বইয়ের স্বর্গে একদিন।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।আসলে বলার জন্যেই বলা ভালো আছি!

আশা করছি সকলেই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তো প্রথমেই কিছু কথা এক্সট্রা বলে নেই। অর্থাৎ আজকের পোষ্টের জন্য বিষয়টার জন্যে একেবারেই অফ টপিক। তো সকলেই জানেন যে আমার আম্মুর একটি সার্জারি হয়েছিলো এবং হসপিটালেও ছিলো।

তো আম্মুকে বাসায় আনা হয়েছে। তবে বাসায় আনা হয়েছে মানে যে খুব একটা সুস্থ তা নয়। প্রচন্ড রকমের অসুস্থ আম্মু। হাঁটা,চলা তো করতেই পারছে না ঠিকভাবে, সে সাথে শোয়া থেকে উঠতে গেলেও প্রচন্ড রকমের কষ্ট পাচ্ছে। যেটা আসলে নিজের চোখে দেখাটাও আমার জন্য খুব বেশি কষ্টকর।

জানিনা কখন সম্পূর্ণভাবে ঠিক হবে। আর একেবারে আগের মতো হয়ে যাবে। আমি সেদিনটার অপেক্ষায় আছি। কারণ আম্মু ছাড়া আম্মুর সব কাজগুলো করতে খুব বেশি হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর কোনো কিছু তো পারছি ই না।আর সবচেয়ে বড় কথা,আম্মুর এই কষ্ট,যন্ত্রণা পূর্ণ চিৎকার আমি জাস্ট নিতে পারছিনা।

যাইহোক সকলে আম্মুর জন্য দোয়া করবেন। যেনো আমার আম্মু খুব দ্রুতই একেবারে আগের মতোন হয়ে যায়।

তো বেশ কয়েকদিন আগে বাতিঘর গিয়েছিলাম। বাতিঘর হলো চট্টগ্রামের বই এর একটি লাইব্রেরী। এটা কে শুধু সাধারণ লাইব্রেরী বললে অনেকটা ভুল হবে। এটা আমার খুব বেশি পছন্দের একটি জায়গা বলা চলে। কারণ আপনারা কম বেশি সকলেই জানেন যে আমি বই খুব বেশি ভালবাসি অর্থাৎ গল্পের বই।

তো সেদিন গিয়েছিলাম। গিয়ে প্রথমেই আমি মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, আর সুনীল- সমরেশ- শীর্ষেন্দু ওদের বইগুলো দেখছিলাম।

এরপরে আশেপাশে আরও কিছু বই দেখতে লাগলাম। আর বাতিঘর এতো সুন্দরভাবে সাজানো যে গেলেই মনটা অন্যরকম হয়ে যায়। অর্থাৎ একটি পবিত্র ভাব চলে আসে চারপাশটাতে।

কারণ চারপাশে যতগুলো মানুষই রয়েছে সবাই বই প্রেমিক। কারণ বইপ্রেমী না হলে এই জায়গাটাতে খুব বেশি আসা হয় না। কারণ এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বই পড়তে হয়। আর কেউ নিশ্চয়ই সেই কষ্টটা করবে না যদি সে বই ভালো না বাসে।

আর একটা ব্যাপার না বললেই না। তা হলো বাতিঘরের ইন্টেরিয়র এতো সুন্দরভাবে সাজানো গুছানো থাকে যে যা দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন কি সুন্দর সাজানো করা থাকে।

আর সে সাথে একেবারে একটা যেনো পুরনো আভিজাত্যের ভাব চলে আসে সব কিছুর ভেতর দিয়েই।

এরপরে আশেপাশের আরো কিছু ছবি তুলছিলাম। দেখতেই পাচ্ছেন সবাই বই নিয়ে ব্যস্ত। কারণে এই জায়গাটাতে মোটামুটি সবাই বইয়ের খোঁজেই আসে। আর বই পড়তেও আসে। আর সবচেয়ে বড় কথা এখানে দাঁড়িয়ে ফ্রিতে বই পড়া যায়।

এরপরে তো আমি কিছু বই দেখতে লাগলাম। সেদিন বেশ কয়েকটা বই কিনেছিলাম আসলে। আমি সেখানে গিয়েছিলাম আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের জন্য বেশ কিছু বই কিনতে।

কারন আমি যেমন বই পাগল। আমার ঐ বেস্ট ফ্রেন্ডও আমার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ই বই পাগল। সে কারণেই বই ছাড়া আর কিছুই দিতে মন চাইছিলো না।

এরপরে বই দেখতে দেখতে এক কাপ চা নিয়ে নিলাম। কারণ বেশ মাথাটাও ধরছিলো। যেহেতু অনেকক্ষণ ধরে হাঁটছিলাম আর বই চয়েজ করছিলাম। সে কারণেই ওক কাপআর এখানকার চা টাও মোটামুটি ভালোই এক কাপ চা নিলাম। অর্থাৎ বই পড়তে পড়তে খুব দারুণ একটা ফিলিংস দেয়।

বই পড়বো আর চা খাবো না তাও হয় না যেমন। ঠিক তেমনটাই চা খাব আর ফটোগ্রাফি করবো না তাও হয় না। কারণ কাপটাও বেশ সুন্দর দেখতে আর এখানকার পরিবেশ তো জাস্ট দারুণ।

এরপর তো বেশ কিছু বই কিনে বেরিয়ে আসলাম। আমার মনে হয় যে মানুষগুলো বইপ্রেমী তারা বই পেলে যতোটা আনন্দ পায় ততোটা আনন্দ আর কোনো কিছুতেই পায় না।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।