অবশেষ এ সমাপ্ত হলো

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করা যাক। আর আমার বিশেষ একটি আনন্দের দিন নিয়েই ভাবলাম একটু লেখা শেয়ার করা যাক।

আসলে বছরের এই সময়টাতে প্রতিবারই আমার সেমিস্টার ফাইনাল থাকে,এটা নতুন কিছু নয়। আর পড়ালেখা করলে এক্সাম দিতে হবে, এটাও নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার আসলে ফাইনাল এক্সাম টা এতো বেশি বিরক্তিতে কেটেছে কি আর বলবো।

এবারের ফাইনাল এক্সামটা প্রায় এক মাস আগেই নিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছিলো। অর্থাৎ তার মানে হলো প্রায় এক মাস আমি ছুটি কাটাতে পারতাম। যদি সময় মতো পরীক্ষাটা শেষ হতো।কিন্তু তেমন কিছুই আসলে হয়নি। কারণ একমাস আগে পরীক্ষা শুরু করলেও সেটা শেষ হতে শেষ হতে প্রায় দুই মাস লেগে গেলো। আর দুই মাস লাগিয়ে একটা সেমিস্টার ফাইনাল দেওয়া যে, কি পরিমাণ বিরক্তির তা ভাষায় বলে প্রকাশ করার মতোন নয়।

মূল সমস্যাটা যেটা হয়েছিলো,সেটা হলো প্রায় প্রতিদিনই বিএনপি'র হরতাল ছিলো মাঝে।আর হরতালে সাধারণত বাস চালু রাখে না। তার কারণ যদি কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাহলে সম্পূর্ণ দোষটা ইউনিভার্সিটির ঘাড়ে উঠবে। আর তারা কোনোভাবে অনলাইনেও এক্সাম নিতে রাজি হচ্ছিলো না। তাই যে কারণে হরতালের মাঝে মাঝে যেসব বন্ধ ছিলো অর্থাৎ হরতাল ছিল না সেই দিনগুলোতে আমাদের এক্সাম নেওয়া হয়েছিলো।

কিন্তু শেষমেশ আসলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা গেলো। কারণ কোনো না কোনো ভাবে প্রায় দুই মাস লাগিয়ে পরীক্ষাটা দেওয়া শেষ হলো। কিন্তু এতো বেশি বিরক্ত লেগেছে আসলে। আগে মনে হতো অনেক বন্ধ পেলে ভালো, পরীক্ষার মাঝে। কিন্তু এখন মনে হয় পরীক্ষা যতো তাড়াতাড়ি শেষ হয় ততই ভালো। পরীক্ষার মাঝে অনেক বেশি বন্ধ থাকলে আসলে একেবারেই পড়াশোনা হয় না।

পরীক্ষা শেষ হলে কি পরিমাণ শান্তি লাগে তা সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। যেনো মনে হয় মাথা থেকে কোনো অনেক বড় বোঝা নেমে গেলো।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।