আকদ এর প্রিপারেশন।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরো একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটি আপনাদের সকলের বেশ ভালোই লাগবে।

গতকাল আপনাদের সাথে ঘরোয়াভাবে যে হলুদ আয়োজন করা হয়েছিলো তা শেয়ার করেছিলাম। তো আজকে ভাবলাম এর পরের দিনটা যেভাবে শুরু করেছি তা ই আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

হলুদের পরের দিন ঘুমাতে ঘুমাতে প্রায় ভোর হয়ে গিয়েছিলো। তাও একটু ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে ছিলাম আমরা। তো কোন দিকে যে দশটা কিংবা এগারো টা বেজে গিয়েছিলো তা খেয়াল ই করতে পারিনি। তো যখন আমরা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হলাম। তখন দেখি খালমণির শ্বশুরবাড়ি থেকে গিফট গুলো চলে এসেছিলো।

অর্থাৎ আমাদের এদিকে নিয়ম হলো।মেয়ে আকদ এ তাই পরবে যা ছেলের বাড়ি থেকে আসবে।আর ছেলেও তাই পরবে যা মেয়ের বাড়ি থেকে যাবে।তো খালুর জন্যে রাতেই পাঠানো হয়েছিলো সব।

এটা হলো গোল্ডের সেট।নোস পিন ছিলো ডায়মন্ড এর, তা আলাদা করেই দিয়েছিলো।

এরপরে তো বাকি জিনিসগুলো আনপ্যাক করেছিলাম। এটা ছিলো কসমেটিক্সের ডালা।

এটা হলো জুতো এবং পার্স এর।

আর এটা হলো বাকি সব জুয়েলারি এবং আউটফিট টার ডালা।

বাকি জুয়েলারি গুলো ড্রেসের নিচেই দিয়েছিলো।

লেহেঙ্গাটা মারাত্মক সুন্দর ছিলো খালামণির।

এরপর আমি অল্পস্বল্প কিছু ফটোগ্রাফী করেছিলাম।

আমিই আনপ্যাক করেছিলাম।

এরপর জুয়েলারি গুলোও বের করলাম।বেশ সুন্দর ই ছিলো।

কিছুক্ষণ আমি ট্রাই ও করছিলাম।আসলে চুরি দেখলেই হাতে পরে ট্রাই করতে ইচ্ছে করে।

এরপর তো খালামণিকে নোসপিন, সে সাথে স্বর্ণের চুরি এসব পরানো হলো।অনেকটা বউ বউ লাগছিলো তখন দেখতেই।

এরপর পার্লারে যাওয়ার পালা।যেহেতু রাতের প্রোগ্রাম,তাই দুপুরেই পার্লারে যাওয়ার সিডিউল ছিলো।যেহেরু ব্রাইডাল মেকওভার এ বেশ সময় লাগে।

এরপর তো খালামণিকে সাঁজানো শুরু করা হলো।আর আমি বসে বসে অপেক্ষা করছিলাম।শেষ হতে হতে প্রায় অনেক সময় লেগেছিলো।

এরপর মামা নিতে এসেছিলো আমাদের।এরপর তো আবার মামাবাড়ি ব্যাক করা আর নিজেদের রেডি হওয়া।সেসব আগামী পোস্ট এ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।