বেড়াল ছানা নাকি মায়ার কারখানা?

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

কেনো যেন মনে হয় আমাদের এই পুরো পৃথিবীটা মায়ায় জড়ানো কারণ একটা মানুষ কোনো কিছুর প্রতি এতো সহজে মায়ায় পরে যায়, যে সে মায়া থেকে যেনো উঠতেই পারে না। আমি নিজেও একটা মায়ায় ভীষণভাবে জড়িয়ে পরেছি। যেটা আসলে ভুলতেও পারছি না এবং মনে করতে ইচ্ছে ও করছে না। কারণ ওই যে বললাম মায়া ব্যাপারটা এমন ভাবে মানুষকে জড়িয়ে ফেলে যে, ভুলতে দেয় না। আর কোনো কিছু ভুলতে না পারলে ব্যাপারটা মন থেকে মুছে ফেলাটাও খুব কঠিন হয়ে যায় আর সব সময় মনে পরে।

আমি কিসের মায়ার কথা বলছি তাই একটু খোলাখুলি ভাবে বললে হয়তো বুঝতে পারবেন আপনারা। যারা আমার পোস্ট নিয়মিত পড়েন তারা আমার এই পোস্টটি বুঝতে পারবেন। আর বাকি যারা পড়েন না তারা বুঝতে পারবেন কিনা বুঝতে পারছি না। যাইহোক আমার ব্যাপারটা আমি ক্লিয়ারলি বলি, তাহলে হয়তো কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন।

বেশ কয়েকদিন আগে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম যে আমাদের ঘরে নতুন একজন মেম্বার এনেছি। অর্থাৎ একটি বেড়াল ছানা। যেটাকে আসলে এতদিন আমি খুব বেশি আদর যত্ন করেছি। অর্থাৎ প্রতি বেলায় আমি নিজে তাকে ফিডারে খাবার গরম করে খাইয়েছি, যত্ন করেছি। আর সে সাথে বিড়াল ছানাটিও সব সময় আমার পায়ে পায়ে ঘুরঘুর করতো, কারণ ওই যে বললাম মায়া।

কিন্তু তখন তো আসলে পূজোর বন্ধ ছিলো। আর এখন পূজোর বন্ধ শেষ। তো সে ক্ষেত্রে আমার দ্বারা আসলে বিড়াল লালন-পালন করা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছিলো না। তারপর তো আপনার তো জানেনই আমার শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। তাই বারবার পানি ধরতে হচ্ছিলো, যেহেতু বিড়ালকে পরিষ্কার করাতে হয়, খাওয়াতে হয়, তো সব মিলিয়ে আসলে আমার দ্বারা হয়ে উঠছিলো না।

তাই মোটামুটি বলতে গেলে মনের উপর পাথর চাপা দিয়ে বেড়ালটাকে দিয়ে আসা হলো। আর তখন থেকেই প্রচণ্ড রকম ভাবে মায়া কাজ করছে বিড়ালটার প্রতি। মনে হচ্ছে আর একবার যদি চোখের সামনে পরে তাহলে হয়তো বাড়ি নিয়ে আসতে পারতাম। কিন্তু কিছু করার নেই! কারণ আমার একার দ্বারা আসলে এটা পালন করা কোনোভাবেই সম্ভব না। আর আমার বাসায় যারা রয়েছে অর্থাৎ আমার ফ্যামিলি মেম্বারদের বেড়াল পছন্দ। কিন্তু তারা কেউই বিড়ালের গায়ে হাত ও দেয় না। কারণ সবাই অনেক বেশি ভয় পায়। তো সবমিলিয়ে আসলে আমার একার দ্বারা খুব কষ্টই হয়ে যাচ্ছিলো।

পরে একটা সময় মনে হলো, এখন না হয় বাসায় রয়েছি অর্থাৎ পুজোর বন্ধে। কিন্তু যখন আমি ইউনিভার্সিটি চলে যাবো এবং সারাদিন বাইরে থাকবো। তখন তো বিড়ালটা না খেয়ে কষ্ট পাবে। এর চেয়ে ভালো অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া। তো এসব ভেবে আসলে দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু মায়া ব্যাপারটা খুব খারাপ জিনিস। এত বেশি মনে পরে! ফেসবুকে বিড়ালের কোনো ভিডিও দেখলেই আমার ওই ছোট্ট কালো বিড়ালটির কথা মনে পরে যায় ।যাইহোক, কি আর করার! দোয়া করি বিড়াল ছানাটি যেখানে আছে সৃষ্টিকর্তা তাকে যেনো খুব খুব সুখে রাখে, ভালো রাখে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।