ছোঁয়া যায় না মনুষ্যত্ব

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করি। আশা করছি আপনাদের ভালোই লাগবে। সে সাথে হয়তো ব্যাপারটি পরে কিছুটা খারাপও লাগতে পারে। অর্থাৎ যারা সংবাদপত্র পড়েননি কিংবা এখনো নিউজ সেই ভাবে দেখার সময় হয়ে উঠেনি ব্যস্ততার কারণে। তাদের এই লেখাটি পড়লে কিছুটা খারাপ লাগতে পারে। কারণ যারা নিউজ পড়েছে, তারা সবাই এই নিউজটা হয়তো জানার কথা।

আমি কথা বলছি বাংলাদেশের ঢাকার বেইলি রোডের ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডটি নিয়ে। সেটা নিয়ে গত পোস্টেও লেখালেখি করেছি। কিন্তু যে ব্যাপারটি হুট করে আমি জানতে পেরেছি ভাবলাম। সেটা নিয়েও আপনাদের সাথে একটু নিজের মতামতে শেয়ার করা যাক। তা হলো, সেই ভবনেই যখন আগুন লেগেছে। তখন গ্যাজেট এন্ড গিয়ার নামে একটি দোকানেও আগুন লেগেছিলো।দোকানের নামটি শুনে বোঝা যাচ্ছে যে এটা একটি ইলেকট্রনিক্স দোকান অর্থাৎ বিভিন্ন মোবাইলের শপ।

কিন্তু যেই ব্যাপারটা আমার কাছে অসম্ভব ভয়ানক এবং মর্মান্তিক লেগেছে। তা হলো একজন লোক তার ফেইসবুক প্রোফাইলে একটা পোস্ট করেছে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তিনি তখন দূরে ছিলেন এবং তিনি স্পষ্ট দেখেছেন গেজেট এন্ড গিয়ার নামক দোকানটিতে একটি শিশু আটকা পরেছে আগুনের মাঝে এবং সেখানে কিছু লোক ঢুকতেও পেরেছে। তো শিশুটি ভেবেছে তারা তাকে বাঁচাতে ঢুকেছে। তাই সে হাত বাড়িয়েছিলো। কিন্তু ওই মানুষগুলো মোবাইল চুরি করতে ব্যস্ত ছিল!

আমাদের মনুষত্ব ঠিক কোথায় গিয়ে নামলে আমরা একটা মানুষকে চোখের সামনে আগুনে ঝলসে যেতে দেখতে দেখতে চুরি করতে পারি? অর্থাৎ এই যে যে মানুষগুলো হুট করেই চুরি করা শুরু করলো সেই জায়গাটিতে। সেখানে কি সবাই আগে থেকেই চোর? তাদের প্রফেশনাল টাই কি সেই খারাপ কাজটা? নাকি তারা শুধুমাত্র সময়ের সুযোগ নিয়ে এই কাজগুলো করছিলো।

সেই শিশুটি আসলে মনুষত্ব ধরার জন্য হাত বাড়িয়েছিলো। কিন্তু সে ভুলে গিয়েছিলো যে বাংলাদেশে আর যাই হোক মনুষত্ব নামক কিছু আছে বলে অন্তত আমার তো মনে হয় না। কারণ আপনি নিজেই ভাবেন যে ব্যাপারটা কতটা বিভৎস এবং মর্মান্তিক। একটা মানুষ আপনার দিকে হাত বাড়িয়ে আছে আর আপনি ব্যস্ত চুরি করতে। আর সে শুধুমাত্র সামান্য বিপদে কিন্তু হাত বাড়িয়ে দেয়নি। সে ঝলসে পুড়ে মারা যাচ্ছিলো। সেই অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো এবং বাচ্চাটা রীতিমতো চিৎকার করছিলো বাঁচানোর জন্য তাকে। কিন্তু কি করার! ওই যে বললাম, বর্তমানে মনুষ্যত্ব সত্যি ই ছোঁয়া যায় না।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।