নাচোস রিভিউ, চমৎকার রেস্তোরা, ফটোগ্রাফী। || ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য ||

---

🌼হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি।

---

আমি কয়েকদিন আগে একটি রেস্তোরায় গিয়েছিলাম।রেস্তোরাটি আমার খুবই পছন্দের একটি রেস্তোরা,তাই আমি প্রায় যাই।তো ওইদিন যাওয়ার পর ভাবলাম রেস্তোরাটির খাবারের ছোট একটি রিভিউ আপনাদের সাথে শেয়ার করি আর রেস্তোরাটির সৌন্দর্য ও।তাহলে চলুন শুরু করি,

---

---

রেস্তোরাটির নামঃ ক্যাফে আল বাইক
রেস্তোরাটির লোকেশনঃ এম.এ.আজিজ স্টেডিয়াম,কাজীর দেওরি।

---

---

" ক্যাফে আল বাইক" এর খাবারের মান

---

---

---

" ক্যাফে আল বাইক " রেস্তোরাটির খাবারের মান খুবই ভালো। তারা একদম ই হাতের নাগালের মধ্যেই খাবার গুলোর প্রাইজ রাখে। সবচেয়ে বড় কথা রেস্তোরাটি খুবই ব্যস্তময় সড়কের পাশে হওয়াতেও তারা আহামরি প্রাইজ রাখে না।তারা চাইলেই পারতো এই কাজটি করতে। তবে তারা করেনি যাতে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি।
প্রথমেই বলবো আমি এই নিয়ে হয়তো তিন থেকে চারবার গিয়েছি এই রেস্তোরাতে। আমি সবসময় চেষ্টা করি কোনো রেস্তোরার খাবারের রিভিউ দেওয়ার আগে আমি নিজেই যেনো ওই জায়গাটিতে দুই তিন বার যাই। কারণ তাহলে তাদের কোয়ালিটিটা আমি ধরতে পারবো,বুঝতে পারবো। অন্যথায় একবার গিয়ে খাবারের মান বিচার করা একটু কঠিন। কারণ মাঝেমধ্যে শেফের সামান্য কিছু ভুলের কারণে বা আমার নিজের ও স্বাদ বদলের কারণে খাবার কম,বেশি মজা লাগতেই পারে আবার না ও লাগতে পারে । তাই জন্য আমি বলবো এই রেস্তোরাটির খাবার যথেষ্ট ভালো।

---

---

🧭রেস্তোরাটির প্রথম খোঁজ পাওয়া🧭

---

---

এই রেস্তোরাটির আমি প্রথম খবর পাই সোশাল মিডিয়াতে কারণ তারা তখন নাচোসের একটি অফার রেখেছিলো। তো তাই দেখেই আমার যাওয়া আর গিয়েই আমি মুগ্ধ হয়েছি কারণ অবশ্যই তাদের খাবার। তাদের খাবার অনেক মজা ছিলো।তাদের রেস্তোরাটি খুব বড় নয় তবে খাবার অনেক বেশি মজা। তাই আমি বলবো আপনারাও ট্রাই করতে পারেন।

---

🥘 আমি যা অর্ডার করেছিলাম 🥘

---

---

★একটি টাওয়ার নাচোস - ( দাম: ৩০০ টাকা)

★দুইটি কোল্ড ড্রিংকস - ( দাম: প্রতি গ্লাস ২০ টাকা)

মোট বিলঃ ৩৪০ টাকা।

---

---

তাদের নাচোস আইটেমটা জাস্ট স্বর্গীয় হয়। আমি তাই বেশিরভাগ সময় ই তাদের ভিন্ন ভিন্ন নাচোস গুলো ট্রাই করার চেষ্টা করি। আর মুখে দিয়েই হারিয়ে যাই তৃপ্তির রাজ্যের একদম উচ্চ সিমানায়। ;)
আমি আপনাদের সুবিধার্তে তাদের নাচোস আইটেমগুলোর মেনুটির ছবি তুলে দিচ্ছি।

---

---

❓ আমার কাছে তাদের খাবার কেমন লেগেছে ❓

---

নিজের প্রশ্নের উত্তরে নিজেই বলবো তাদের খাবার জাস্ট মুখে দিয়ে এরপর চোখ বন্ধ করে জাস্ট খাবারটি উপভোগ করার মতো।
আমার কাছে তাদের যে বিষয়টি বেশি ভালো লেগেছে সেটি হচ্ছে তারা খাবার ভাজার সময় পোড়া তেল কম ব্যবহার করে। তার কারণ তাদের নাচোস গুলোর কালার একটু ভালো ভাবে খেয়াল করে দেখুন।

---

---

দেখলেন তো?
নাচোস গুলো একদম ই কালো কালো নয়।পোড়া তেলে ভাজা খাবারগুলো বুঝা যায় কারণ কেমন যেনো হয়। যার বিন্দু পরিমাণ ও তাদের নাচোস এ আমি পাইনি।
এরপর আরেকটি ব্যাপার বলবো, খাবার অর্ডার করার পর তারা বলে দেয় যে তাদের ২০/৩০ মিনিট সময় লাগবে। আর ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে তারা একদম বরাবর সময়েই খাবারটি দিয়ে দেয়। কারণটাও স্বাভাবিক, নাচোস এর চিকেনটা ছাড়া আর কোনো আইটেম ই আগে থেকে রেডি করে রাখা যায়না।

খাবারের মান নির্ণেই প্রথমেই আমি আসবো তাদের নাচোসের চিপসের কথায়।আমি নাচোস এ একটা কামড় দিয়েই বুঝেয়ি চিপস গুলো মাত্র ভাজা কারণ কামড় দিতেই কুড়মুড় করে সে তার ক্রিস্পিনেস এর জানান দিয়েছে! যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।

এরপরে বলবো তাদের নাচোসে চিকেন দেওয়ার ব্যাপারে।বেশিরভাগ রেস্তোরায় আমি যেই সমস্যাটির সম্মুখীন হয়েছি তা হলো তারা নাচোস মানেই ভাবে চিপসের উপর সস! আর কিছুই না।কিন্তু তারা একদম ভরে ভরে চিকেন দিয়েছিল। আর চিকেন প্রেমী হওয়ায় আমার তো মন একদম খুশি হয়ে গিয়েছিলো। তাদের এই কাজে!

এখন বলবো তাদের সসের ব্যাপারে।তারা শুধু টমেটো কেচাপ ব্যবহার করেনি,আরো কয়েক ধরণের সস ও তারা উপরে দিয়েছে। যা আমি খাবারটির স্বাদ নেওয়ার সময় বুঝেছি।

---

---

এখন বলবো তাদের চিজ দেওয়ার ব্যাপারে।তারা চিজ দেওয়ার ব্যাপারে যে একদম ই কৃপণতা করেনি তা আশা করি আপনারা ছবি দেখে ভালো রকমেই বুঝতে পারছেন।
আমি জাস্ট বলবো, " আই লাভ চিজ "। বাকিটা না হয় একটু বুঝেই নিন!

---

---

সব মিলিয়ে বলবো সবসময় তাদের নাচোস ই আমি খাই ! যখন আমার নাচোস খেতে ইচ্ছে করে। বাকিদের গুলো খুব একটা ভালো লাগেনা আমার কাছে। কারণ তারা সস দিয়ে কাজ সেরে দেয়। যা এই রেস্তোরাটি একদম ই করেনা।

---

💒 রেস্তোরাটির ভেতরকার সজ্জাশিল্পী 💒

---

---

তাদের রেস্তোরাটি একদম ছোট। ঢুকলেই মনে হয় পিচ্চি কোনো ঘরে ঢুকে গেছি।তবে তাদের লাইটিং এবং বসার ব্যবস্থা, টেবিলের সেটাপ এবঅং দেওয়ালের ডিজাইন আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।আর সেই সাথে পুরো রেস্তোরাটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও।
ব্যাপারটি অনেকটা সাধ্যের মধ্যে সব টুকু সুখ এমন ধরণের।
তাদের লাইটিং খুব ভালো তাই আমি লাইটের কিছু ফটোগ্রাফী করলাম,একদম ই শখের বশে।

---

---

তাদের দেওয়ালে টাঙ্গানো ফ্রেম গুলো খুব বেশি সুন্দর। আর হুমায়ুন আহমেদের হিমু আর রূপা তো আমার অতিরিক্ত প্রিয় বললেই চলে। হিমু চরিত্রটি আমি একরকমের ভালোই বাসি। আমার প্রিয় কবির লেখা চরিত্র বলে কথা।

---

---

আর যেহেতু আজকাল ছবি না তুললে হয় ই না।তাই নিজেও কিছু ছবি তুলে ফেললাম ঝটপট। আমার আমার ছবি তুলতে একটু বেশিই ভালোলাগে। তার কারণটি অবশ্য অস্বাভাবিক কিছুইনা।

---

---

এইতো এভাবেই কেটে গেলো আমার সন্ধ্যা। খাবারগুলো সত্যিই খুব মজা হয়েছে। সব মিলিয়ে দিনটাও খুব ভালো ছিলো। নিজের দিন গুলো নিজের মতো করে উপভোগ করলে দিন শেষে যে আলাদা আত্মতৃপ্তিটা পাওয়া যায় তার তুলনা অন্য কিছুর সাথে করা যায়না।
এইতো এখানেই শেষ করছি আজকে লিখা।অবশ্যই অবশ্যই জানাবেন আমার আজকের লেখাটি আপনাদের কেমন লাগল।মন্তব্য জানাতে একদম ভুলবেন না।

---

ভালোবাসা নিবেন❤️

ইতি,
@nusuranur

---

---