ছোট বোন নুয়াইরার বার্থডে পার্টি(ঘরোয়া ভাবে)||১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য||

---

🌼হ্যালো,আসসালামু আলাইকুম।আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ এইতো আছি।

---

---

---

---

গত পরশু আমি আমার একটি পোস্ট দিয়েছিলাম যে আমার ছোট বোনের বার্থডে উপলক্ষে আমি ওর জন্য কিছু টুকটাক শপিং করেছি। তো গতকাল ই ছিলো ওর বার্থডে। তো একেবারে সামান্য এবং ঘরোয়া ভাবেই ওর বার্থডে সেলিব্রেট করেছি। আসলে আম্মু খুব একটা সুস্থ নয়। বিভিন্ন অসুস্থতা দেখা দিয়েছে। আর আম্মুর হাত ও কিছুটা ফুলে গেছে যার কারণে চাইলেও খুব একটা আয়োজন আমরা করতে পারিনি। তবে ছোট বোনের খুশির জন্য যতটুকু না করলেই নয় ততটুকু করার চেষ্টা করেছি। আর আম্মুর হাতে কিছু প্রবলেম হয়েছে যার কারণে খুব একটা রান্না-বান্না করতে পারছে না। তাই জন্য আমি বেশিরভাগ নাস্তাই ফ্রোজেন কিনে আনার চেষ্টা করেছি। বাসায় একেবারে সামান্য কিছুই রান্না করেছি। তো আশা করি আপনারা ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।

---

---

সামান্য নাস্তার আয়োজন

---

---

ছবি গুলো দেখেই বুঝতে পারছেন আসলে আমরা কতোটা সাধারণ এবং সামান্য আয়োজন করেছিলাম। তো বলি আমি, কেকটি তো আমি বাইরে থেকে কিনে এনেছিলাম। এরপর চটপটি টা বাসায় তৈরি করা। তবে এরপর আর কোনো কিছুই বাসায় তৈরি নয় অর্থাৎ সিঙ্গারা, নাগেট,ফুচকা প্রত্যেকটাই আমি দোকান থেকে কিনে এনেছি। বিশেষ করে সিঙ্গারা এবং নাগেট ফ্রোজেন আর ফুচকা তো বাইরে থেকেই কিনা। এই ছিলো আমাদের কেক ডেকোরেশনের টেবিলের সামান্য একটি আয়োজন।

---

---

কেক ও বার্থডে গার্ল এর বয়স অনুযায়ী মোমবাতি

---

---

এই মোমবাতি কিনা নিয়ে খুব মজার একটি ব্যাপার হয়েছে। আমি যখন আজকে কেক কিনে আনছিলাম তখন মার্কেট থেকে মোমবাতিও কিনে এনেছিলাম তার বয়স অনুযায়ী। তবে আমার মাথা এতোটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে আমি ভাবছিলাম তার তো বয়স দুই বছর শেষ হয়েছে তো আমি মোমবাতি টা কিনবো তিন সংখ্যার। কিন্তু বাসায় এসে এরপর আবার ভাবতে লাগলাম আমরা তো জন্ম হওয়া মাত্র একবছর বলিনা! জন্মের পরে এক বছর শেষ হলে এরপর এক বছর বলি, তার মানে দুইবছর শেষ হলে ২ বলছি। তার মানে আমার মোমবাতি কিনা দরকার দুই সংখ্যার। এর পরে আর কি করার!! আবার ছোট ভাইকে এলাকার দোকানে পাঠালাম সে এই ২ এর মতো দেখতে মোমবাতি নিয়ে এলো।

---

---

আম্মু ও নুয়াইরা

---

---

এই হলো আমার পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় দুটি মানুষ।তাই জন্য ভাবলাম আপনাদের সাথেও ছবিটা একটু শেয়ার করি।
ছবিটা বেশ মজার খেয়াল করে দেখেন নুয়াইরা আমার দিকে কেকের ছুড়ি উঁচিয়ে ধরেছে। আসল অর্থ হলো সে আমাকে ভয় লাগাচ্ছে, ছোট মানুষের চিন্তা ভাবনা আরকি।

---

---

আমি ও নুয়াইরা

---

---

আসলে নুয়াইরা অনেক বেশি দুষ্টু হয়েছে। যার কারণে ওকে স্থির রেখে কোন ছবি তোলা প্রায় অসম্ভব পর্যায়ের!!!
সেই কারণেই যেই ছবিটা পেলাম ওইটাই আপনাদের দিলাম। আসলে ওকে স্থির রেখে কোন কাজ করাটা অনেক বেশি কঠিন একটি কাজ।

---

---

নুয়াইরা ও তার গিফট

---

---

সে তার গিফট গুলো নিয়ে এমন ভাবে চ্যাক করছিলো যেনো মনে হচ্ছে সে আমাদের কোনো বাজারের লিস্টি দিয়েছে আর আমরা সেই বাজারের লিস্ট অনুযায়ী বাজার করে তার সামনে এনে দিয়েছে। তার হাবভাব দেখে যা মনে হচ্ছে আর কি।হাহাহা,
গিফট এর মধ্যে দেখতে পাচ্ছেন অনেক ছোটখাটো জিনিস রয়েছে তো আগেই বলে দি,এগুলো দেখে খারাপ অথবা একটু খারাপ কিছু ভাবার কিছুই নেই। আসলে আমার ছোটভাই একজন ক্লাস ফাইভে পড়ে আর একজন ক্লাস এইটে পড়ে। ওদের হাতে আসলে টাকা একেবারেই দেওয়া হয় না। আসলে আমাদের ঘরে বাচ্চাদের হাতে টাকা অনেক বেশি কম দেওয়া হয়। তারা করেছে কি অনেকদিন ধরে টাকা জমিয়ে এরপর কেউ কিন্ডার জয় কিনেছে অথবা ওয়েফার কিনেছে অথবা কিটকেট কিনেছে। ব্যাপার গুলো এমন আরকি অর্থাৎ আমার কাছে গিফট মানে গিফটই।আর যাকে গিফট গুলো দেওয়া হয়েছে সেও ভীষণ খুশি হয়েছে।

---

---

কেক কাটা ও খাওয়ানো

---

---

এরপরে তো কেক কাটা হলো। এরপর কেক খাওয়ানো হলো। নুয়াইরা ভালো মতোই খেলো, তার মনে হয় কেকটি তার বেশ ভালই মজা লেগেছে। আর বাচ্চাদের তো চকলেট কেক সব সময় মজা লাগে। তার জন্য সে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে খাচ্ছিলো।

---

---

হাসির কারণ?

---

---

এই ছবিটি দেখে বুঝতে পারছেন যে আমরা সকলেই আসলে খুব হাসছিলাম। তো হাসার কারণ হচ্ছে নুয়াইরাকে যখন সামনে থেকে বলল যে আমাদেরকে কেক খাইয়ে দিতে সে আমাদেরকে এক্সপ্লেইন করা শুরু করল যে কেকটা সে আমাদের দিবে না!! সে ই খাবে! আর সে তো কোন ভাষায় কথা বলে আমরা আসলে সবটা বুঝতে পারি না। কারণ ফিফটি পার্সেন্ট কথাই এখনও বোঝা যায়না। অস্পষ্ট ভাবে কথা বলতে পারে এখনো। মানে সবটা বলতে পারেনা।ওর ভাষার উচ্চারণ শুনেই আমরা আসলে এতোটা হাসছিলাম। কারণ সে খুব সিরিয়াস হয়ে আমাদের সাথে কথা বলছিলো।

---

---

আম্মু কেক খাইয়ে দিচ্ছিলো নুয়াইরাকে

---

---

দেখেই হয়তো বুঝতে পারছেন ছবির বর্ণনা কি হতে পারেম অর্থাৎ আম্মু তাকে কেক খাইয়ে দিচ্ছে। আর সে বেশ খোশ গল্প করতে করতে কেক খাচ্ছে। আর ছবিতে ওর চেহারা দেখলেই বুঝতে পারবেন আপনারা যে সে বেশ আনন্দিত।

---

---

নুয়াইরার বিখ্যাত হাসি!

---

---

আমি শুধু সেলফি ক্যামেরা টা ওপেন করে বলেছিলাম একটু হাসো তো। তারপরে সে এই হাসি দিলো। আসলে সে হাসি মানে এইটাই বুঝে। এই কারণেই তার এই হাসি। আশা করি আমার সাথে আপনারাও হাসবেন এটি দেখে!

---

---

রাতের আয়োজন

---

---

পোস্টের শুরুতেই বলেছিলাম যে আম্মু একটু অসুস্থ তো এই কারণে খুব একটা আয়োজন করা হয়নি।তাই আমি ভেবেছিলাম কি আজকে আম্মুকে কাজ করতে না দিয়ে আমি নিজেই কাজ করি।আমার পক্ষে তো আর আসলে খুব বেশি আয়োজন করা সম্ভব নয়।আর সারাদিন অনেক কাজ ছিলো, বাইরেও গিয়েছিলাম কেক, বেলুন এসব আনতে। তাই জন্য শর্টকার্টে খিচুড়ি, ডিম ভাজি,আলুর চপ আর সালাদ করলাম। এর বেশি আসলে আমার একার পক্ষে হয়তো সম্ভব নয়। ব্যাপারটা তো বুঝতেই পারছেন। তবে লাস্ট কথা হলো ডিনার টি খুব মজার হয়েছিল।

---

---

এইতো এখানেই শেষ করছি আজকের পোস্ট।আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।সবাই নুয়াইরার জন্য দোয়া করবো, এই আশাই রইলো।

আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। আবার অন্যদিন অন্য কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।

ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

---

---

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||