ভোরের কুয়াশা ও কিছু অনিয়ম।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।আসলে বলার জন্যেই বলা ভালো আছি!

এই শীতের সময় আশা করছি সবাই ভালো আছেন। বিশেষ করে যারা সর্দি কাশির রোগে আক্রান্ত। আশা করছি তাদের অসুস্থতা খুব দ্রুতই সেরে যাবে। কারণ এই সর্দির সময়ে অর্থাৎ এই শীতের সময় সকলের কি অবস্থা হয় তা আর অজানায় নয়। আর আমার যেহেতু শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে। তাই আমি বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছি এই শীতকালে অবস্থাটা কেমন হয়। তাও আশা করি সব মিলিয়ে সবাই ভালই আছেন।

গতকালকে রবিবারের আড্ডাটা মিস করাতে একেবারেই ভালো লাগেনি আমার। অর্থাৎ গতকালকে আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি। কারণ আমার একটা কাজিনের বিয়ে ছিলো। তো বিয়েটাতে এটেন্ড করতেই হতো। কারণ আমার খুবই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বিয়ে ছিলো, আমার ফুফাতো বোনের বিয়ে ছিলো, বুঝতেই পারছেন।

সে কারণে সেখানে গিয়েছিলাম। তাই আর জয়েন করা হয়নি। সে যাই হোক আজকে আপনাদের সাথে আমার একটি অনিয়ম এবং কিছু মুহূর্তের কথা শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের সকলের ভালোই লাগবে।

যখন আমি সকাল বেলা ভার্সিটি যাই। বিশেষ করে এই শীতের সময়ে তখন আশেপাশের অবস্থা যে কি থাকে তা জাস্ট চোখে না দেখলে বুঝাই যাবে না। আপনাদের একটা ছবি দিচ্ছি আপনারা ভালোই বুঝতে পারবেন আশা করি ছবিটি দেখলে।

দেখতেই পাচ্ছেন কি অবস্থা চারপাশে কুয়াশার কারণ। এটা হচ্ছে আমি খুব ভোরের ছবি। সাড়ে ছয়টার দিকেই বাসে উঠে যাই আমি।কারণ আমাদের ভার্সিটি যেহেতু বেশ দূরে তাই অনেক সকালে যেতে হয় আমাদের।

তো যখন আমরা আসলে বাসে যাই। তখন চারপাশে যে কি পরিমাণ কুয়াশা থাকে, দূরের পাহাড়গুলো একেবারেই বুঝাই যায় না কুয়াশার কারণে। অবশ্য খুব ভালো লাগে। তবে বাসায় এসে আমার খুব খারাপ লাগে। কারণ কুয়াশাগুলো যেহেতু একেবারে নাকে লাগে। আর চলন্ত বাসে মাক্স পড়ে থাকত খুব একটা ভালো লাগে না। তাই বাসায় এসে বেশ সমস্যাই হয়, তবে মুহূর্তগুলো ভালই লাগে।

ভার্সিটি যাওয়া নিয়ে তো সমস্যা হয় ই অর্থাৎ এই যে সর্দি কাশি শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি বেড়ে যায় বাসায় আসার পরপরই। তবে আরো কিছু অনিয়ম আমার করতেই হয় বাধ্য হয়ে। যেমন এই যে এই চটপটি দেখতেই পাচ্ছেন। আমার ভার্সিটিতে খাওয়া-দাওয়া। তবে না পারতে খেতে হয় আমার। কারণ আমি যখন ভোরে বের হয়ে যাই তখন কোনোদিনই কোন কিছু খেয়ে বের হতে পারি না। কারণ বুঝতেই পারছেন যেহেতু সাড়ে ছয়টায় বাসে উঠতে হয়। সেহেতু বাসায় কিছু খেয়ে বের হওয়াটা অসম্ভব, অন্তত আমার জন্য।

তো সে কারণে ভার্সিটি গিয়ে বাধ্য হয়ে যেটা পাই সেটাই খেতে হয়। আর বেশিরভাগ সময় এতে আমার খুব সমস্যা হয়। অর্থাৎ যেহেতু আমার আলসারের সমস্যা রয়েছে। সেহেতু খালি পেটে এ ধরনের ঝাল খেলে আমার বেশ সমস্যা হয়। কিন্তু আমি আবার খুব বেশি ঝাল প্রেমি মানুষ। সে কারণেই আমার ঝাল খেতেই হয় এমন একটা অবস্থা।

এই আর কি এই নিয়েই আমার জীবন চলছে অনিয়ম নিয়মের মাঝে। আপনাদের জীবন অন্তত নিয়মের মাঝেই চলছে, কি বলেন? নাকি সবার অবস্থা আমার মতোই।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।