ফ্রেন্ডের বার্থডে ট্রিট।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরেকটি পোস্ট নিয়ে। তবে আজকে এসেছি বেশ মজার একটা ফুড রিভিউ নিয়ে। আমার মনে হয় যারা ঢাকায় রয়েছে অর্থাৎ যারা ঢাকায় থাকে ওনারা আমার এই ফুড রিভিউ এর রেস্তোরার সাথে কম বেশি পরিচিত হবে। কারণ আমি আজকে যেই রেস্তোরাঁটি নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলবো কিংবা যে রেস্টুরেন্টের গল্প আপনাদের শোনাবো। সে রেস্তোরাঁটির মূলত প্রথম আউটলেট টা ঢাকাতেই ছিল, এরপরেই চট্টগ্রামে এসেছে।

যাইহোক আমি দুইটি পর্বে লিখবো।কারণ অনেক অনেক ছবি রয়েছে। আমার ইচ্ছে ছবি গুলোর বেশিরভাগই আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত। কারণ অনেকগুলো ছবি একটি পোস্টে দিয়ে দিলে আসলে পড়তেও একটু আলসেমি লাগে আর খুব একটা ভালো লাগে না এজন্যেই।

প্রথমে আমি টেস্টি ট্রিট নামক বেকারি শপটাতে গিয়ে আরেকজন ফ্রেন্ডের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। কারণ প্রথমে আমরা দুজন বার্থডে গার্ল এর জন্য পেস্ট্রি কেক নিবো। অর্থাৎ আমাদের এক বান্ধবীর জন্মদিন, সে উপলক্ষে আমরা তিনজন সেদিন রেস্তোরাতে গিয়েছিলাম। তো বেশ খানিকক্ষণে অপেক্ষা করতে হয়েছে ফ্রেন্ডটির জন্য। কারণ সে জ্যামে আটকে গিয়েছিলো।

এরপর আসার পরে আমরা পছন্দ করে একটা চকলেট কেক নিলাম। টেস্টি ট্রিটের কেকগুলি আবার খুব বেশি টেস্টি হয়। বিশেষ করে আমার তো খুবই পছন্দ। এরপরে আমরা সোজা চলে গেলাম চিলক্স এ। তবে নিচে লিফটে ওঠার সময় অন্য ফ্রেন্ডের সাথে দেখা হয়ে গেলো। অর্থাৎ আমাদের বার্থডে গার্লের সাথে। তো আমরা তিনজন একসাথে উপরে উঠে আগে অর্ডার দিয়ে নিলাম, কারণ এখানে পে ফাস্ট সিস্টেম।

অর্ডার দেওয়ার আগে ভালোভাবে মেনুটি দেখে নিলাম।

মোট বিল এসেছিলোঃ ৮২০ টাকা।

খাবারগুলো আসতে আসতে আমরা বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। তবে সব ছবিগুলো আমি এর পরের পর্বের পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।তবে ছবি তুলতে তুলতেই খাবার চলে এসেছিলো।আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন খাবারগুলো কতোটা লোভনীয় লাগছে।

হানি চিকেন উইংগস আমার এর আগে খুব একটা খাওয়া হয়নি অর্থাৎ বলতে গেলে প্রথমবারই নিয়েছিলাম। তবে আমার খুব ভালো লাগেনি। কিন্তু আমার ফ্রেন্ডের খুবই ভালো লেগেছে। কারণ আমি একটু মিষ্টি কম পছন্দ করি। আর এটা তৈরি করা হয় হানি দিয়েই।

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর কথা না বললেই না। কারণ রেস্তোরায় গিয়ে আমি যে খাবারটা সবচেয়ে বেশি অর্ডার করি সেটা হচ্ছে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর বার্গারের সাথে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর কম্বিনেশনটা তো জাস্ট দারুন।

আমাদের সেদিনকার খাবার গুলো মোটামুটি এই ই ছিল। আর পাশে দেখতেই পারছেন আমাদের ফ্রেন্ড আনিকার বার্থ ডে কেক।

রেস্তোরাঁয় আসবো আর কোলড্রিংস খাবো না তা মনে হয় না হতে পারে। অন্তত আমার জন্য তো জাস্ট হতেই পারে না।

এরপরে আসি বার্গারের কথায় আসি।বার্গারটি বেশ সুন্দরভাবে রেপ করা ছিলো।যেটা আমার সব সময় ভালো লাগে। কারণ এতে কোনো বাইরের ধুলাবালি কিংবা ময়লা পরার চান্স থাকে না।

ফয়েল পেপারটি ওপেন করতেই দেখতেই পাচ্ছেন কত মজার বার্গার। আর অনেক বেশি মেয়োনিজ দেওয়া হয়েছে। অনেকেই ড্রাই বার্গার আর পছন্দ করে। কিন্তু আমি অনেক বেশি সস এবং মেয়োনিজ দেওয়া বার্গার পছন্দ করি। যেটা চিলক্সে সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়। আমি বোধহয় প্রায় এক বছর পরে চিলক্সে সেদিন গিয়েছিলাম, গিয়ে আমার ভালই লেগেছিলো।

এরপরে তো অনেক ছবি তোলা হয়েছে, কেক কাটা হয়েছে আর ইন্টেরিয়র এর ছবিও আমি আপনাদের সাথে পরের পোস্টে শেয়ার করবো।এতে আপনাদের ভালো লাগবে এবং খুব একটা বিরক্তিও আসবে না পোস্ট পড়তে পড়তে। তো আজকের জন্য এখানেই শেষ করছি কালকে আবারও এই দিনটার অন্য পার্টটি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো।

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।