আত্মসম্মানবোধ হোক সুস্থ

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করা যাক। কারণ মাঝেমধ্যে বেশ কিছু চিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে। তো সেসব আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ভালোই লাগে আমার। আর আপনারাও সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করেন। যেগুলো আসলে পড়েও ভালো লাগে এবং আপনাদের মনের কথাগুলোও জানতে পারি খুব সহজেই।

সেই সাথে জেনারেল রাইটিং পোস্ট লেখার কিন্তু বিশেষ একটা দিকও রয়েছে। কারণ মানুষ যত বেশি ভাবতে পারে ঠিক তত বেশিই লিখতে পারে। আর একটা মানুষ যত লিখতে পারে ততই কিন্তু তার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। যেটা আমরা আসলে স্কুলে দেখেছি। অর্থাৎ যখন আমরা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখতাম। তখন কিন্তু আমরা বেশ অনেক কিছুই খুব সহজেই এবং খুব তাড়াতাড়ি ভেবে উত্তর দিতে পারতাম। যাইহোক আসলে সবকিছু ভালো খারাপ দিক তো রয়েছেই। তবে আমি মোটামুটি সবসময় সবকিছুর ভালো দিকটাই বেশি দেখার চেষ্টা করি। অর্থাৎ পজেটিভ মাইন্ডেড হওয়াটাই কিন্তু খুব ভালো।

আজকে আসলে যে বিষয়টা নিয়ে লিখতে এসেছি তাহলে আত্মসম্মানবোধ। যেটার ব্যাখ্যা এক এক মানুষের কাছে একেক রকম হতেই পারে। এবং একেক রকম হয় ও।তাতে আমার আপত্তি নেই। কারণ যে কোনো বিষয়কে আমরা সবাই যে একই চোখে দেখবো কিংবা একই মাপে মাপবো, তার কিন্তু কোনো ঠিক নেই।

আত্মসম্মানবোধ কমবেশি আমাদের সকলেরই রয়েছে। হয়তো অনেকের বেশি থাকে কিংবা কম থাকে। কিন্তু আমি যেটা বলতে চাচ্ছি সেটা হলো অনেকের আত্মসম্মানবোধ বিষয়টাই অনেকে গুলিয়ে ফেলে। অর্থাৎ আত্মসম্মানবোধ কি এবং অহংকার কি তা আসলে অনেক মানুষ আলাদা করতে পারে না। ঠিক সেই কারণে আত্মসম্মানবোধের আসলে দুইটা দিক রয়েছে। একটা হলো সুস্থ এবং আরেকটা হলো অসুস্থ। সুস্থ দিক হলো একটা মানুষ নিজের সম্মান বাঁচিয়ে রেখে সব কাজ করবে এবং অন্যজন যদি তাকে বাজে কথা বলেও তাও সেটা সে সুন্দর ভাবে এবং যৌক্তিকভাবে হ্যান্ডেল করবে।

এবং আরো একটা বিশেষ দিক হচ্ছে, যার আত্মসম্মানবোধ সুস্থ। সে কখনোই এমন কোনো কাজ করবে না যাতে করে সে নিজের কাছে নিজেই অসম্মান বোধ করে।আর সে সাথে যার আত্ম সম্মানবোধটা সুস্থ, তাকে যে কোনো খারাপ মানুষ যদি খারাপ কথাও বলে। তাও কিন্তু সে তার যৌক্তিক উত্তরটাই দিবে। এবং যেকোনো কাজকে সে পজেটিভ ভাবেই নিবে।

কিন্তু যাদের আত্মসম্মানবোধ অসুস্থ। অর্থাৎ যারা আসলে যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে সবসময় নিজেকে অনেক বেশি বড় করতে চায়। তারাই আসলে দিনশেষে ছোট হয়। এবং সেটা তারা বুঝতেও পারে না। এবং এটা তাদের আত্মসম্মানবোধেও কিন্তু প্রভাব ফেলে। এই যেমন ধরেন আমাদের চারপাশে এখন অনেক মানুষ রয়েছে। যাদের আপনারা কাজের প্রসঙ্গে কোনো কিছু যদি বলেন তাহলে দেখবেন তারা আপনাকে দুটো বন্ধ কথাই শুনিয়ে দিবে। কারণ তাদের কাছে মনে হয় যে, তাদেরকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস করা মানেই তাদের আত্মসম্মান বোধে লাগছে। কিন্তু এটার কিন্তু একটা পজিটিভ দিক রয়েছে। যেমন আপনাকে যদি কেউ কোনো কথা সুন্দরভাবে জিজ্ঞেস করে। তবে তার উত্তর আপনি সুন্দরভাবেই দিবেন। এতে করে আসলে দুজনের সম্মানে রইলো। কিন্তু এটা আসলে যাদের আত্মসম্মানবোধ অসুস্থ তারা বুঝে না।

নাহ, মোটেও আমি বলছি না যে আমার আত্মসম্মানবোধ অনেকটা সুস্থ। কারণ আমরা তো মানুষ। সেক্ষেত্রে আমাদের সবারই কমবেশি দোষ রয়েছে। তাই আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজের আত্মসম্মানবোধটাকে অসুস্থ না করে সুস্থ বানাতে।কারণ ওই যে বললাম ভুল তো আসলে আমাদের সবারই হয়। তাই কোনোভাবেই আসলে বলতে পারছি না যে আমার আত্মসম্মানবোধ একেবারেই সুস্থ। তবে হ্যাঁ সুস্থ করার চেষ্টা আমি সবসময় করে থাকি।আপনাদের এ বিষয়ে মতামত কি?

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।