ছোট্টবেলায় ফিরে যাওয়া

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সাথে আমার কিছু মজার মুহূর্তের কথা শেয়ার করি। তো যে ভাবা সেই কাজ। বেশ কয়েকদিন আগে ভাবছিলাম আমরা পটলাক পার্টি করবো। পটলাক পার্টি বলতে সবাই নিজের বানানো একটি আইটেম আনবে এবং সেভাবেই একটা পার্টি হবে। যাই হোক, প্ল্যানিং হচ্ছিলো বেশ অনেকদিন আগে থেকে।কিন্তু কিছুতেই এক্সিকিউট করতে পারছিলাম না। কারণ কারো না কারো, কোনো না কোনো সমস্যা হয়েই যাচ্ছিলো। তাই আসলে প্ল্যানিংটা ঠিক ভাবে হচ্ছিলো না।তাই মোটামুটি বেশ রাগ লাগছিলো।কারণ প্রতিবার সব প্ল্যানিং হওয়ার পর একজন না একজনের ঝামেলা হয়েই যায়।

এই পার্টিটা আসলে ছোট বেলায় খুব বেশি করা হতো।অর্থাৎ সবাই নিজেদের বাসা থেকে খাবার দাবার আনবো।তো আমরাও আসলে তাই ই চাচ্ছিলাম।সে কারণেই টাইটেল টা লিখলাম যে ছোট্টবেলায় ফিরে যাওয়া।

আসলে বড় হওয়ার পর, একটা বয়সের পর আর বড়দের ব্যাপারগুলো একেবারেই ভালো লাগে না।কারণ শুধু অশান্তি,অপ্রয়োজনীয় ব্যাপার।সব কিছু আসলে কেমন দমবদ্ধ কর পরিস্থিতি হয়ে যায়।কিন্তু ছোটবেলার এসব কোনো ঝামেলা নেই। তাই আমরা ছোটবেলাটাকেই একটু ফিরিয়ে আনার চেষ্টার প্ল্যানিং এ ছিলাম আরকি।

যাই হোক,আসলে সব প্ল্যান হয়েও হচ্ছিলোনা।আবার অনেকে করছিলো ইচ্ছাকৃত বাহানা।তাই শেষ মেশ আমরা প্ল্যান টা ক্যান্সেল করি।এবং আমরা ৩ জন ঠিক করি যে আমরা ৩ জন ই ছোট করে পার্টি করবো।অনেকটা টিফিন শেয়ারিং এর মতোন।যা ছোটবেলায় হতো।এখন তো টিফিন নেওয়াই হয়না। কারণ ভোর বেলা চলে যাই বাইরে।সে যাই হোক,সেদিন বেশ কষ্ট করে ভোর বেলা উঠেছিলাম।এবং আমি নিয়ে গিয়েছিলাম চিকেন পপকর্ণ আর চিকেন কাবাব।

দুটোই ফ্রোজেন স্ন্যাকস ছিলো।কারণ, সকালে উঠে কোনো নাস্তা বানানো প্রায় অসম্ভব বলতে গেলে।তাই আগের দিন ই আনিয়ে রেখেছিলাম সব।আর দুজন এর মধ্যে একজন এনেছিলো পুডিং আর আরেকজন এনেছিলো পাটিসাপটা।

যাই হোক,সকালে গিয়ে বিশাল খিদে পেয়ে যায়।তাই দ্রুত খাবারগুলো ডিস্ট্রিবিউট করলাম।আর খাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম।কারণ সকালে খিদে খুব বেশি থাকে।

এরপর তো খাওয়া দাওয়ার পালা।আসলে সব গুলো খাবার ই এতো বেশি মজা ছিলো।একেবারে প্রতিটি আইটেম ই একেবারে মুখে লেগে থাকার মতোন জাস্ট।আমরা দ্রুত খাওয়া দাওয়া করে নিলাম কারণ আবার ক্লাস ছিলো তাই , জলদি ছিলো।

তাই খাওয়া দাওয়া শেষ এ ক্লাসের দিকে যাচ্ছিলাম আর অন্য এক ভবনে দেখি সুন্দর একটা পাখি বসে আছে।তো সেটার ও একটু ফটোগ্রাফী করলাম।এরপর তো সোজা ক্লাসে,কারণ ক্লাস টাইম ই পেরিয়ে যাচ্ছিলো এসব করতে করতে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।