অতি খুশির পরেই কান্না।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সাথে একটা ঘটনা শেয়ার করতে এলাম অর্থাৎ একটা ঘটনা বলতে আমার দৈনন্দিন এর একটা কথা,এই আর কি।তো ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক। তো আপনারা যারা নিয়মিত আমার পোস্ট পড়ে থাকেন তারা অনেকেই জানেন যে আমি মোটামুটি কয়েক দিন ধরে বেশ অসুস্থ রয়েছি এবং আলহামদুলিল্লাহ এখন আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ আছি। তবে অনেক সুস্থতা এখনো বাকি আছে।

যাইহোক যা আসলে আপনাদের বলতে চেয়েছিলাম তা হলো লাস্ট আসলে যে খাবার দাবার গুলো খাওয়ার পরে আমি এতো বেশি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম। আজকে ফোন ঘাঁটতে ঘাঁটতে দেখি সেই ছবিগুলো আমার ফোনে গ্যালারিতে রয়েছে। তো ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা যায়।

আমাদের ইউনিভার্সিটিতে প্রচণ্ড গরম আর রোদ। যেহেতু পাহাড় এলাকা,সেহেতু বাতাস তো রয়েছে। কিন্তু গরমের মাত্রাটা খুবই তীব্র। অর্থাৎ কিছুক্ষণ বাইরে দাঁড়ালে মনে হয় যেনো স্কিন বার্ন করছে। এতোটা খারাপ লাগে। তো সে কারণেই আসলে ঠান্ডা টা একটু বেশি খাওয়া হয়। আর সে সাথে ঝালটাও বেশি খাওয়া হয়, যে দুটোই গরমের জন্য খুবই খারাপ।

যাইহোক তো সেবার ক্লাস করতে করতে আমরা একটা মাঝে ব্রেক পেয়ে গিয়েছিলাম। তো এখানে এক আন্টি ভেলপুরি বিক্রি করে। উনার ভেলপুরি টা আমার আবার ভালোই লাগে। ডিপার্টমেন্টের থেকে নিচে নেমে আমরা ভাবলাম প্রথমে একটু ভেলপুরি খাওয়া যাক।

আর সে সাথে আমার ফ্রেন্ড নিলো চটপটি।উনার চটপটিটাও বেশ মজার।অর্থাৎ উনার প্রায় প্রতিটি খাবারই ভালোই মজা করে বানানো হয়।

তো আমার প্লেট দেখে বুঝতেই পারছেন যে আমি কি পরিমান ঝাল খেতে পারি। অর্থাৎ ভেলপুরির প্লেটটা যথারীতি খাওয়ার পরে এতো বেশি ঝাল লাগছিলো যেনো মনে হচ্ছিলো গলাতে যতটুকু গিয়েছে ততটুকুই খবর হচ্ছে।

তো তাই এক ফ্রেন্ডকে পাঠালাম আইসক্রিমের জন্য। আসলে যে আইসক্রিমটা খাওয়ার পর থেকে আমার এতো খারাপ অবস্থা। তবে মিথ্যে বলবো না, আইসক্রিমটা খুবই মজা ছিলো।

আইসক্রিমটার টেস্ট ছিলো অনেকটা আমরা ছোটবেলায় দুধ চিনি দিয়ে যেভাবে বাসায় আইসক্রিম বানাতাম ঠিক সেই টেস্ট। এর বেশি আর কোনো টেস্ট ই না। তো আমরা বেশ নস্টালজিক হতে হতেই খেয়েছিলাম।

আর খাওয়ার পর বাসায় এসে কি যে একটা অবস্থা শুরু হলো আমার। আমি তো বারবার বলছি এখন যে আমি আর কোনো ভাবে কখনো আইসক্রিম খাবো না। যদিও হয়তো আমিও জানি এটা বলার জন্যই বলা। কারণ দুই দিন পর ঠিকই আবার আমি আইসক্রিম খাবো।অসুস্থ হয়ে গেলেই এসব আওড়াই।তবে এবার থেকে একটু ট্রাই করবো কম খাওয়ার। কারণ এবার প্রচন্ড কষ্ট পাচ্ছি আসলে।

যাইহোক কি আর করার আসলে! আনন্দের মাশুল তো দিতেই হতো।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।