অবশেষ এ ছোটভাই এর কলেজ রেজাল্ট পেলাম!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সাথে এমন একটা লেখা শেয়ার করা যাক।যেটা নিয়ে আমি আগেও আপনাদের সাথে লেখা শেয়ার করেছিলাম। অর্থাৎ এই ব্যাপারটির অন্য একটি বিষয় নিয়ে। তাই ভাবলাম এই বিষয়টাও আপনাদের সকলকে জানানো উচিত।

আপনারা যারা নিয়মিত আমার পোষ্ট পড়েন। উনারা বেশিরভাগই ই জানেন যে আমার ছোট ভাই এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলো এবং সে রেজাল্টও পেয়েছিলো এবং সে মোটামুটি ভালোই একটা রেজাল্ট করেছিলো। আর এটাও জানেন যে, সে আসলে অনেক বেশি অসুস্থ ছিলো। অর্থাৎ এসএসসি পরীক্ষার প্রি টেস্ট গুলো পর্যন্ত সে অ্যাটেন্ড করতে পারেনি, কারণ সে হসপিটালাইজড ছিলো। সে সাথে পরীক্ষার সময় আবার উঠেছিলো চিকেন পক্স। অর্থাৎ এসএসসি পরীক্ষার সময় এই। অর্থাৎ এটাই বলার যে সে, সে পরীক্ষাগুলো যে অবস্থায় দিয়েছে। তাতে আসলে নানান রকম নানান কথা বলেছে। অর্থাৎ অনেকে এটাই বলেছে যে, তাকে এবার যেনো আমরা পরীক্ষা না দেওয়াই। কারণ এভাবে কোনো পড়াশোনা ছাড়া কোনোভাবেই সে কোনো ভালো রেজাল্ট করতে পারবে না এবং সে কোন ভালো কলেজও পাবে না।

কিন্তু আমরা আসলে কারো কথাতেই কান দেইনি। আর ওর এমনও পরীক্ষা সে দিয়েছে এসএসসিতে,যে পরীক্ষার সময় সে বইটাও টাচ করে দেখতে পারেনি। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে তার কলেজ সিলেকশনের রেজাল্ট বেরিয়েছে এবং সে কমার্সের স্টুডেন্ট। এবং সে, যে কলেজের চান্স পেয়েছে। সেটা হচ্ছে খুব ভালো একটা সরকারি কলেজ এবং চট্টগ্রামের কমার্সের জন্য যে কলেজটি ১ম ও বেস্ট, সে কলেজেই সে চান্স পেয়েছে।

এটা আসলে আমাদের সকলের জন্য অনেক খুশির একটা মুহূর্ত। আর সাথে ওই আত্মীয়-স্বজন গুলোর জন্য খুব দুঃখের। কেনো, তা আশা করি খুব একটা এক্সপ্লেইন আপনাদেরকে করতে হবে না। আসলে সে অনেক বেশি কষ্ট করেছে। অর্থাৎ সে পরীক্ষা দেওয়ার মতোব অবস্থাতেই ছিলো না। তাও সে প্রতিটা পরীক্ষায় এটেন্ড করেছে, যতোটা সম্ভব সে লিখেছে। কষ্টের ফলগুলো যখন এভাবে করে পাওয়া যায়। তখন সত্যিই খুব ভালো লাগে। আর সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত ছিলো। তাছাড়া এতোটা ভালো একটা রেজাল্ট কিংবা এতো ভালো একটা কলেজ সিলেক্ট হওয়া কখনোই সম্ভব হতো না।

অনেক আত্মীয়-স্বজনদের তো মুখের কথা প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছে। কারণ যেখানে তারা বলেছিলো যে, সে কোনো কলেজই পাবে না। যেখানে সে চট্টগ্রামের কমার্সের জন্য বেস্ট কলেজে চান্স পেয়ে গেলো। যাইহোক, আসলে এটা থেকে এটাই সকলকে জানানোর যে, সবসময় অন্যের কথায় কান দিতে নেই। নিজের ভালো সবসময় নিজেকেই বুঝে নিতে হয়।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।