেক্টেশন টা খুব বেশি। সে কারণেই হয়তো তারা প্রেসারটাও খুব বেশি দিয়েছে। আচ্ছা যাই হোক এসব বিষয় নয় , হলো এই চোখ উঠা!
যদি কেউ চোখ উঠা মানে বুঝতে না পারেন। তাহলে কনজংটিভিটিস বিষয়টা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। এটা একটি চোখের ভাইরাসজনিত ইনফেকশন জাতীয় রোগ। আসলে এটাকে আমরা সাধারণভাবে চোখ উঠা বলেই চিনি। অবশ্য অন্যান্য জায়গায় কি বলে তা আমার ধারণা তে নেই।এই চোখ উঠা বিষয়টা খুবই সামান্য অর্থাৎ চোখ ফুলে যায়, লাল হয়ে যায়, ব্যথা করে, চোখের মধ্যে কিছু ঢুকেছে এই ধরনের মনে হয়। যে কারণে খুব বেশি চুলকায়।

তবে তখনই সমস্যা হয় যখন অতিরিক্ত চুলকানো হয়। এবং চোখ ফুলে একেবারে লাল হয়ে যায় আর অনবরত পানি পরতে থাকে। খুব অসহ্য কর এবং অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তখন।

কয়েকদিন আগে আমার ছোট দুই ভাইয়ের প্রথমে হয়। তারা মোটামুটি সবসময়ই সানগ্লাস পরেছিল। তো আমরা ভাবলাম আর নিশ্চয়ই কারো হবে না। যেহেতু তারা সানগ্লাস পরে রয়েছে। কারণ আমরা এটা জানি যে যার এই চোখ উঠে, তার দিকে কেউ তাকালে তারও হয়। যদিও আমি জানিনা এটার সত্যতা কতটুকু। তবে আমরা এটাই শুনে এসেছি এবং মেনে আসছি। তো আমি ভাবলাম আমাদের কারো হবে না।

কিন্তু গতকাল দুপুরের দিকে হঠাৎ করে আমার চোখ চুলকাচ্ছিলো। আমি সাধারন ভাবেই ভাবলাম হয়তো এলার্জির সমস্যা।আমার সব সময় এলার্জি লেগে থাকে। তাই আমি একটা অ্যালার্জির ওষুধ খেয়ে নিলাম। এর পরে বিকেলে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার অবস্থা তো খুবই খারাপ। চোখ খুলতেই পারছি না, এমন একটা অবস্থা পরে। আম্মু এসে টিসু পেপার পানিতে ভিজিয়ে, এরপরে যখন চোখে একটু আস্তে আস্তে মুছে দিলো। এরপরে আমি চোখ খুলতে পারলাম। এতো খারাপ অবস্থা হয়েছিলো।

আসলে আমার তেমন কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় নি। যে আমি লক্ষণ দেখে বুঝবো আমার এই রোগ হবে। কারণ একেবারে সামান্য চোখ চুলকানো থেকেই আমার এই সমস্যাটি শুরু হয়েছে। তবে লক্ষণ অনেক রকমের রয়েছে, যেমনঃ চোখ জ্বালাপোড়া করে, এরপর চোখে মনে হয় কিছু পরেছে, এ ধরনের একটু অস্বস্তি হয় আর সেসাথে ব্যথাও হয়।

লক্ষণগুলো সমস্যার আগে টের না পেলেও। এখন বেশ ভালোভাবেই টের পাচ্ছি।কারণ এখন আমি আলোর দিকে একেবারেই তাকাতে পারছিনা। খুব ব্যথা করছে কারন আমি বেশি চুলকিয়ে ফেলাতে চোখ ফুলে এমন অবস্থা হয়েছে যে আয়নাতে নিজেকে দেখলে এখন আর নিজেই চিনতে পারছিনা! চেহারার এতোটাই খারাপ অবস্থা হয়েছে। কিন্তু তার উপরে প্রতিনিয়ত মোবাইল আর ল্যাপটপ এর স্ক্রিনের দিকে তাকাতে হচ্ছে। যেহেতু পড়াশোনা সব ল্যাপটপেই আর কাজকর্ম সব মোবাইলে করতে হচ্ছে। সে কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকাতে হচ্ছে। যা আমার জন্য আরও বেশি অস্বস্তিকর হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যতো যাই হোক কাজ তো আর ফেলে রাখা যায়না। দায়িত্বকেও সরিয়ে দেওয়া যায় না। সে কারণেই কষ্ট করে হলেও দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে হচ্ছে।

কিন্তু আসলে এটার সর্তকতা অনেকেই বলে যে রয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় না কোনো সর্তকতা মানলে এটাতে কোনো কাজ হয়। কারণ আমি আজ পর্যন্ত সবকিছুই মেনে দেখেছি। এই সমস্যা ঘরের কারো হলে সবারই হয়। এমনকি আজকে দেখছি আমার ছোটবোনের ও একই অবস্থা। তাকে দেখে খুব কষ্ট লাগছে আসলে। কারণ সে একেবারেই বাচ্চা একটা মেয়ে। তার জন্য এসব সহ্য করা অনেকটা কঠিন হয়ে পরছে বলতে গেলে। একেবারে পরিবারের সকলেরই খুব খারাপ অবস্থা।

সবচেয়ে খারাপ লাগছিল যখন আমি গতকাল রাতে ইইই এক্সামের প্রিপারেশন নিচ্ছিলাম। আর বারবার আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছিলো এবং আমি ল্যাপটপের স্ক্রিন ভালোভাবে দেখতে পাচ্ছিলাম না। সময়টা আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর গিয়েছে এবং অনেকটা অসহ্যকর এবং কষ্টকর ও লেগেছে। তার কারণ আমার সামনে পরীক্ষা। একেবারেই কিছু পড়া হয়নি ভালো ভাবে অর্থাৎ এই কয়েকদিনের মধ্যে পড়তে হবে , যদি পরীক্ষায় অন্ততপক্ষে পাস করতে চাই। সব মিলিয়ে খুবই বিপদে আছি আর খুব অসহ্য কর পরিস্থিতির মধ্যে সময় কাটাচ্ছি।

তবে সকলের জন্য একটি আমি কথা বলবো। তা হলোঃ আমি আমার যতো পরিচিতজন পেয়েছি প্রায় প্রতিটি ঘরেই এখন এই অবস্থা। তাই সকলকে বলবো সর্তকতা অবলম্বন করতে। অর্থাৎ আসলে খুব একটা সর্তকতা মেনেও তো লাভ নেই। তবে নিজের মতো করে কিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে পারেন। যেমনঃচোখে বারবার হাত না দেওয়া, বাইরে গেলে সানগ্লাস পরে যাওয়া কিংবা কারো হলে সে যেনো সানগ্লাস কোনোভাবেই না খুলে সেইদিকে খেয়াল রাখা। এই ধরনের সতর্কতাগুলো মানলে আশা করি কিছুটা হলেও এই রোগ থেকে দূরে থাকা যাবে। এই রোগটা খুব বড় কিছু নয়। কিন্তু খুবই বড় পরিমাপের বিরক্তিকর একটা সিচুয়েশন ক্রিয়েট করে দৈনন্দিন কাজে। যেটার আমি এখন নিজেই ভুক্তভোগী।

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।

ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||